বিদেশি এয়ারলাইনস বা বিমান সংস্থাগুলোর স্থানীয় বিক্রয় প্রতিনিধিদের (জিএসএ) নিয়ে গঠিত এয়ারলাইনস জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।

গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে এক হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনটির লোগো উন্মোচন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো.

মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া।

এয়ারলাইনস ব্যবসায় জিএসএ বা বিক্রয় প্রতিনিধি বলতে এমন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যাকে কোনো নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে কোনো বিমান সংস্থার পক্ষ থেকে বিক্রয় ও বিপণনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই জিএসএরা বিমানের টিকিট বিক্রি, গ্রাহকসেবা, প্রচার, বিপণন ও ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য কাজ করে।

অন্যদিকে বিমান সংস্থাগুলোও কোনো দেশ বা অঞ্চলে সরাসরি নিজস্ব অফিস না খুলে জিএসএ নিয়োগ করে। এতে তাদের খরচ কমে, পূর্ণাঙ্গ কার্যালয় চালানোর প্রয়োজন হয় না।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশে বর্তমানে ৭০টির বেশি বিদেশি বিমান সংস্থা স্থানীয় জিএসএদের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছে। প্রাথমিকভাবে ফোরামের সদস্য হয়েছে ২৮টি জিএসএ কোম্পানি, যারা ৫০টির বেশি বিদেশি বিমান সংস্থার প্রতিনিধিত্ব করছে। এয়ারলাইনস জিএসএ ফোরাম অব বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা আশা প্রকাশ করছেন, অন্যান্য স্থানীয় জিএসএ কোম্পানিও দ্রুত সংগঠনটির সদস্য হবে।

স্বাগত বক্তব্যে জিএসএ ফোরামের আহ্বায়ক আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ বলেন, বিভিন্ন বিদেশি বিমান সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে উৎসাহী ও উদ্যোগী করতে স্থানীয় জিএসএ প্রতিষ্ঠানদের অগ্রণী ভূমিকা আছে। বাংলাদেশের বিমান পরিবহন খাত এগিয়ে নিতে ও বাংলাদেশকে বিমান চলাচলের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে এই ফোরাম সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

অনুষ্ঠানে বিমান পরিবহন খাত নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিএএস গ্রুপের পরিচালক মুজাক্কের হক। তিনি জানান, বিমান সংস্থাগুলো বাংলাদেশ থেকে ৩০টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে সরাসরি উড়ান পরিচালনা করছে। এতে কোম্পানিগুলো বছরে কমপক্ষে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে বিমান সেবা দেয় এবং ন্যূনতম আড়াই লাখ টন কার্গো পরিবহন করে। বিমান পরিষেবা ব্যবসার সঙ্গে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার উদ্যোক্তা জড়িত। এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় সোয়া লাখ মানুষের।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে কাজ করা জিএসএ কোম্পানিগুলো বিমান পরিবহন শিল্পের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। প্রশিক্ষণ, সেমিনার ও কর্মশালার মাধ্যমে জিএসএ ও বিমান পরিবহন খাতের পেশাজীবীদের জ্ঞান ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে জিএসএ ফোরামের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন খালেদ ইউসুফ ফারাজী, আরিফ রহমান, মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ ডন, সোহাগ হোসেন, এম এ লতিফ শাহরিয়ার জাহেদী, মিজানুর রহমান, মুজাক্কের হক, মাহবুবুল আনাম, রাজীবুল হক চৌধুরী, শাদাত হোসেন, ইয়ামি এম সালেহ, আহমেদ ইউসুফ ওয়ালিদ ও তৌফিক উদ্দিন আহমেদ।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ম ন পর বহন জ এসএ ফ র ম অন ষ ঠ ন য় জ এসএ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত

ভোলায় গ্যাস ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিতে চলমান ছয় দফা আন্দোলন স্থগিত করেছে ‘আমরা ভোলাবাসী’। সরকারি আশ্বাসের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন নেতারা।

সংগঠনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ও আমরা ভোলাবাসীর জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সদস্য রাইসুল আলম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মোতাসিন বিল্লাহ, ভোলা জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী, ভোলা আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মোবাশ্বিরুল হক নাঈম, ইসলামী আন্দোলনের ভোলা উত্তর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. কামাল হোসেন ও আমরা ভোলাবাসীর সদস্যসচিব মীর মোশাররফ হোসেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ভোলার গ্যাস স্থানীয়ভাবে ব্যবহারের দাবিসহ ছয় দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। সরকারের সঙ্গে একাধিক বৈঠকের মাধ্যমে দাবি আদায়ে অগ্রগতি হয়েছে।

আমরা ভোলাবাসীর দাবির মধ্যে রয়েছে, ভোলায় মেডিকেল কলেজ স্থাপন, বিদ্যমান ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার সুবিধা নিশ্চিত করা, ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণ, ঘরে ঘরে গ্যাস সরবরাহ, গ্যাসভিত্তিক শিল্পকারখানা স্থাপন ও নদীভাঙন প্রতিরোধ।

সংগঠনটি জানায়, আন্দোলনের আগে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটিতে মাত্র আট চিকিৎসক কর্মরত ছিলেন, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ জন। আরও চিকিৎসক, নার্স ও যন্ত্রপাতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সরকার। মেডিকেল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে নতুন মেডিকেল কলেজ হলে, সেটি ভোলায় হবে। ভোলা–বরিশাল সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রেও ফিজিবিলিটি স্টাডি ও নকশা সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০২৬ সালের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

সার কারখানা ও ইপিজেড স্থাপনের জন্য জমি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতারা। গ্যাস–সংযোগের বিষয়ে জানানো হয়, সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানিকে ডিমান্ড নোট জমা দেওয়া ২ হাজার ১৪৫ গ্রাহককে গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হবে এবং ন্যায্যমূল্যে ২০ হাজার সিলিন্ডার বিতরণ করা হবে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী দুই মাসের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলে আবার কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের থেকে তরুণদের দূরে থাকতে হবে: মজিবুর রহমান
  • শিশু নাঈমের পাশে ইবি ক্রিকেট ক্লাব
  • ছয় দফা দাবিতে ‘আমরা ভোলাবাসী’র আন্দোলন ‘সরকারি আশ্বাসে’ স্থগিত