ভারত-বাংলাদেশের মতো দেশে জিডিপির বড় অংশই ধনীদের কাছে যাচ্ছে: অভিজিৎ ব্যানার্জি
Published: 26th, May 2025 GMT
নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেছেন, গত ৩০-৪০ বছর ধরে বাংলাদেশ ও ভারতের মতো দেশগুলোতে জিডিপির বড় অংশই ধনীদের কাছে যাচ্ছে এবং ক্রমশ তা বাড়ার কারণে এসব দেশে জিডিপি অনুযায়ী দারিদ্রতা কমছে না।
আজ সোমবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত ‘ট্রান্সফরমিং ডেভেলপমেন্ট: বিল্ডিং এ কালচার অব একাউন্টিবিলিটি থ্রু ইভ্যালুয়েশন, অডিটিং অ্যান্ড ইথিক্স’ শিরোনামে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগদান করে এ কথা বলেন তিনি।
অভিজিৎ ব্যানার্জি বলেন, জিডিপি কতোটা দরিদ্রদের কাছে পৌঁছায় এবং কতোটা ধনীদের কাছে পৌঁছায় তার ওপর নির্ভর কর দারিদ্র্যতার হার কতোটা কমবে। গত ৩০-৪০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ও ভারতসহ পৃথিবীর বহুদেশে এর বৃহৎ অংশ ধনীদের কাছে যাচ্ছে এবং তা ক্রমশ বাড়ছে। আমাদের দেখতে হবে জিডিপির প্রকৃত সুফল কে ভোগ করছে।
তিনি বলেন, ১০ বছর আগেও বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি, এক্সচেঞ্জ রেট, বিভিন্ন দেশের সরকারের ঋণ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যা এখন বৃহত্তর পরিসরে প্রশ্নাতীত। পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল চ্যালেঞ্জ বৃহৎ ফার্মগুলোর টিকে থাকার ক্ষেত্রে ঝূঁকি তৈরি করছে। বাংলাদেশে মাইগ্রেশন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড.
তিনি বলেন, ‘অডিট রিপোর্টে বিভিন্ন সংখ্যা থাকে। কিন্তু ওই সংখ্যার পেছনে নানা গোপণে প্রক্রিয়া থাকে। অডিট ও একান্টিংয়ে অভিজ্ঞরাও সংখ্যার পেঁছনের গল্পগুলো জানেন না।’
প্রকল্পে স্বচ্ছতার জন্য সোশ্যাল অডিট প্রয়োজন উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘লোকাল পিপুল আর দ্য জজ। ১৯৮০ এর দশকে প্রজেক্টের আওতায় কোথায় কি কাজ হবে, কতো খরচ হবে- তা প্রকল্প এলাকায় সাইনবোর্ড লাগিয়ে জনগণকে জানানো হতো। তখন স্থানীয় জনতা এর যৌক্তিকতা নির্ধারণ করতে পারতো।’
তিনি বলেন, ‘অডিটরা রিপোর্ট ম্যানুপুলেট করতে পারে, তারা প্রায়শই মানহীন রিপোর্ট তৈরি করে। তাই ইভিডেন্স ও নাম্বার পলিসি গ্রহণে সব সময় পর্যাপ্ত নয়।’
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড অভ জ ৎ ব য ন র জ প রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
কৈশোর পেরোনোর আগেই শাহানাবাড়ির মেয়ে দীপার বিয়ে হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতনের জাল ছিঁড়ে নিজের মতো করে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। নব্বইয়ের দশকের পটভূমিতে দীপার বেঁচে থাকার লড়াইয়ের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে বাড়ির নাম শাহানা।
সত্য কাহিনি অবলম্বনে নির্মিত বাড়ির নাম শাহানায় দীপা চরিত্রে অভিনয় করেছেন আনান সিদ্দিকা। ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে কমলা কালেক্টিভ ও গুপী বাঘা প্রোডাকশন্স লিমিটেড।
নির্মাণের বাইরে লীসা গাজী লেখক, নাট্যকর্মী হিসেবে পরিচিত