বাংলাদেশের মানুষের হাত ধরে তৈরি বহুল জনপ্রিয় দেশীয় ব্র্যান্ড ‘পাঠাও’ এবার নিয়ে এল ‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইন। ১৪ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত দেশজুড়ে চলবে এই উৎসব, যেখানে পাঠাও দিচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, ফ্রি ডেলিভারি, ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গিফট জেতার সুযোগসহ অনেক আকর্ষণীয় অফার।

মে মাসজুড়ে পাঠাও ব্যবহারকারীরা রাইড এবং ফুডের ওপর সর্বমোট ১ হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট উপভোগ করতে পারবেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘পাঠাও বাইক’-এ ৩টি রাইডে মোট ৩০০ টাকা ডিসকাউন্ট (প্রতি রাইডে ১০০ টাকা করে), ‘পাঠাও কার’-এ ৩টি রাইডে মোট ৩০০ টাকা ডিসকাউন্ট (প্রতি রাইডে ১০০ টাকা করে) এবং ‘পাঠাও ফুড’-এ পাঁচটি অর্ডারে সর্বমোট এক হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট, প্রতি অর্ডারে ২০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট।

এ ছাড়া ‘পাঠাও কার’ ইন্টারসিটি রাইডে রয়েছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। সঙ্গে থাকছে প্রতিদিন নতুন অফার, সারপ্রাইজ ফ্ল্যাশ ডিলসহ আরও অনেক কিছু।

‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইনে পাঠাও অ্যাপে প্রতিটি লেনদেনে পাওয়া যাবে ডাবল পাঠাও পয়েন্টস, মানে প্রতিটি অর্ডার বা রাইডেই আপনার পয়েন্ট বাড়বে দ্বিগুণ!

উৎসবের আনন্দ আরও বাড়াতে পাঠাও কুরিয়ার সার্ভিসেও থাকছে দারুণ অফার। ফ্রি ডেলিভারির পাশাপাশি পাঠাও বাইক, কার ও ফুড-এর কুপন, পার্টনার ব্র্যান্ডদের ডিসকাউন্ট এবং লাকি ইউজারদের জন্য রয়েছে মেগা ভাউচার ও স্পেশাল পুরস্কার।

‘পাঠাও শপ’-এ পেয়ে যাবেন হেডগিয়ার এর মতো দেশীয় পছন্দের ব্র্যান্ড থেকে পাঠাও-এর কোলাবরেশনে দেশি মার্চেন্ডাইজ।

আরও একটি বিশেষ আকর্ষণ হচ্ছে ‘বিগ বক্স’। এতে থাকবে একটি পাবলিক উইশবোর্ড, যেখানে ব্যবহারকারীরা তাঁদের সব ইচ্ছা লিখতে পারবেন। এই উইশবোর্ড থেকে নির্বাচিত ১০ জন ভাগ্যবান ব্যবহারকারীর ইচ্ছা পূরণ করবে ‘পাঠাও’!

দেশি আনন্দকে আরও জমজমাট করতে ‘পাঠাও’ নিয়ে আসছে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ কুইজ গেম। ‘পাঠাও কার’-এর ফ্ল্যাপে এবং বিগ বক্স-এর পাশে থাকবে একটি কিউআর কোড। স্ক্যান করলেই পাওয়া যাবে মজার মজার প্রশ্ন। সঠিক উত্তর দিলেই পাবেন পয়েন্ট, আর সেই পয়েন্ট দিয়ে থাকবে ৫০ হাজার টাকা মূল্যের উপহার জেতার সুযোগ।

ক্যাম্পেইনটি প্রসঙ্গে পাঠাও–এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (মার্কেটিং) আবরার হাসনাইন বলেন, দেশি অ্যাপ হিসেবে পাঠাও ১০ বছর ধরে আমাদের দেশের মানুষের প্রয়োজনগুলো মেটানোর চেষ্টা করে আসছে। ‘চলো দেশি ভাইব-এ’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা সেলিব্রেট করছি আমাদের দেশি প্রাইড, কালচার আর একসঙ্গে থাকার আনন্দ। যা ফুটে উঠছে আমাদের রাইড শেয়ারিং, ফুড আর প্রোডাক্ট ডেলিভারিসহ প্রতিদিনের ছোট ছোট গল্পগুলোতে।

‘চলো দেশি ভাইব-এ’ হলো দেশীয় প্রাইড আর একসঙ্গে উদ্‌যাপনের আনন্দ। এই মে মাসে রাইড দিন, খাবার অর্ডার করুন, প্রিয়জনকে পার্সেল পাঠান, আর পাঠাও-এর সঙ্গে চলুন দেশি ভাইবে।

২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘পাঠাও’ এমন একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করছে, যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩ লাখ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২ লাখ মার্চেন্ট এবং ১০ হাজার রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫ লাখেরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক য ম প ইন অর ড র আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন

রাজধানীর বাংলা মোটরের বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে শিশুসাহিত্যিক অমিত কুমার কুণ্ডুর শিশুতোষ ছড়ার বই ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন ও প্রকাশনা উৎসব হয়েছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেল ৫টায় অনুষ্ঠানের আয়োজনে ছিল বইটির প্রকাশনা সংস্থা পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড।

শিক্ষাবিদ, গবেষক ও কলামিস্ট সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সাহিত্যিক রফিকুর রশীদ। এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাহিত্যিক ও সাংবাদিক দন্ত্যস রওশন, লোকসংস্কৃতিবিদ তপন বাগচী, শিশুসাহিত্যিক সঙ্গীতা ইমাম, কথাসাহিত্যিক মনি হায়দার। অনুষ্ঠানে বক্তারা বইটির বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরো পড়ুন:

নদী স্মৃতিনির্ভর সংকলন গ্রন্থ ‘আমার নদী’ প্রকাশিত 

রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী

প্রধান অতিথির আলোচনায় রফিকুর রশীদ বলেন, “১২৪টি ফলের ওপর লেখা এই বইয়ের ছড়াগুলো কেবল পাঠকের রসাস্বাদনই করাবে না, শিশু শিক্ষামূলক এই ছড়াগুলো রসোত্তীর্ণও বটে।”

তিনি দেশের প্রকাশকদের অংশগ্রহণের ওপর জোর দিয়ে বলেন,“প্রকাশকদের বেশি বেশি এরকম প্রকাশনা উৎসব আয়োজন করা উচিত।”

বইটির ব্যতিক্রমী আকৃতির দিকে ইঙ্গিত করে দন্ত্যস রওশন বলেন, “পাঠক তৈরির প্রয়াসেই পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এমন ক্ষুদ্রাকৃতির ও নতুন নতুন সাইজের বইয়ের ধারণা বাজারে আনছে। এটা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।”

শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেন, “শিক্ষার দুটো দিক রয়েছ।একটি হলো ট্রাডিশনাল, যা আমরা পড়েছি, আপনারাও পড়েন। আরেকটি  হলো জাঁ জ্যাক রুশোর পদ্ধতি। তিনি বলেছে, প্রকৃতির সঙ্গে শেখা।রবীন্দ্রনাথ যা বিশ্বভারতীর মাধ্যমে করিয়ে দেখিয়েছেন।অমিত কুমার কুণ্ডুর ছড়ার বইটি সে রকমই।এর মাধ্যমে প্রকৃতির সান্নিধ্য লাভ করবে শিশুরা ও ওরা শিখবে। এরকম বই প্রকাশ করার জন্য প্রকাশকে ধন্যবাদ। আমাদের প্রকাশকদের এ ধরনের বই বেশি বেশি করতে হবে।”

কাঁচামিঠে ফলের ছড়া বইটির পাতায় পাতায় দেশি-বিদেশি বিচিত্র ফলের পরিচয়, পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা নান্দনিক অলংকরণে ছন্দে-ছড়ায় তুলে ধরা হয়েছে। বইটি থেকে ছড়া আবৃত্তি করে বাচিক শিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস মুক্তা।

অনুষ্ঠান শেষে ছিল মৌসুমী ফল দিয়ে অতিথিদের অ্যাপায়নের ব্যবস্থা।

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চুয়েটে দিনভর তারুণ্যের ‘তর্ক-যুদ্ধ’
  • ‘কাঁচামিঠে ফলের ছড়া’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন