ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভা। ব্যক্তিগত জীবনের নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নিয়মিত অভিনয়ে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বেশ সরব এই অভিনেত্রী। ফেসবুকে নিয়মিত ছবি ও নানা ভাবনার কথা পোস্ট করে থাকেন।

সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট দিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন প্রভা। এ অভিনেত্রী লেখেন, “হানিমুনেও নাকি মারে নিয়া যাইতে হয়! বাইরে গেলে নাকি মার হাত ধরে ঘুরতে হয়! বউয়ের রান্না ভালো হয়েছে এই প্রশংসা শুনলে আবার তরকারির পাতিলও ফালায় দেয়!”

তবে এই পোস্ট কার উদ্দেশ্যে, তা স্পষ্ট করেননি প্রভা। যদিও নেটিজেনদের অনেকেরই ধারণা, এটি আলোচিত আত্মহত্যার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে লেখা।

আরো পড়ুন:

আমি আমার অভিনয় দক্ষতা দেখাচ্ছি, শরীর নয়: প্রভা

প্রথম প্রেমিককে প্রাক্তন মনে করি না, সে আমার শত্রু: প্রভা

র‌্যাবের এএসপি পলাশ সাহার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রী সুস্মিতা সাহা এবং মা আরতি সাহা পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনার পর সুস্মিতা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন। অনেকের ধারণা, পলাশের আত্মহত্যার পেছনে তার মায়ের ভূমিকা রয়েছে।

প্রভার এই স্ট্যাটাস সেই আলোচিত ঘটনা ঘিরেই কি না— এ নিয়েও শুরু হয়েছে তর্ক। কেউ কেউ মনে করছেন, তিনি পলাশ সাহার স্ত্রীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন, আবার অনেকে পোস্টটিকে ‘অনুপযুক্ত’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন।

নেটিজেনরা প্রভার এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানারকম প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন— কেউ প্রভার পক্ষে, কেউ আবার বিপক্ষে। প্রভার এই স্ট্যাটাস আদৌ পলাশ সাহাকে কেন্দ্র করে কি না, তা এখনো অস্পষ্ট।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনাকে কোনো অবস্থাতেই ফেরত পাঠাবে না ভারত: রাজনৈতিক বিশ্লেষ

২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। মামলার অপর আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে দেওয়া হয়েছে পাঁচ বছরের সাজা।

গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের আগস্টে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা এবং এরপর থেকে তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়েই রয়েছেন। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার অনুপস্থিতি তার বিচার পরিচালনা করে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাবেক পুলিশ প্রধান আবদুল্লাহ আল-মামুন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়ান স্টাডিজের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত। তিনি বলেন, “হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালতের এই রায় প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে না ভারত।” 

আলজাজিরাকে দেওয়া মন্তব্যে দত্ত আরো বলেন, “কোনো অবস্থাতেই ভারত তাকে প্রত্যর্পণ করবে না। গত দেড় বছরে আমরা দেখেছি যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সবচেয়ে ভালো অবস্থায় নেই এবং অনেক সময়ই ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে।”

দত্ত বলেন, “হাসিনার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশিত ছিল।”

তিনি বলেন, “সবাই বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখেছেন। সবাই আশা করেছিলেন যে হাসিনার বিচার হবে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষকরা একমত যে, বাংলাদেশে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম দেশের আইনি ব্যবস্থা অনুসরণ করেছে।”

দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক এই রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, “নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কারো সন্দেহ নেই। স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে যে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী সরাসরি গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।”

দত্তের ভাষ্যমতে, “আওয়ামী লীগ এখন একটি পাল্টা ব্যাখ্যা তৈরির তৈরি করার চেষ্টা করবে। কিন্তু বাংলাদেশিরা মূলত বিশ্বাস করেন যে- হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছেন।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ