‘চুরি করতে গিয়ে’ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট, যুবকের মৃত্যু
Published: 13th, May 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের অলির বাপের পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি বসতঘরে পানি তোলার মোটর চুরি করতে গিয়ে ওই যুবক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছেন।
নিহত যুবকের নাম আবদুল মান্নান। তিনি উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজন বলেন, অলির বাপের পাড়ার বাদশা মিয়ার বাড়িতে দুটি পানির মোটর রয়েছে। একটি মোটর বাইরে, আরেকটি মোটর বসতবাড়ির রান্নাঘরের ভেতরে। গতকাল রাতে বাইরের মোটরটি চুরি করার পর রান্নাঘরের মোটরটি চুরি করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন মান্নান নামের ওই যুবক। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভোর পাঁচটার দিকে বাড়ির মালিক আমাকে খবর দেন। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, মোটরের ওপরে দুই হাত রাখা অবস্থায় উপুড় হয়ে পড়ে আছে মান্নানের মরদেহ। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।’
পুলিশ জানায়, আবদুল মান্নান পেশাদার চোর। বিভিন্ন এলাকায় চুরি করতে গিয়ে তিনি বেশ কয়েকবার পিটুনির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া চুরির মামলায় জেলও খেটেছেন তিনি। জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য বক র
এছাড়াও পড়ুন:
পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা
দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।
বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”
কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ