সবকিছু নিয়ে মানুষের এত অসুবিধা কেন, প্রশ্ন ভূমির
Published: 17th, May 2025 GMT
অনিন্দ্য অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শক হৃদয় জয় করেছেন। সিনেমাবোদ্ধাদের কাছেও কুড়িয়েছেন প্রশংসা। এরপরও সময়টা হয়ে উঠেছে অস্বস্তিকর। মুখে অস্ত্রোপচার করে একরকম বিপাকেই পড়ে গেছেন ভূমি পেডনেকর; যার জন্য প্রতিনিয়ত নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হচ্ছে এই বলিউড অভিনেত্রীকে।
ভারতীয় গণমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ভূমি পেডনেকর অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘দ্য রয়্যালস’। এই সিরিজে অভিনয় নিয়ে যতটা না আলোচনা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি সমালোচনা শোনা যাচ্ছে ভূমির ঠোঁট নিয়ে।
নেটিজেনরা বলছেন, ‘এই সিরিজে ভূমির থেকেও বেশি নজর গিয়েছে তাঁর ঠোঁটের দিকে। কারণ, ভূমির ঠোঁট দেখে তাদের মনে হয়েছে, পর্দাজুড়ে বেশি অভিনয় করেছে তাঁর ঠোঁট।’ কেউ আবার এও বলেছেন, ‘অস্ত্রোপচারের কারণে অভিনেত্রীর ঠোঁট যেমন বদলে গেছে, তেমনি হারিয়েছে আগের সৌন্দর্য; যা একেবারে বেমানান লাগছে।’
এ নিয়ে নেটদুনিয়ার বাসিন্দাদের এমন মন্তব্যের চাঁচাছোলা জবাব দিতেও পিছিয়ে যাননি ভূমি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি বুঝতে পারি না মানুষের সবকিছু নিয়ে এত অসুবিধা কেন? এইরকম ঠোঁট পাওয়ার জন্য মানুষ লাখ লাখ টাকা খরচ করে। তাই সবাইকে বলব, নিজের মতো বাঁচো। সেটিই করো, যা ভালো লাগে। এতে কে কী বলছে, তা একেবারেই পাত্তা দিও না।’
এদিকে ‘দ্য রয়্যালস’-এ প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ভূমি পেডনেকর ও ঈশান খট্টর। পর্দায় তাদের রসায়ন দেখার জন্য অধীর অপেক্ষায় ছিলেন দর্শক। সে রসায়ন জমেনি। আশাহত হয়েছেন দর্শক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পারভেজের এক সেঞ্চুরিতে দুই রেকর্ড, জয়ে শুরু বাংলাদেশের
পারভেজ হোসেনের চোখেমুখে স্বস্তির আভা। হারতে হারতেই যে জিতে গেলেন! শারজায় আজ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি–টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি পেলেন, ছক্কার রেকর্ড গড়লেন। কিন্তু এত কিছুর পর জয়টা না এলে যে সবই বৃথা যেত!
বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত জিতেছে ২৭ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে আসা পারভেজের মুখে তাই হাসিই দেখা গেছে। তবে একটু এদিক–সেদিক হলেই সে হাসি ম্লান হওয়ার শঙ্কা ছিল। ১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা স্বাগতিক আরব আমিরাতের শেষ ৬ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৬০ রান। মোস্তাফিজুর রহমানের দারুণ ডেথ বোলিং আর আমিরাতের ব্যাটসম্যানদের ভুল মান বাঁচিয়েছে বাংলাদেশের। জয় দিয়ে শুরু করা সিরিজে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলবে পরশু।
এমন দিনে জয় না পেলে পারভেজ হয়তো নিজেকে হতভাগাই ভাবতেন। ব্যাট হাতে আজ তাঁর যা ইচ্ছা তাই করেছেন। বাউন্ডারি থেকে করেছেন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৭৪ রান। ছক্কা মেরেছেন টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯টি, দুটিতে বলও হারিয়েছেন। একের পর এক ছক্কায় দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে পেয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আগের সেঞ্চুরিটি কার ছিল, সেটি মনে করা খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। ২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ৬০ বলে সেঞ্চুরি করা তামিম ইকবালের ব্যাট থেকে সেই ম্যাচে এসেছিল ৬৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংস।
পারভেজ আজ ফিফটি পেয়েছেন ২৮ বলে। সেঞ্চুরি করেছেন তামিমের চেয়ে কম (৫৩) বল খেলে। টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে এটিই তাই দ্রুততম সেঞ্চুরি এখন। তবে সেঞ্চুরি করেও যে শেষ পর্যন্ত আফসোসে পড়তে হয়নি, সে জন্য মোস্তাফিজকে একটা ধন্যবাদ দিতে পারেন বাংলাদেশ ওপেনার।
আমিরাত ইনিংসের শেষ ৪ ওভারে ৪৯ রানের সমীকরণের সময় বোলিংয়ে এসে দুই ওভারে এই বাঁহাতি পেসার রান দিয়েছেন মাত্র ৭। ক্রিজে ছিলেন ২১ বলে চার ছক্কা ও তিন চারে ৪২ রান করা আসিফ খানও। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ১৭ রানে নেন ২ উইকেট। কৃতিত্ব পাবেন তানজিম হাসানও। ইনিংসের ১২তম ও ১৪তম ওভারে তিনি ফেরান ৩৯ বলে ৫৪ রান করা ওপেনার মুহাম্মদ ওয়াসিম ও ২২ বলে ৩৫ রান করা রাহুল চোপড়াকে।
পারভেজ ভালো খেলেছেন বলে অবশ্য অন্য ব্যাটসম্যানদের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। পারভেজ একা যেখানে ছক্কা মেরেছেন ৯টি, বাকি সবাই মিলে মেরেছেন মাত্র ৪টি। তাতেই অবশ্য বাংলাদেশের ছক্কার রেকর্ড হয়ে গেছে। এর আগে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ছক্কা ছিল ১২টি।
ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২১) এসেছে অতিরিক্ত থেকে। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ (১৫ বলে ২০) করেছেন তাওহিদ হৃদয়। সে কারণেই তো প্রথম ১০ ওভারে ১০৩ রান তোলার পরও বাংলাদেশের রান ২২০-২৩০ নয়, ১৯১। আরব আমিরাতের ধারহীন বোলিংয়ের বিপক্ষে সংগ্রহটা ভালো, তবে অসাধারণ কিছু নয়। আরও ভালোর সুযোগ ছিল।
পাওয়ারপ্লেতে ৫৫ রান তোলা বাংলাদেশের রানের চাকা গতি হারিয়েছে মূলত মাঝের ওভারে, বিশেষ করে ১১ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে। এই পাঁচ ওভারে উইকেটে থাকা পারভেজ ও জাকের মিলে তুলতে পেরেছেন মাত্র ৩১ রান। শেষ ৫ ওভারে এসেছে ৫৭ রান। ইনিংসের শেষ ওভারে অতিরিক্ত ৫ রান পাওয়ার পরও রান আসে মাত্র ৬।