ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুটি বিভাগের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩০তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আইন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘আল-ফিকহ অ্যান্ড ল’ হবে। আর বিজ্ঞান অনুষদের অন্তর্ভুক্ত জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি’ নামকরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.

মনজুরুল হক বলেন, নামের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পরবর্তী সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে। অনুমোদন পেলে কার্যকর হবে এ সিদ্ধান্ত।

জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, নাম পরিবর্তন করা নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে বিভাগটি আগের নামে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর ২৫৬তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড জিওগ্রাফি বিভাগের নাম পরিবর্তন করে জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নামকরণ করা হয়। দুই বছর পর ২০২৪ সালে বিভাগটির নাম পরিবর্তনের দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীদের একাংশ।

শিক্ষার্থীরা বিভাগের নাম এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি নামকরণের দাবি জানান। আরেকটি অংশ জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নামই বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। এ দাবি আদায়ে দুই পক্ষকে বিভিন্ন সময় মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে দেখা যায়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অ য ন ড এনভ য়রনম ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

মামলা করলেন ঢাবির সেই শিক্ষিকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষিকার এডিটেড ও ‘আপত্তিকর’ ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা শেহরীন আনিম ভূঁইয়া মোনামী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামালাটি করেন।

শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খালেদ মনসুর রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন আসামি মুজতবা খন্দকার সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট। মুজতবা তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শিক্ষিকার ছবি অশালীনভাবে এডিট করে পোস্ট করেন এবং ক্যাপশনে লেখেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইনি, পোশাকের স্বাধীনতায় পরেছে বিকিনি।”

এছাড়া আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে। মামলায় বেশ কিছু অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে, যারা এই ছবি ও তথ্য ছড়াতে সাহায্য করেছেন।

ঢাকা/এমআর/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ