রোগী সেজে জামালপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুদকের অভিযান
Published: 24th, May 2025 GMT
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগী সেজে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় রোগীদের খাবারসহ নানা অব্যবস্থাপনার চিত্র মিলেছে।
শনিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করে দুদক জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি দল। এতে নেতৃত্ব দেন জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন আরেক উপ-সহকারী পরিচালক আতিউর রহমান।
অভিযানের আগে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে প্রথমে রোগী সেজে তথ্য সংগ্রহ করেন তারা। পরে অভিযানে হাসপাতালের প্রধান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত ৪
ম্যানহোলের গ্যাস বিস্ফোরণে আহত ৩
অভিযানে দেখা গেছে, হাসপাতালে আবাসিক রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত মুরগীর মাংস ২১০ গ্রামের পরিবর্তে ১১২ গ্রাম দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঔষধ বিতরণে অনিয়ম ও কয়েকটি ঠিকাদারের কার্যক্রমে গাফিলতিও পান কর্মকর্তারা।
জামালপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জিহাদুল ইসলাম বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রোগী সেজে সেবাগ্রহীতা হিসেবে প্রথমে হাসপাতালে বিভিন্ন স্থানে পরিদর্শন করি। তারপর বিভিন্ন শাখায় গিয়ে আমরা অনিয়ম দেখতে পাই। এ সব তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
ঢাকা/শোভন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান
শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।
দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক
অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।
মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।
দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/বেলাল/মাসুদ