পুরাতন দুইটি ৫০০ টাকার নোট পরিবর্তনের সময় সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় দুই ইরানি যুবক গণপিটুনির শিকার হয়েছে। এ ঘটনা অজ্ঞাত পরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করে সলঙ্গা থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সোমবার (২৬ মে) সকালে সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির এই তথ্য নিশ্চিত করেন। 

রবিবার (২৫ মে) ভুইয়াগাঁতী বাজারের সুদীপ্ত ভৌমিক মার্কেটের পোল্ট্রি ফিডের দোকানে পুরাতন ৫০০ টাকার বদলাতে গিয়ে ইরানি দুই যুবক এই গণপিটুনির শিকার হোন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে সুদীপ্ত ভৌমিক মার্কেটের একটি পোল্ট্রি ফিডের দোকানে দুটি পুরাতন ৫০০ টাকার নোট পরিবর্তন করতে যান দুই ইরানি যুবক। দোকানদার সেটা পরিবর্তনও করে দেন। তবে সেটা নতুন না হওয়ায় তারা আবারও পরিবর্তন করে দিতে বলেন। কিন্তু কেউ কারও কথা ঠিকভাবে বুঝতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে দোকানদার নতুন টাকা নাই বলে ক্যাশ বাক্স খুলে তাদের দেখায়। পরে মার্কেট ও আশপাশে থাকা স্থানীয়রা অজ্ঞানপার্টি সন্দেহে ইরানি নাগরিক হুসাইনকে কিলঘুষি ও চর থাপ্পড় দিয়ে জখম করে। তার সঙ্গে থাকা ৪০ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্যামসাং স্মার্ট ফোন ছিনিয়ে নেয়। একজনের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আস্কান নামের আরেক ইরানি নাগরিককে মারধর করে। এতে তার কপাল ও বাম পায়ে জখম হয়ে রক্তক্ষরণ হয়।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ বিষয়ে রাতে ঢাকা থেকে আসা ইদ্রিস আলী নামের একজন দোভাষীর জিম্মায় দুই ইরানিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/অদিত্য/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে একটি বহুতল অফিসে বন্দুক হামলায় নিহত হয়েছেন নিউ ইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬)। জানা গেছে, তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অভিবাসী ছিলেন। খবর রয়টার্সের।

নিহত কর্মকর্তা দিদরুল ইসলামকে একজন ‘বীর বাংলাদেশি অভিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ বর্ণনা করেছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এবং নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার। তারা বলেছেন, ওই কর্মকর্তা নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে অন্যদের জীবন রক্ষা করেছিলেন।

সোমবার ম্যানহাটনের মিডটাউন অফিস টাওয়ারের ভেতরে এক বন্দুকধারী হামলা চালিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম (৩৬) সহ চারজনকে হত্যা করে। হামলাকারী পরবর্তীতে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

পুতিনকে এবার ১২ দিনের আল্টিমেটাম দিলেন ট্রাম্প

নিউ ইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪

নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “ভয়াবহ একটি বন্দুক সহিংসতার ঘটনায় আমরা চারটি প্রাণ হারিয়েছি, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগের একজন সদস্য ‘অফিসার ইসলাম’ রয়েছেন। 

অ্যাডামস জানান, নিহত অফিসার তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কর্মরত ছিলেন এবং তিনি বাংলাদেশ থেকে আসা একজন অভিবাসী।

মেয়র বলেন, “হামলার সময় অফিসার ইসলাম অন্যদের জীবন রক্ষা করছিলেন, তিনি নিউ ইয়র্কবাসীদের রক্ষা করছিলেন। তিনি এই শহরকে ভালোবাসতেন এবং আমরা যাদের সাথে কথা বলেছি তারা সবাই বলেছেন যে, তিনি একজন সৎ মানুষ ও ঈশ্বরে বিশ্বাসী ব্যক্তি ছিলেন।”

মেয়র আরো জানিয়েছেন, সোমবার রাতে তিনি অফিসর ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। 

মেয়র আরো বলেন, “আমি তাদেরকে বলেছি, অফিসার ইসলাম একজন একজন বীর এবং আমরা তার ত্যাগের প্রশংসা করি।”

নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ সংবাদ সম্মেলনে জানান, অফিসার ইসলাম বিবাহিত ছিলেন এবং তার দুটি সন্তান ছিল। তার স্ত্রী তৃতীয় সন্তানের মা হতে চলেছেন।

পুলিশ কমিশনার বলেন, “অফিসার ইসলাম নিজেকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছিলেন। তিনি চূড়ান্ত ত্যাগ স্বীকার করেছিলেন, তাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল।”

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
  • স্কিন ব্যাংকে পর্যাপ্ত ত্বক থাকলে ৪০ শতাংশের বেশি দগ্ধ রোগীকেও বাঁচানো যায়
  • রাগ নিয়ন্ত্রণে হাদিসের ৭ উপদেশ
  • চুলে গুঁজে দিলেন ৭১১ গলফ ‘টি’
  • বাবা হারালেন চিত্রনায়িকা মিষ্টি জান্নাত
  • ‘নতুন একটি দলের কয়েকজন মহারথী’ বলার পর বক্তব্য বদলালেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে একজনের মৃত্যু
  • ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতেন না: নাহিদ
  • কাভার্ড ভ্যানের পেছনে ধাক্কা দিয়ে দুমড়েমুচড়ে গেল যাত্রীবাহী বাস
  • নিউ ইয়র্কে নিহত বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তা সম্পর্কে যা জানা গেলো