ইলিশ স্বাদে ভালো মেঘনা নাকি তেঁতুলিয়ার, কী বলছে গবেষণা
Published: 21st, May 2025 GMT
অনন্য স্বাদ ও গন্ধের কারণে ইলিশের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। সাগরের লোনাপানির চেয়ে মিঠাপানির ইলিশের স্বাদ ও গন্ধ আলাদা। নদীভেদে ইলিশের স্বাদের ভিন্নতা নিয়ে নানা জনশ্রুতি আছে। তবে স্বাদের ভিন্নতার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে তেমন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায় না।
সম্প্রতি একটি গবেষণার মাধ্যমে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ফিশারিজ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক দীনেশ চন্দ্র সাহা ও তাঁর গবেষক দল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, মেঘনা নদীর ইলিশের চেয়ে স্বাদে তেঁতুলিয়া নদীর ইলিশ উন্নত। স্বাদের ভিন্নতার পেছনে নানা কারণও খুঁজে বের করেছেন গবেষকেরা।
অধ্যাপক দীনেশ চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, এক বছরের গবেষণা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁরা তথ্য পেয়েছেন, দেশের নদ–নদীর ইলিশের স্বাদে ভিন্নতার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে। শুধু তা–ই নয়, কী কারণে ভিন্নতা তা-ও জানা গেছে।
খাবারের কারণে স্বাদে ভিন্নতাদেশে ইলিশের পুষ্টিগত ভিন্নতা নিয়ে গবেষণা হলেও স্বাদের ভিন্নতার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নিয়ে আগে কোনো গবেষণা হয়নি। এবারের গবেষণার মৌলিকত্ব হলো গবেষকেরা তিনটি বিষয় আলাদাভাবে নিবিড় পর্যবেক্ষণের পর তথ্য বিশ্লেষণ করেছেন। পানিতে মাছের খাবারের মান, মাছের পেটে পাওয়া খাবার ও মাছের মাংস পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গবেষকেরা নিশ্চিত হন, পানিতে থাকা খাবারের কারণে ইলিশের স্বাদ ভিন্নতর হয়।
গবেষণাটি তেঁতুলিয়া ও মেঘনা নদীর ইলিশ নিয়ে পরিচালিত হয়েছে। অধ্যাপক দীনেশ চন্দ্র ও তাঁর দল দুই নদীর পানির গুণাগুণ, প্ল্যাঙ্কটনের (বিভিন্ন ধরনের জীব) উপস্থিতি ও মাছের শরীরের পুষ্টি উপাদান বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভিন্নতার কারণ খুঁজে বের করেন। মেঘনার চেয়ে তেঁতুলিয়ার ইলিশে মাইরিস্টিক, অলিক ও লরিক ফ্যাটি অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। তা ছাড়া তেঁতুলিয়ার ইলিশে গ্লুটামিক, গ্লাইসিন ও অ্যালানিনের মতো অ্যামিনো অ্যাসিডও বেশি পাওয়া যায়। ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যামিনো অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকায় স্বাদে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
ইলিশ মাছ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ব দ র ভ ন নত ভ ন নত র
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু
আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।