চুয়েটে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ২৬ জুন
Published: 28th, May 2025 GMT
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ওরিয়েন্টেশনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে বলে ভর্তি সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল চুয়েটের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রকাশিত মেধাতালিকা অনুযায়ী ৯ ও ২৩ এপ্রিল এবং সর্বশেষ ১৪মে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তৃতীয় ধাপের ভর্তি শেষেও কিছু আসন ফাঁকা রয়েছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন ভর্তি কমিটির সভাপতি চুয়েটের পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডীন সুদীপ কুমার পাল।
সুদীপ কুমার পাল বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত তিন ধাপে ভর্তি নিয়েছি। বর্তমানে ১০-১২ টি আসন ফাঁকা রয়েছে। সেগুলোর জন্য আগামী ১৬ জুন মেধা তালিকার ২৮০১-২৯০০ পর্যন্ত ১০০ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তির জন্য ডাকা হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিকভাবে ২৬ জুন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ওরিয়েন্টেশনের পরদিন থেকেই তাদের ক্লাস শুরু হবে। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ওরিয়েন্টেশনের আগের দিন পর্যন্ত ভর্তি প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি চুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৯৩১টি আসনে শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ওমরাহর, ইহরাম, তাওয়াফের ফরজ এবং ওয়াজিব
মসজিদুল হারামের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থানটি হিল নামে পরিচিত। এই হিল অথবা মিকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে।
৯ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত সময় ছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। হজের পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরুহ। (আল-বাহরুল আমিক, ৪/২০২১)।
ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
ওমরাহর ফরজ ২টি: ইহরাম ও তাওয়াফ।
ওমরাহর ওয়াজিব ২টি: সাঈ ও হলক করা।
নারীদের ইহরাম
নারীদের ইহরাম একটু ভিন্ন। নারীদের ইজার ও রিদা পরতে হয় না; বরং নারীরা যে কোনো রঙের বা প্রকারের কাপড় পরতে পারেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোনোভাবেই যেন এমন ধরনের কাপড় না পরা হয়, যাতে পর্দা নষ্ট হয়।
ইহরামের ফরজ ২টি: নিয়ত করা ও তালবিয়া পড়া।
ইহরামের ওয়াজিব ২টি: মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা এবং নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকা।
তাওয়াফ
তাওয়াফের ফরজ ৩টি: ১. নিয়ত করা। ২. বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা। ৩. নিজে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের ওয়াজিব ৬টি: ১. শরীর পাক রাখা। ২. হেঁটে তাওয়াফ করা। ৩. হাতিমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করা। ৪. তাওয়াফের সাত চক্কর পুরো করা। ৫. তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করা। ৬. তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়া।
তাওয়াফের সুন্নত ৪টি: ১. হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে তাওয়াফ শুরু করা। ২. প্রথম তিন তাওয়াফে রমল করা (বীরের মতো চলা)। ৩. প্রতি চক্করে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ৪. তাওয়াফ ও নামাজ শেষে জমজমের পানি পান করা।
সাঈ
সাঈ মানে সাতটি দৌড়। সাঈ করার সময় সবুজ বাতির নিচে পুরুষেরা দৌড়াবেন। নারীরা স্বাভাবিকভাবে চলবেন (বাদায়েউস সানায়ে, ২/৪৮০)।
সাঈর ওয়াজিব: ১. ওজর না থাকলে হেঁটে সাঈ করা। ২. সাত চক্কর পুরো করার পর মাথা মুণ্ডন করা।
ওমরাহর কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন তাওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা।