চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতালের নার্স-কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একদল দুর্বৃত্তরা লাঠি ও রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।

জানা যায় গতকাল হাসপাতালের পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীকে তার নিজ রুমে অবরুদ্ধ করে আহত জুলাই যোদ্ধারা। এ ঘটনায় নিরাপত্তা চেয়ে সকাল ৮টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের নার্স ও কর্মচারী। এতে চারশ থেকে পাঁচশ রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যান। 

ফাতেমা খাতুনের আজ চোখের ছানি অপারেশন হওয়ার কথা ছিল। তবে কর্মবিরতি থাকার কারণে সেটা করা সম্ভব হয়নি তার বড় ছেলে শাহিদুর ইসলাম বলেন, বুধবার সকালে আমার মায়ের অপারেশন করার কথা ছিল। হাসপাতালে এসে দেখেছি নার্স ও কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছে, অস্ত্রোপচারের বিষয় জানতে চাইলে কেউ কোনো কথা বলতে রাজি হননি। শুধু আমার মায়ের না কয়েকশ রোগীকে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখেছি।

পরিচালক ডা.

খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাকে কাল কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে জুলাই যোদ্ধারা। এ সময় একাধিক ব্যক্তি গায়ে কেরোসিন ও পেট্রল ঢেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাই চিকিৎসক ও নার্সরা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ওমরাহর, ইহরাম, তাওয়াফের ফরজ এবং ওয়াজিব

মসজিদুল হারামের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থানটি হিল নামে পরিচিত। এই হিল অথবা মিকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে। 
৯ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত সময় ছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। হজের পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরুহ। (আল-বাহরুল আমিক, ৪/২০২১)। 

ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
ওমরাহর ফরজ ২টি: ইহরাম ও তাওয়াফ।
ওমরাহর ওয়াজিব ২টি: সাঈ ও হলক করা। 

নারীদের ইহরাম
নারীদের ইহরাম একটু ভিন্ন। নারীদের ইজার ও রিদা পরতে হয় না; বরং নারীরা যে কোনো রঙের বা প্রকারের কাপড় পরতে পারেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোনোভাবেই যেন এমন ধরনের কাপড় না পরা হয়, যাতে পর্দা নষ্ট হয়।
ইহরামের ফরজ ২টি: নিয়ত করা ও তালবিয়া পড়া।
ইহরামের ওয়াজিব ২টি: মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা এবং নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকা।

তাওয়াফ
তাওয়াফের ফরজ ৩টি: ১. নিয়ত করা। ২. বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা। ৩. নিজে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের ওয়াজিব ৬টি: ১. শরীর পাক রাখা। ২. হেঁটে তাওয়াফ করা। ৩. হাতিমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করা। ৪. তাওয়াফের সাত চক্কর পুরো করা। ৫. তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করা। ৬. তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়া।
তাওয়াফের সুন্নত ৪টি: ১. হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে তাওয়াফ শুরু করা। ২. প্রথম তিন তাওয়াফে রমল করা (বীরের মতো চলা)। ৩. প্রতি চক্করে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ৪. তাওয়াফ ও নামাজ শেষে জমজমের পানি পান করা।

সাঈ
সাঈ মানে সাতটি দৌড়। সাঈ করার সময় সবুজ বাতির নিচে পুরুষেরা দৌড়াবেন। নারীরা স্বাভাবিকভাবে চলবেন (বাদায়েউস সানায়ে, ২/৪৮০)। 
সাঈর ওয়াজিব: ১. ওজর না থাকলে হেঁটে সাঈ করা। ২. সাত চক্কর পুরো করার পর মাথা মুণ্ডন করা।
ওমরাহর কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন তাওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ