প্রায় ১৬ বছর পর পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হয়েছে। এতে সভাপতি পদে শাহাদৎ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে রেজাউল করিম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা শহরের তেঁতুলিয়া অডিটরিয়ামে কাম কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটির নাম ঘোষণা করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন।

সম্মেলনে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবু সাঈদ মিয়া ও আবু বক্কর সিদ্দিক (কাবুল) নির্বাচিত হয়েছেন। চার সদস্যের এ কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

সম্মেলনে নির্বাচনের জন্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের দুটি পদের বিপরীতে মোট চারজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন। তবে এই চার পদের বিপরীতে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ডেলিগেট, কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে তাঁদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

গতকাল বিকেলে তেঁতুলিয়া অডিটরিয়ামে কাম কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেখানে জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের সঙ্গে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর আগে তেঁতুলিয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন থেকে নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে অডিটরিয়াম চত্বরে জড়ো হন।
তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহাদৎ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনের সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক সম্পাদক নওশাদ জমির। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লি উন্নয়নবিষয়ক সম্পাদক ও পঞ্চগড় জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম উদ্বোধক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক এবং আমিনুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

২০০৯ সালে তেঁতুলিয়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে মহসিন প্রধান সভাপতি ও রেজাউল করিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ সালে আগের কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। শাহাদৎ হোসেন এ কমিটিতে আহ্বায়ক ও রেজাউল করিম সদস্যসচিব ছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র কম ট র র জ উল গঠন ক সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন

নবীজি (সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।

১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)

২. আবু আবদুর রহমান ফাহরি (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সঙ্গে আমি হোনাইনের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। গ্রীষ্মের দিনে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। একসময় সকলে গাছের ছায়ায় বসলাম। সূর্য হেলে পড়লে আমার বর্মটি পরলাম এবং ঘোড়ায় চড়ে নবীজির কাছে এলাম। তিনি তার তাঁবুতে ছিলেন। তাকে সালাম দিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে কি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি ‘বেলাল’ বলে ডাক দিলেন। বেলাল (রা.) সামুরা গাছের নীচ থেকে ছুটে এলেন। তার ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাখির ছায়া। তিনি বললেন, ‘আমি হাজির।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫,২৩৩)

আরও পড়ুনঅতিথিপরায়ণ সাহাবি উম্মু শুরাইক (রা.)০১ এপ্রিল ২০২৫

পাখির ছায়া’ বলার কারণ হলো, নবীজির আওয়াজ শোনামাত্র বেলাল (রা.) এত দ্রুত এসেছেন, যেন তার দু’পা মাটিতে ছিল না, ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল পাখির ছায়া।

৩. উসাইদ ইবনে জহির (রা.) বলেন, রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তোমাদের একটি বিষয় নিষেধ করেছেন, যা তোমাদের জন্য উপকারী। তবে মনে রেখো, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করা আরও বেশি উপকারী। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩,৮৯৭)

অর্থাৎ, আল্লাহর রাসুল যা বলেছেন, তাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপকারী বিষয় গ্রহণে নিষেধ করেছেন বোঝা গেলেও তাতে দ্বিধায় পড়েননি সাহাবিরা। বরং বুঝে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসুলের কথা মেনে নিলে আল্লাহ এর চেয়ে বেশি উপকার দেবেন।

আরও পড়ুনমহানবী (সা.) কীভাবে বিবাদ মেটাতেন২০ জুন ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ