আসছে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ সিনেমার রিমেক, থাকছেন না ফেরদৌস-প্রিয়াঙ্কা
Published: 26th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত দর্শকনন্দিত সিনেমা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ মুক্তি পায় ১৯৯৮ সালে। টিভি প্রিমিয়ারের পর দর্শকের আগ্রহে প্রেক্ষাগৃহেও মুক্তি পায় সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছিলেন কলকাতার বরেণ্য নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জি। মুক্তির দুই যুগেরও বেশি সময় পর এটি রিমেক হচ্ছে। ‘আবার হঠাৎ বৃষ্টি’ নামে সিনেমাটি প্রযোজনার দায়িত্বে আছে আশীর্বাদ চলচ্চিত্র।
সোমবার রাজধানীর উত্তরার আনন্দবাড়িতে মহরতের মাধ্যমে এর শুটিং শুরু হয়েছে। পরে শ্রীমঙ্গলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় দৃশ্য ধারণ হবে বলে নির্মাতা জানিয়েছেন। এবার সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও আশীর্বাদ চলচ্চিত্র।
পরিচালনার দায়িত্বে আছেন কামরুজ্জামান। সিনেমাটি উপদেষ্টা পরিচালক হিসেবে আছেন নন্দিত নির্মাতা ছটকু আহমেদ। এতে অজিত চরিত্রে অভিনয় করবেন সাদী খান ও দীপা নন্দীর চরিত্রে দেখা যাবে রাফিদাকে। দু’জনই সিনেমায় নতুন মুখ। এ ছাড়া সিনেমার আরও গুরুপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করবেন আজাদ আবুল কালাম, ফারজানা ছবি, কায়েস আরজুসহ অনেকেই।
নির্মাতা কামরুজ্জামান বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ আমাদের কাছে এক নস্টালজিয়া। সিনেমাটি ভারত বাংলাদেশসহ অনেক দেশের দর্শকরা পছন্দ করেছেন। সেই সিনেমা রিমেক হচ্ছে ভাবতেই ভালো লাগছে। সিনেমাটি দর্শকনন্দিত, তাই কাজটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। শুটিং শুরু করেছি। আশা করছি, সবার সহযোগিতায় কাজটি ভালোভাবেই শেষ করতে পারব। সিনেমাটি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। তবে এটি নিয়ে সবার বেশ আগ্রহ লক্ষ্য করছি। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব।’
বলা দরকার, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ। প্রথম সিনেমাতেই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা পান তিনি। পাশাপাশি ঘরে তোলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। তাঁর বিপরীতে ছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। তিনিও অভিনয় দিয়ে দর্শক প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করে বাংলাদেশের আশীর্বাদ চলচ্চিত্র ও ভারতের গ্রামকো ফিল্মস। আর সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী এই ছবির গান দিয়ে দুই বাংলার শ্রোতাদের মন জয় করেছিলেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।