ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে মুসলিম মেয়েকে ধর্ষণ
Published: 21st, May 2025 GMT
মাদারীপুরে এক মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ধারণের পর ব্লাকমেইলে করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে রুপম বৈদ্য (২২) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশের কাছে দিয়েছে স্থানীয়রা।
রুপম মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তাফাপুর ইউনিয়নের বড় মেহের গ্রামের রনি বৈদ্যর ছেলে।
বুধবার (২১ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেন।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছয় মাস আগে রুপম বৈদ্যর সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় শরিফা খাতুনের (ছদ্ম নাম)। মেয়েটি মুসলিম হওয়ায় রুপম তার পরিচয় গোপন রেখে মুসলিম সেজে প্রেমের অভিনয় করে। এক পর্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে গোপনে ভিডিও ধারণ করে।
মেয়েটি বিয়ের কথা বললেই তালবাহানা শুরু করে রুপম। এছাড়া তাদের গোপন ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণও করে। পরে মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে রুপম মেয়েটিকে ধর্মান্তরিত করার চেষ্টা করে। মেয়েটি ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হলে রুপম মোটা অংকের টাকা দাবি করে।
একপর্যায় মেয়েটি তার পরিবারকে বিষয়টি অবগত করলে পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয়দের জানায়। স্থানীয়রা
মঙ্গলবার (২০ মে) রুপমকে আটক করে পুলিশের কাছে তুলে দেয়।
স্থানীয় যুবক হামজা বলেন, “আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি রুপম বৈদ্য এক মুসলিম মেয়েকে ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে। পরে তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।”
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, “আমার সাথে রুপম বৈদ্য প্রতারণা করছে। আমি ওর ফাঁসি চাই। আমার কাছে পরিচয় গোপন করে সে মুসলিম দাবি করে আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করেছে। খারাপ কাজ করেছে। সেগুলো গোপনে ভিডিও করে রেখেছে। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তার পরিচয় প্রকাশ করে এবং আমাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। সে আমাকে বলে তুই হিন্দু হলে তোকে আমি বিয়ে করব। এমনকি আমাকে হিন্দু হওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে সে।”
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আদিল হোসেন বলেন, “ব্লাক মেইল করে ধর্ষণের অভিযোগে রূপম বৈদ্য নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বিনা মূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ, সারা দেশে ৮টি কেন্দ্রে
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণের মেয়াদ দুই মাস। প্রশিক্ষণটি আগামী ১২ অক্টোবর শুরু হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সরকারি সনদ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের ৯ অক্টোবরের মধ্যে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে আবেদন করতে হবে।
প্রশিক্ষণের বিষয়১. বেসিক কম্পিউটার,
২. অফিস অ্যাপ্লিকেশন ও ইউনিকোড বাংলা,
৩. ইন্টারনেট,
৪. গ্রাফিক ডিজাইন,
৫. ফ্রিল্যান্সিং,
৬. মার্কেটপ্লেস ও কনসালটিং।
আরও পড়ুনহার্ভার্ড এনভায়রনমেন্টাল ফেলোশিপ, দুই বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ডলার১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫আবেদনের যোগ্যতা১. ন্যূনতম দাখিল বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে,
২. হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিল করা হবে,
৩. উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে,
৪. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে,
৫. যাঁদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে, তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসাছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনা কোর্স ফিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের দ্বিতীয় কোর্সে প্রক্রিয়া শুরু করেছে।যে ৮টি কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে১. ঢাকা,
২. চট্টগ্রাম,
৩. রাজশাহী,
৪. খুলনা,
৫. বরিশাল,
৬. সিলেট,
৭. দিনাজপুর,
৮. গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ৭ ঘণ্টা আগেদরকারি কাগজপত্র১. শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদের সত্যায়িত ফটোকপি,
২. জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি,
৩. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি জমা দিতে হবে,
৪. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনারের কাছ থেকে নেওয়া ইমামতির প্রমাণপত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে,
৫. মাদ্রাসাছাত্রদের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছ থেকে ছাত্রত্ব প্রমাণের কপি জমা দিতে হবে।
নিবন্ধন ফিমনোনীত প্রার্থীদের নিবন্ধন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা দিতে হবে।
দেশের ৮টি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে