দীর্ঘ নীরবতা ভেঙে ২০২৪ সালের ১৩ অক্টোবর রাতে নিজের ফেসবুক পেজে হঠাৎ একটি গান পোস্ট করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। ‘আমার হাত বান্ধিবি, পা বান্ধিবি, মন বান্ধিবি কেমনে’—এই কথার গানটি প্রকাশের পরই নেট–দুনিয়ায় আলোড়ন ওঠে। অনেকে ভেবেছিলেন, সংগীতে আবার সক্রিয় হচ্ছেন একসময়কার ‘ফোক কুইন’। কিন্তু কয়েক মাস না যেতেই এল ভিন্ন খবর—সোমবার ১২ মে রাত পৌনে ১২টায় মাসে খুনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর থেকেই ছিলেন আড়ালে। রাজনীতি তো বটেই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও নিখোঁজ ছিলেন মমতাজ। ১৬ জুলাইয়ের পর তাঁর ফেসবুক পেজে আর কোনো পোস্ট ছিল না, যেখানে আগে প্রতিদিনই কিছু না কিছু দিতেন।

‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঠিক ৮৮ দিন পর ১৩ অক্টোবর রাতে একটি গানের ভিডিও পোস্ট করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিরে আসেন তিনি। ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। অনেকে মন্তব্য করেন, ‘কোথায় ছিলেন?’, ‘আপনি কি বিদেশে?’ কেউ কেউ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তির্যক মন্তব্য করলেও বেশির ভাগই ছিলেন গায়িকা মমতাজকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে আপ্লুত।
গানটির কথাগুলো নিয়েও শুরু হয় আলোচনা। ‘আমার চোখ বান্ধিবি, মুখ বান্ধিবি, পরান বান্ধিবি কেমনে’—এই লাইনগুলো অনেকেই ব্যাখ্যা করেন একটি ‘সাংকেতিক বার্তা’ হিসেবে। কেউ মনে করেন, এটি আত্মগোপন ভেঙে ফেরার ঘোষণা।

মমতাজ বেগম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: মমত জ

এছাড়াও পড়ুন:

শরীর ফিট থাকবে রাতের যেসব অভ্যাসে

সুস্থ থাকতে নিয়মিত শরীরচর্চা কড়া ডায়েট যেমন জরুরি তেমনি পর্যাপ্ত ঘুম, খাওয়াদাওয়াও জরুরি। তবে এটাও ঠিক নিয়ম মেনেও সব সময় ফিট থাকা যায় না। এ কারণে সুস্থ থাকতে বাড়তি সতর্কতা থাকা উচিত। সে ক্ষেত্রে দিনের শুরুতে যেমন কিছু নিয়ম মানতে হয়, তেমনই রাতেরও কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন-

পর্যাপ্ত ঘুম
বিভিন্ন কারণে অনেকেরই ঠিক মতো ঘুম হয় না । এর প্রভাব পড়ে শরীরে। তখন ধীরে ধীরে ওজন কমতে থাকে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, কাজ করতেও অনীহা আসে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই নিয়মিত ৬ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।

রাতে ভাজাপোড়া বাদ দিন
অনেকেই দেরী করে ঘুমান এবংমাঝরাতে টুকটাক খাবার খান। পুষ্টিবিদদের মতে, এই অভ্যাসে হজমের সমস্যা দেখা দেয়।  ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগেই থাকে।  শরীরেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এ কারণে মধ্যরাতে খাওয়া নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

নিজের জন্য সময় বের করুন
সকাল থেকে পরিশ্রম, অফিসের কাজ, ব্যস্ততা, চাপ, মানসিক উদ্বেগ— সব মিলিয়ে নিজের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়া যায় না। অথচ সুস্থ থাকতে নিজের সঙ্গে নিজের সময় মতো সময় কাটানো খুবই জরুরি। অবসর সময়ে বই পড়ুন, গান শুনুন কিংবা আপনার পছন্দের কাজ করুন। সারা দিনে অন্তত কিছু ক্ষণ সব কাজ বাদ দিয়ে নিজের সঙ্গে থাকুন। এতে শুধু শরীর নয়, মনেরও বিশ্রাম হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ