দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিবো : কামরুল
Published: 11th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যকরী সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ কামরূল ইসলাম বলেন, আমরা সারা বাংলাদেশের যারা কর্মচারী, আমরা সারা বাংলাদেশ যেভাবে প্রজাতন্ত্র কর্মচারীরা সরকারকে সর্বোচ্চ সময় সহযোগিতা করি। কিন্তু আমরা যারা কর্মচারী আছি তারা সব সময় অবহেলিত এবং নির্যাতিত।
আমরা অতিথিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, এখন এই সময়ে আমাদের দিকে আপনারা দৃষ্টি দেন, আমরা আপনাদের সন্তান, ভাই, বন্ধু আমরা যদি ভালো থাকি তাহলে আমাদের এই সুন্দর বাংলাদেশকে সামনের দিকে সুন্দরভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো।
আর আমরা যদি খারাপ থাকি আপনারা যে যার অবস্থানেই থাকেন আপনারা কেউই ভালো থাকবেন না। সুতরাং আমরা চাই আমাদের দিকে আপনারা দৃষ্টি দেন, আমাদের কর্মচারীদের দিকে আপনাদের সহযোগিতার হাত বাড়ান, আমরা সর্বদা আপনাদের পাশে আছি।
বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ একাদশ জাতীয় সম্মেলন ২০২৫- এ বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার (১১ মে) দুপুরে কচিকাঁচা ভবন মিলনায়তন, সেগুনবাগিচা ঢাকায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রধান সমন্বয়ক, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আমরা প্রজাতন্ত্রে কর্মচারী হিসেবে ঘোষনা করছি আপনারা যখন যেটাই আদেশ করবেন আমরা সর্বোচ্চ আপনাদের সাথে পাশে আছি, আপনারা এতটুকু নিশ্চিত থাকেন যদি আপনারা আমাদের দাবি আদায়ের সাথে না আসেন তাহলে নারায়ণগঞ্জ জেলা থেকেই আমাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিবো এবং সারা বাংলাদেশকে আমরা অচল দিবো।
আমাদের দিকে যদি আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে সরকারকে প্রেশার ক্রিয়েট করেন আমরা নিশ্চিত আমাদের বেতন, ভাতা ও আমাদের যে পাঁচ দফা দাবি আছে অবশ্যই বাস্তবায়ন হবে। সুতরাং আমরা চাই আপনারা সকলেই আমাদের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: সরক র ন র য়ণগঞ জ আম দ র দ ক আপন দ র সরক র আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
চার ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণ শিক্ষকের
দরিদ্র পরিবারের চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধারাবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলায় এক শিক্ষক গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে তাকে আটক করে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা পুলিশ। এ সময় তিন ভুক্তভোগী কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান মিজান (৪৫) নারায়ণগঞ্জ সদরের পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, মিজানের বিরুদ্ধে ঢাকার একটি থানায় আগেও পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের মামলা আছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে শুক্রবার আর্ট ও কম্পিউটারের ক্লাস নেন মিজান। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডের বাসায়। দরিদ্র পরিবারের কয়েক শিক্ষার্থীকে টার্গেট করে নানা প্রলোভনের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ৬ জুন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীকে কৌশলে মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। একই কায়দায় ১১ জুন একই শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে সেখানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। সর্বশেষ ২৩ জুন দশম শ্রেণির আরেক ছাত্রীকে মোহাম্মদপুরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। চার কিশোরীকে উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে আটকে রাখেন। তাদের অভিভাবকদের কেউ ইটভাটার শ্রমিক, কেউ দিনমজুর বা ভাঙাড়ি বিক্রেতা।
২৪ জুন মিজানের বাসা থেকে কৌশলে পালিয়ে আসে এক কিশোরী। সে পরিবারসহ আটকে রাখা অন্যদের পরিবারকেও বিষয়টি জানায়। থানা পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে ওই মেয়েটিকে নিয়ে বুধবার সকালে মোহাম্মদপুর যায়। পরে বন্দিদশা থেকে তিন কিশোরীকে উদ্ধার করে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষককেও আটক করা হয়। এই ঘটনায় ফতুল্লা থানায় মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর আহমেদ (২১) নামের এক তরুণকে পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছে জনতা। মঙ্গলবার রাতে তাকে থানায় দেওয়া হয়। সে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লার বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী শিশুর পরিবার জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় পাইনাদি নতুন মহল্লা নাজমা উকিলের চারতলা ভবনের নিচতলায় খেলা করছিল ওই শিশুটি। সুযোগ বুঝে চকলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে তানভীর। পরে তাকে একটি মাঠ থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজন।
মঙ্গলবার মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে সে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। রাতেই এলাকাবাসী তানভীরকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় বলে নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম।