কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের অলির বাপের পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি বসতঘরে পানি তোলার মোটর চুরি করতে গিয়ে ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।

নিহত যুবকের নাম আবদুল মান্নান। তিনি উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজন বলেন, অলির বাপের পাড়ার বাদশা মিয়ার বাড়িতে দুটি পানির মোটর রয়েছে। একটি মোটর বাইরে, আরেকটি মোটর বসতবাড়ির রান্নাঘরের ভেতরে। গতকাল রাতে বাইরের মোটরটি চুরি করার পর রান্নাঘরের মোটরটি চুরি করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মান্নান নামের ওই যুবক। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোর পাঁচটার দিকে বাড়ির মালিক আমাকে খবর দেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, মোটরের ওপরে দুই হাত রাখা অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে মান্নানের মরদেহ। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।’

পুলিশ জানায়, আবদুল মান্নান পেশাদার চোর। বিভিন্ন এলাকায় চুরি করতে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার পিটুনির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া চুরির মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি। জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

শফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পানির মোটর চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বক র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ