প্রথম আলো:

অনেক কাজ যখন হয় তখন এর মধ্য থেকে কতটা বৈচিত্র্য উপহার দেওয়া সম্ভব?

ইমরান মাহমুদুল : সত্যি বলতে, আমি কিন্তু অডিও এবং সিনেমায় অত বেশি কাজ করি না। আমাদের তো সবকিছু এখন ঈদকেন্দ্রিক হয়ে গেছে, ঈদে মোটামুটি যে কয়টা সিনেমা মুক্তি পায়, সেখানে একটা, দুটো কখনো তিনটা সিনেমায় আমার গান থাকে। পাঁচটা সিনেমা মুক্তি পেলে সব সময় সব কটায় তো গান থাকে না। সিনেমার গানে কিন্তু দারুণ বৈচিত্র্য থাকে। একেক গানের প্লট ভিন্ন থাকে। পরিচালকদের ভাবনাচিন্তা আলাদা থাকে। যেমন গত রোজার ঈদে আমার তিন রকম তিনটি গান মুক্তি পেয়েছে। এর মধ্যে ‘কন্যা’ রিদমিক, ‘মায়াবী’ সিনেমাটিক, ‘বন্ধু গো শোনো’ রোমান্টিক। এসবে মনে হয় সিনেমায় বরং অনেক বৈচিত্র্য থাকে। অডিওতে তো আমি তেমন কাজ করি না, বছরে চারটার মতো গান করা হয়। সে ক্ষেত্রে আমার মতো করে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি।

প্রথম আলো :

সিনেমার গানের নিজের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কতটা সুযোগ থাকে?

ইমরান মাহমুদুল : সিনেমার গানে পরিচালক, প্রযোজক, নায়ক-নায়িকা—সবার মতামত থাকে। সবার মতামত যখন একটা জায়গা মিলিত হয়, তখনই তৈরি হয় সিনেমার গান। বিষয়টা এমন না যে আমি একটা গান বানালাম, এটাই হতে হবে, এটাই ফাইনাল। কারণ, সিনেমার গান চিত্রায়ণের পরও বদলে যায়। অনেক কিছু নায়ক-নায়িকার পরামর্শেও বদল করতে হয়। সিনেমার কাজ বরাবরই এ রকম। পরীক্ষা–নিরীক্ষার সুযোগ থাকে, তবে সবাইকে নিয়ে বসে, আলোচনা সাপেক্ষে।

ইমরান মাহমুদুল। শিল্পীর সৌজন্যে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতীয়দের সঙ্গে একটি দলের প্রত্যাশা মিলে যাওয়ায় আমরা শঙ্কিত: চরমোনাই পীর

দ্রুত নির্বাচন নিয়ে ভারতীয়দের সঙ্গে একটি দলের প্রত্যাশা মিলে যাওয়ায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভারতীয়দের কোনো চাওয়া ও প্রত্যাশা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।

বৃহস্পতিবার বগুড়ার ধুনট শহীদ মিনার চত্বরে এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন সৈয়দ রেজাউল করীম। জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) নির্বাচনব্যবস্থা, বিতর্কিত নারী সংস্কার কমিশন বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে ইসলামী আন্দোলন ধুনট উপজেলা শাখা এ গণসমাবেশের আয়োজন করে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো এখন দুই ভাগে বিভক্ত। দেশপ্রেমী ও ক্ষমতাপ্রেমী। দেশপ্রেমীরা সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন চাইছে; আর ক্ষমতাপ্রেমীরা দ্রুত নির্বাচন চাইছে। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের জন্য ভারতীয়রাও আগ্রহী। আমাদের দেশের কিছু দলও আগ্রহী। ভারতীয়দের সঙ্গে এদের আগ্রহ মিলে যাওয়ায় আমরা শঙ্কিত।’

এ সময় হুঁশিয়ারি দিয়ে চরমোনাইর পীর বলেন, ভারতীয়দের কোনো চাওয়া ও প্রত্যাশা বাংলাদেশে বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না। বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচন করছে, তাদের অতীত জানি। বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন এদের নেতৃত্বেই হয়েছিল। জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সেই সুযোগ আর কাউকে দেওয়া হবে না।’

এ সময় সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, পতিত স্বৈরাচারের লোকপ্রশাসনসহ সর্বত্র ঘাপটি মেরে আছে। তাঁরা সুযোগ খুঁজছে। এরা অন্তর্বর্তী সরকারকে কাজ করতে দিচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন আয়োজন করা।

ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘সেই কাজে প্রত্যাশা পূরণ না হলেও তারা (সরকার) সংস্কার ও বিচারের কাজে এগিয়ে নিচ্ছে। এখানে কোনো অবহেলা হলে আমরা প্রতিবাদ করব; কিন্তু নির্বাচন নির্বাচন করে দেশকে অস্থিতিশীল করার কোনো অর্থ হয় না।’

সমাবেশে অন্যদের মধে৵ বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির আবদুল হক আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ