মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি ব্রাজিলে তৈরি পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। এর মাধ্যমে লাতিন আমেরিকার দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ আরও তীব্র করার ইঙ্গিত দিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত সর্বশেষ শুল্ক-সংক্রান্ত চিঠিতে এ পরিকল্পনার কথা জানান ট্রাম্প।

চিঠিতে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর ব্রাজিল ‘আক্রমণ’ চালাচ্ছে। সাবেক ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তিনি।

আরও পড়ুনট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক: ভিয়েতনাম কেন শূন্য শুল্ক দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রকে, বাংলাদেশের গরজ কতটা ১৩ ঘণ্টা আগে

চলতি সপ্তাহে ব্রাজিলের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা ও ট্রাম্পের মধ্যে বলসোনারোর বিচার নিয়ে বাকবিতণ্ডা হয়। ওই সময় লুলা বলেন, বিচারে ব্রাজিল কারও হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না। তিনি আরও বলেন, ‘কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকিকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধানের কাছে ২২টি চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্যে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও শ্রীলংকার মতো বাণিজ্য অংশীদার রয়েছে। এসব চিঠিতে তিনি ওই সব দেশের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা জানান। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী নতুন শুল্ক আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।

আরও পড়ুনবাংলাদেশি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ট্রাম্প০৭ জুলাই ২০২৫

তবে ব্রাজিলকে পাঠানো চিঠিটি ছিল অনেক বেশি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং আক্রমণাত্মক। সেখানে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ব্রাজিল থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর আগে ঘোষিত ১০ শতাংশ শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে।

গত বছর ব্রাজিলের সঙ্গে বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্র লাভজনক অবস্থানে ছিলো। তারা ব্রাজিলে যতো পণ্য বিক্রি করেছে, তার চেয়ে কম পণ্য আমদানি করেছে। চিঠিতে ট্রাম্প প্রস্তাবিত ৫০ শতাংশ শুল্ককে ‘প্রয়োজনীয়’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ব্রাজিলের বর্তমান সরকারের গুরুতর অবিচার সংশোধনের জন্য এটি জরুরি।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ ল ক আর প র

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে গুণগত মান নিশ্চিতে অ্যাক্রেডিটেশন জরুরি : শিল্প উপদেষ্টা

নিরাপদ খাদ্য ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপরিহার্য- এমন মন্তব্য করেছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। 

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে কার্যরত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়ে ভোক্তার আস্থা অর্জনের কাজ করছে।’’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম) মিলনায়তনে বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিল্প উপদেষ্টা বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতই দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড এবং অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি জিডিপিতে এই খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ এসএমই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, গুণগত মান নিশ্চিত এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতা শক্তিশালী করতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে।’’

তিনি আরও জানান, বিএবি এখন পর্যন্ত ৯০টি পরীক্ষাগার, ২২টি মান নির্ধারণ পরীক্ষাগার, ৯টি চিকিৎসা পরীক্ষাগার, ৩০টি পরিদর্শন সংস্থা এবং ৪টি সনদ প্রদানকারী সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি প্রতিষ্ঠানকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ দিয়েছে। এছাড়া, বিভিন্ন সংস্থায় গুণগত মান ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠায় ২ হাজার ৮৯৩ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান, বিআইএমের মহাপরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন বিএবির মহাপরিচালক এম এ কামাল বিল্লাহ।

চলতি বছরের বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন: ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ক্ষমতায়ন’। এ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপমহাব্যবস্থাপক ফাহিম বিন আসমত।

অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গুণগত মান ও অ্যাক্রেডিটেশন খাতের বিশেষজ্ঞ, বাণিজ্য সংগঠন ও শিল্প-ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ