অনিন্দ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করেছেন। সিনেমাবোদ্ধাদের কাছেও কুড়িয়েছেন প্রশংসা। এরপরও সময়টা হয়ে উঠেছে অস্বস্তিকর। মুখে অস্ত্রোপচার করে একরকম বিপাকেই পড়ে গেছেন ভূমি পেডনেকর; যার জন্য প্রতিনিয়ত নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে এই বলিউড অভিনেত্রীকে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ভূমি পেডনেকর অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘দ্য রয়্যালস’। এই সিরিজে অভিনয় নিয়ে যতটা না আলোচনা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি সমালোচনা শোনা যাচ্ছে ভূমির ঠোঁট নিয়ে।

নেটিজেনরা বলছেন, ‘এই সিরিজে ভূমির থেকেও বেশি নজর গিয়েছে তাঁর ঠোঁটের দিকে। কারণ, ভূমির ঠোঁট দেখে তাদের মনে হয়েছে, পর্দাজুড়ে  বেশি অভিনয় করেছে তাঁর ঠোঁট।’ কেউ আবার এও বলেছেন, ‘অস্ত্রোপচারের কারণে অভিনেত্রীর ঠোঁট যেমন বদলে গেছে, তেমনি হারিয়েছে আগের সৌন্দর্য; যা একেবারে বেমানান লাগছে।’

এ নিয়ে নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের এমন মন্তব্যের চাঁচাছোলা জবাব দিতেও পিছিয়ে যাননি ভূমি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি বুঝতে পারি না মানুষের সবকিছু নিয়ে এত অসুবিধা কেন? এইরকম ঠোঁট পাওয়ার জন্য মানুষ লাখ লাখ টাকা খরচ করে। তাই সবাইকে বলব, নিজের মতো বাঁচো। সেটিই করো, যা ভালো লাগে। এতে কে কী বলছে, তা একেবারেই পাত্তা দিও না।’

এদিকে ‘দ্য রয়্যালস’-এ প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ভূমি পেডনেকর ও ঈশান খট্টর। পর্দায় তাদের রসায়ন দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। সে রসায়ন জমেনি। আশাহত হয়েছেন দর্শক।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী

অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।

পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।

পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।

ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ