কক্সবাজারের চকরিয়ার সুরাজপুর ইয়াংছা সড়কের সুরাজপুর ব্রিজ এলাকায় চাউল বোঝায় পিকআপের ধাক্কায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৬ মে) রাত ১২টার দিকে উপজেলার শান্তিবাজার-কাকারা-মানিকপুর-ইয়াংছা সড়কের চকরিয়া উপজেলার কাকারা মাঝেরফাঁড়ি ব্রিজ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এসময় সিএনজির আরো দুই যাত্রী আহত হন।

নিহতরা হলেন, উপজেলার লক্ষ্যারচর জিদ্দাবাজার এলাকার মৃত আফজল আহমদের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৩১) ও উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ফজুমিয়াজী চর এলাকার মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ কায়সার (৩৫)। তিনি ওই ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন বলে জানান চকরিয়া উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল কবির চৌধুরী।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, সুরাজপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ‘আর্মি সরোয়ারের রাস্তার মাথায়’ ইয়াংছা পিকআপ ও চিরিংগামুখী সিএনজির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। 

ওসি শফিকুল বলেন, “রাত পৌনে ২টা পর্যন্ত পুলিশের দল ঘটনাস্থলে অবস্থান করে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন দুটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আয়না গত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/তারেকুর/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

বিবিসির বিরুদ্ধে ‘ইসরায়েলের পক্ষে প্রচার চালানো’র অভিযোগ শতাধিক কর্মী‌র

ব্রিটিশ সম্প্রচার সংস্থা বিবিসির ১০৭ জন কর্মীসহ আরও ৩০০ জন গণমাধ্যমকর্মী ও শিল্পী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ‘প্যালেস্টাইনবিরোধী বর্ণবাদ’ এবং ‘ইসরায়েলের পক্ষে প্রচার চালানো’র অভিযোগ এনেছেন।

বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

ডেডলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি খোলা চিঠিতে তারা বিবিসির শীর্ষ নেতৃত্বকে অভিযুক্ত করে বলেন, ইসরায়েল সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশে প্রতিষ্ঠানটি ‘সেন্সরশিপ’ আরোপ করছে এবং ইসরায়েলি সরকার ও সেনাবাহিনীর হয়ে ‘জনসংযোগ’ চালাচ্ছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি বিবিসি ‘গাজা: মেডিকস আন্ডার ফায়ার’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার না করার সিদ্ধান্ত নেয়, যা ‘একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ। এই ক্ষেত্রে বিবিসির অধিকাংশ কাভারেজেই প্যালেস্টিনবিরোধী বর্ণবাদের ছাপ স্পষ্ট।’

বিবিসির কর্মীরা অভিযোগ করেন, ফিলিস্তিনে চলমান যুদ্ধে যুক্তরাজ্য সরকারের ভূমিকাসহ, দেশটির অস্ত্র বিক্রি ও তার আইনি প্রভাব সম্পর্কে বিবিসি গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিশ্লেষণ তুলে ধরেনি।

চিঠিতে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে দর্শকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন নিজস্ব সম্পাদকীয় মানদণ্ড পূরণ করছে না। গাজা ও পশ্চিমতীরে যা ঘটছে, আর বিশ্বস্ত বিভিন্ন উৎসে যা প্রকাশ পাচ্ছে — সেই বাস্তবতার সঙ্গে বিবিসির কভারেজের মধ্যে বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গেছে।’

অভিযোগকারী কর্মীরা বলেন, ‘বিবিসির সম্পাদকীয় সিদ্ধান্তগুলো ক্রমেই বাস্তবতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ মনে হচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস করতে হচ্ছে যে এসব সিদ্ধান্ত শ্রোতাদের চাহিদা পূরণে নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য নেওয়া হচ্ছে।’

প্রতিবাদপত্রে স্বাক্ষরকারী বিবিসির সব কর্মীই নাম প্রকাশ না করে চিঠিটি জমা দেন। তবে চিঠিতে সমর্থন জানানো গণমাধ্যম ও বিনোদন অঙ্গনের ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা খালিদ আবদাল্লাহ ও মিরিয়াম মারগোলিয়েস।

সম্পর্কিত নিবন্ধ