চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ৫ম সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে আসা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম মো. মামুন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০০৭- ২০০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং চবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন শাখা ছাত্রশিবিরের দুই সাবেক নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মো.

মামুনকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা জড়িত।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার চবির সর্ববৃহৎ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থীরা। ২২ হাজার ৫৬০ সমাবর্তী অংশ নেওয়া এ সমাবর্তনের প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ডি-লিট ডিগ্রি দেওয়া হয়।

মারধরের শিকার মো. মামুন এই সমাবর্তনে এসেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী অনুষ্ঠান শেষে বিভাগে গাউন জমা দিয়ে মূল সনদ নিতে হবে। মামুনও বিভাগ থেকে মূল সনদ নিতে গিয়েছিলেন। সার্টিফিকেট নিয়ে বের হওয়ার পর তিনি মারধরের শিকার হন।

মারধরের ঘটনা নিশ্চিত করে মামুনের ভাই মো. মাসুম বলেন, ‘আমার ভাই রাজনীতি ছেড়েছে প্রায় আট বছর আগে। সে সমাবর্তনে গিয়েছিল। কেন সমাবর্তনে এসেছে এটাই ভাইয়ের বড় অপরাধ!’

তিনি জানান, সার্টিফিকেট তোলার পর বাসায় আসার পথে মামুন মারধরের শিকার হন। পরিবারের সদস্যরা গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে তাকে পেয়েছেন। পরে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

জানতে চাইলে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী সমকালকে বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের দুই সাবেক নেতার হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল মামুন। ক্যাম্পাসে তাকে দেখে পুরনো কয়েকজন অনুসরণ করে ধরে ফেলে এবং মারধর করে। পরে তারাই আবার তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম রধর র শ ক র

এছাড়াও পড়ুন:

বুবলীর যে গুণে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েছিলেন তাপস

‘দেয়ালের দেশ’, ‘প্রহেলিকা’-এর মতো একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে নিজেকে সুঅভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। তার অভিনয় সকল স্তরের দর্শকের প্রশংসা পেয়েছে। একদিকে তিনি কমার্শিয়াল বাণিজ্যিকি সিনেমায় কাজ করেছেন অন্যদিকে গল্পনির্ভর সিনেমায়ও কাজ করেছেন। মডেলিংয়েও সরব উপস্থিতি রয়েছে এই নায়িকার। 

এক সময় বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘গানবাংলা’ টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন উঠেছিল। একটি সাক্ষাৎকারে উপস্থাপক শাহরিয়ার নাজিম জয় তাপসকে প্রশ্ন করেন, বুবলীর সঙ্গে কেন প্রেম জড়িয়ে গেলেন?

তাপস বলেন, ‘‘প্রেমটাকে অস্বীকার না করে কাজের প্রতি প্রেম বলা ভালো হবে। ভবিষ্যতেও বুবলীকে নিয়ে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী থাকবো, আনন্দিত থাকবো।’’ 

আরো পড়ুন:

সুচিত্রা সেন ও শাবানার বায়োপিকে কাজ করতে চান বুবলী

শাকিব-অপুর ভিডিও ভাইরাল, বুবলী বললেন ‘নোংরা ভিডিও ছড়াবেন না’

বর্তমানে গানবাংলার সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। বুবলীর ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সিনেমা আর মডেলিংয়ে।

তাপসের সঙ্গে বুবলীর প্রেমের গুঞ্জনকে প্রপাগান্ডা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন চিত্রনায়িকা বুবলী। তিনি

একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ গানবাংলায় যখন আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হলো, তখন সেই ইস্যুটা নিয়েও প্রপাগান্ডা ছড়ানো হলো।  আমার সিনেমা প্রসঙ্গ আসার পরই এমন নোংরামি শুরু হয়ে যায়। আমাকে আমার কাজ-পরিবার ছাড়া কোথাও কোনো বাজে আড্ডাতে দেখতে পাবেন না তাপস ভাই ও মুন্নি ভাবির সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব স্বাভাবিক।’’

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ