পরিবার নিয়ে অনেক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাস করে আসছেন নন্দিত অভিনেত্রী, লেখক ও চিত্রশিল্পী বিপাশা হায়াত। তাঁর ছেলেরা সেখানেই পড়াশোনা করছেন। অভিনয়ে তাঁকে পাওয়া না গেলে যুক্তরাষ্ট্রে বসে আঁকাআঁকি চালিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিত। সেখানে তাঁর আঁকা ছবির একক প্রদর্শনীও হয়েছে বেশ কয়েকটি। সেগুলো শিল্পমনস্ক মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে। 

এবার তিনি যুক্ত হলেন, আন্তজার্তিক শিল্পকর্মের দল ‘দ্য আর্ট ডোম’ এর সঙ্গে। ‘আর্ট ডোম’ বিশ্বব্যাপী অনুপ্রেরণা জাগিয়ে তুলতে এবং শিল্প সম্প্রদায়ের মধ্যে পার্থক্য তৈরিকারীদের জন্য দরজা খুলে দিতে কাজ করে আসছে। এখন থেকে ওই দলের হয়ে কাজ করবেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরে আর্ট ডোমের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিপাশার ছবি শোভা পাচ্ছে। 

দ্য আর্ট ডোমের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে বিপাশা বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে এখন থেকে, আমার শৈল্পিক যাত্রা দ্য আর্ট ডোমের সঙ্গে অব্যাহত থাকবে। অত্যন্ত প্রতিভাবান, দূরদর্শী ব্যক্তিদের একটি দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি রোমাঞ্চিত। যারা শিল্পের মাধ্যমে এ পৃথিবীকে আরও ভালো জায়গা করে তোলার স্বপ্ন ভাগ করে নেয়।’

বিপাশ হায়াত যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে মাঝেমধ্যে দেশে আসেন। সর্বশেষ গত বছরে দেশে এসেছিলেন তিনি। ওই সময় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে বাবা নাট্যজন আবুল হায়াতের আত্মজীবনীমূলক বই ‘রবি পথ-কর্মময় ৮০’-এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জন্মের পর থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে উঠেছেন বিপাশা হায়াত।

আশির দশকে ‘খোলা দুয়ার’ নাটকে অভিনয় শুরু করেন তিনি। এরপর যুক্ত হন নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ে। টিভি নাটকে প্রথমে আলোচনায় আসেন ‘অয়োময়’ ধারাবাহিক দিয়ে। 

‘শঙ্কিত পদযাত্রা’, ‘রূপনগর’, ‘ছোট ছোট ঢেউ’, ‘অন্য ভুবনের ছেলেটা’, ‘চেনা অচেনা মুখ’, ‘থাকে শুধু ভালোবাসা’, ‘বীজমন্ত্র’, স্পর্শ, ‘শেষ পর্যন্ত তোমাকে চাই’, ‘বিপ্রতীপ’ তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারের উল্লেখযোগ্য নাটক। আলো ছড়িয়েছেন চলচ্চিত্রেও। তাঁর অর্জনের ঝুলিতে আছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আর ট ড ম

এছাড়াও পড়ুন:

আশরাফুলের সেঞ্চুরি, রিটায়ার্ড আউট—এসএসসিতে যত ইতিহাস

১৭ বছর পর কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব (এসএসসি) গ্রাউন্ডে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০০১ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে এই মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। কোনোটিতেই বিন্দুমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেনি। দুটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হারতে হয়েছে, অন্যটিতে ২৮৮ রানে। একতরফা লড়াই হলেও এই তিন ম্যাচ অনেক দিন মনে রাখার মতো বেশ কিছু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেট প্রথম ও শেষবারের মতো অবিশ্বাস্য এক কাণ্ডও দেখেছে এই মাঠে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্টে।রিটায়ার্ড আউট, সে আবার কী২০০১ সালে কলম্বো টেস্টে মারভান আতাপাত্তুর ডাবল সেঞ্চুরির পর মাহেলা জয়াবর্ধনের (বাঁয়ে) অভিনন্দন

সম্পর্কিত নিবন্ধ