ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে কুমিল্লায় মহাসড়কের দুই পাশে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
Published: 26th, May 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশ থেকে শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। আসন্ন ঈদযাত্রায় যানজটমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযান হয়। এতে অংশ নেয় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ, সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও থানা-পুলিশ। বেলা সাড়ে তিনটায় অভিযান শেষ হয়।
ঢাকামুখী লেনের দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকা থেকে ঢাকা-মতলব সড়ক পর্যন্ত এবং চট্টগ্রামমুখী লেনে পেন্নাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন দাউদকান্দির সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সওজ কুমিল্লার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী এবং গৌরীপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, সওজের জমি ও ফুটপাত দখল করে একাধিক প্রভাবশালী মহল দীর্ঘদিন ধরে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছিল। এতে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সারা বছরই যানজট লেগে থাকে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদওয়ান ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘উচ্ছেদের আগে আমরা গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে দোকান সরিয়ে নিতে বলেছিলাম। এমনকি উপজেলা পরিষদের কর্মীদের মাধ্যমে দোকানদারদের সরাসরি অনুরোধও করা হয়। কিন্তু কেউই অবৈধ স্থাপনা সরাননি। তাই বাধ্য হয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানের সময় প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে তাঁদের মালপত্র সরিয়ে নিতে সময় দেওয়া হয়েছে।’
রেদওয়ান ইসলাম আরও বলেন, এখন থেকে কেউ সওজের জমি দখল করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঈদ সামনে রেখে মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে উচ্ছেদ অভিযান চলবে। পরে মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনাগুলোও পর্যায়ক্রমে উচ্ছেদ করা হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
২২ অনাথ কাশ্মীরি শিশুর পড়াশোনার দায়িত্ব নিলেন রাহুল গান্ধী
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন পাকিস্তানি গোলায় ভারত–নিয়ন্ত্রিত জম্মু–কাশ্মীরে যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের পরিবারের ২২ অনাথ শিশুর লেখাপড়ার পুরো দায়িত্ব নিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ওই শিশুরা পুঞ্চ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা।
স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজে উঠে স্নাতক হওয়া পর্যন্ত ওই শিশুদের পড়াশোনার সব খরচ রাহুল গান্ধী বহন করবেন। সেই খরচের প্রথম কিস্তির টাকা বুধবার ওই পড়ুয়াদের স্কুলে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের কংগ্রেস সভাপতি তারিক হামিদ কাররা।
পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল পর্যটকদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছিল কয়েকজন জঙ্গি। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন মোট ২৬ জন পর্যটক। প্রত্যাঘাতের জন্য ভারত শুরু করে অপারেশন সিঁদুর। চার দিনের সেই লড়াইয়ের সময় জম্মুর সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রবল গোলাবর্ষণ করে পাকিস্তান। সেই হামলায় মারা গিয়েছিলেন ২৭ জন গ্রামবাসী। আহত হয়েছিলেন ৭০ জনের বেশি। যাঁরা নিহত হয়েছিলেন, ওই ২২ শিশু ওইসব পরিবারেরই সন্তান। তাদের কেউ বাবা, কেউ মা, কেউ–বা দুজনকেই হারিয়েছে। কারও পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রাহুল গত মে মাসে ওইসব এলাকায় গিয়েছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। অনাথ শিশুদের স্কুলেও গিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি দলীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন অনাথ শিশুদের তালিকা তৈরি করতে। সরকারি নথির সঙ্গে সেই নাম মিলিয়ে ২২ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত হয়। পুঞ্চ জেলা সফরের সময় রাহুল তাঁর ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেছিলেন, ওই শিশুদের স্নাতক স্তর পর্যন্ত পড়াশোনার সব খরচ তিনি দেবেন।
পাকিস্তানের গোলার আঘাতে মারা গিয়েছিলেন ১২ বছরের দুই যমজ ভাই–বোন জাইন আলি ও উরবা ফতিমা। রাহুল তাঁদের স্কুলে গিয়েছিলেন। সেই স্কুলের পড়ুয়াদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের বলেছিলেন, তোমরা তোমাদের বন্ধুদের হারিয়েছ। সে জন্য তোমাদের মন খারাপ। ওই মৃত্যু আমাকেও দুঃখ দিয়েছে। তোমাদের দুঃখ আমি বুঝি। কিন্তু তোমাদের জন্য আমি গর্বিত। তোমরা ভয়কে জয় করেছ। রাহুল ওই শিশুদের বলেছিলেন, ভয়কে জয় করতে হবে। সুদিন আসবে। সব আবার স্বাভাবিক হবে।
ওই ২২ জনের জন্য বছরে কত খরচ হবে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তা জানাননি।