‘গত কয়েক মাসে সারাদেশে মব সন্ত্রাস আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে’ দাবি করে প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষক। গতকাল বুধবার ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক’ নামে বিবৃতিটি পাঠানো হয়। তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগপন্থি নীল দলের সঙ্গে যুক্ত। 

 এটি সমন্বয় করেন নীল দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার, নীল দলের সদস্য ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক বাহাউদ্দীন, সাবেক সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক আবদুল মুহিত, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ফিরোজ আহমেদ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম মাহবুব হাসান প্রমুখ।

এ বিষয়ে অধ্যাপক রফিক শাহরিয়ার সমকালকে বলেন, ‘প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ নামে আমাদের একটি গ্রুপ আছে। কিছুদিন আগে শিক্ষকরা যখন বিপদে পড়েন, আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি, তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করি। আমরা গ্রুপে নানা বিষয়ে আলোচনা করি। যাদের নাম উল্লেখ আছে, তাদের প্রত্যেকের সম্মতি নিয়ে বিবৃতিটি দিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, তারা নীল দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেননি। সাধারণ শিক্ষক সমাজের ব্যানারে এটি দিয়েছেন। 

এদিকে বিবৃতিতে নাম থাকা নীল দলের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সীতেশ চন্দ্র বাছার সমকালকে বলেন, ‘দলের তো (নীল দল) এখন অস্তিত্ব নেই। তবুও কয়েকজন উদ্যোগ নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। আমি সম্মতি দিয়েছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের তো দায় রয়েছে।’ 

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত কয়েক মাস ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে মব সন্ত্রাসের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এতে শুধু মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিই নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। মুক্তবুদ্ধি চর্চার সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের এসব ঘটনায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও বেদনাহত। তারা বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ল দল র

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজার: টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে টানা চার কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান হয়েছে। এদিন ডিএসইতে আগের কার্যদিবসের সূচক বাড়লেও লেনদেন কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৩২.৫৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৬৮ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬.৮৪ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ১০০ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৪.৪১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৯০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

ডিএসইতে মোট ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৯৬টি কোম্পানির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টির।

আরো পড়ুন:

বন্ড ইস্যু পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনছে ইস্টার্ন ব্যাংক

বিদেশি কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে শিল্প উপদেষ্টা-বিএসইসি বৈঠক

এদিন ডিএসইতে মোট ৬৭৯ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৬৯০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬২.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫৯৮ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১৮.৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১৪ হাজার ৭৮ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৯.৮৩ পয়েন্ট বেড়ে ৮৯৬ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯৪.৮৮ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ১৩৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সিএসইতে মোট ২৩০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১২৫টি কোম্পানির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮টির।

সিএসইতে ১৪ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ