Samakal:
2025-05-29@18:44:31 GMT

ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে কী হয়

Published: 28th, May 2025 GMT

ভেজা চুল নিয়ে ঘুমালে কী হয়

অনেকেরই রাতে গোসলের অভ্যাস আছে। কেউ কেউ আবার রাতে  শ্যাম্পুও করেন চুলে। কিন্তু চুল না শুকিয়ে ভেজা অবস্থাতেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও আরও অনেক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। যেমন-

খুশকির সমস্যা
ভেজা চুলে ঘুমোলে মাথার ত্বকে খুশকি, ডার্মাটাইটিসের প্রবণতা বাড়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ ভেজা মাথায় ব্যাকটেরিয়া এবং ইস্ট বৃদ্ধি পেতে থাকে। যার ফলে ফলিকুলাইটিস বা সেবোরিক ডার্মাটাইটিস রোগে চুলের স্বাস্থ্যের অবনতিও হতে পারে।

মাথার ত্বকে ব্রণ
ভেজা চুলে ঘুমালে মাথার ত্বকেও ব্রণ হতে পারে। ভেজা চুলে বেশিক্ষণ থাকলে মাথার ত্বক অত্যধিক আর্দ্র হয়ে যায়। আর তাতেই ব্যাকটেরিয়ার বেড়ে যায়। তখন মাথার ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করে। চুলকানির মতো সমস্যাও হতে পারে। 

চুলের ডগা ভাঙা
ভেজা চুলে শুয়ে পড়লে ডগা ভাঙতে শুরু করে। ভেজা অবস্থায় চুল বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায়। ঘুমানোর সময় বালিশ, বিছানার চাদরে ঘষা লেগে চুল ছিঁড়ে যায়। কোঁকড়া চুলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা কিছুটা কম হলেও স্ট্রেট চুল বেশি ভাঙে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ ল র যত ন ম থ র ত বক সমস য

এছাড়াও পড়ুন:

ওমরাহর, ইহরাম, তাওয়াফের ফরজ এবং ওয়াজিব

মসজিদুল হারামের সীমানার বাইরে মিকাতের ভেতরের স্থানটি হিল নামে পরিচিত। এই হিল অথবা মিকাত থেকে ইহরামের নিয়ত করে বায়তুল্লাহ শরিফ তাওয়াফ করা, সাফা-মারওয়া সাঈ করা এবং মাথার চুল ফেলে দেওয়া বা ছোট করাকে ওমরাহ বলে। 
৯ থেকে ১৩ জিলহজ পর্যন্ত সময় ছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরাহ পালন করা যায়। হজের পাঁচ দিন ওমরাহ করা মাকরুহ। (আল-বাহরুল আমিক, ৪/২০২১)। 

ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
ওমরাহর ফরজ ২টি: ইহরাম ও তাওয়াফ।
ওমরাহর ওয়াজিব ২টি: সাঈ ও হলক করা। 

নারীদের ইহরাম
নারীদের ইহরাম একটু ভিন্ন। নারীদের ইজার ও রিদা পরতে হয় না; বরং নারীরা যে কোনো রঙের বা প্রকারের কাপড় পরতে পারেন। তবে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোনোভাবেই যেন এমন ধরনের কাপড় না পরা হয়, যাতে পর্দা নষ্ট হয়।
ইহরামের ফরজ ২টি: নিয়ত করা ও তালবিয়া পড়া।
ইহরামের ওয়াজিব ২টি: মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা এবং নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে থাকা।

তাওয়াফ
তাওয়াফের ফরজ ৩টি: ১. নিয়ত করা। ২. বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করা। ৩. নিজে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের ওয়াজিব ৬টি: ১. শরীর পাক রাখা। ২. হেঁটে তাওয়াফ করা। ৩. হাতিমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করা। ৪. তাওয়াফের সাত চক্কর পুরো করা। ৫. তাওয়াফ হাজরে আসওয়াদ থেকে শুরু করা। ৬. তাওয়াফ শেষে মাকামে ইব্রাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়া।
তাওয়াফের সুন্নত ৪টি: ১. হাজরে আসওয়াদের দিকে মুখ করে তাওয়াফ শুরু করা। ২. প্রথম তিন তাওয়াফে রমল করা (বীরের মতো চলা)। ৩. প্রতি চক্করে সম্ভব হলে হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা। ৪. তাওয়াফ ও নামাজ শেষে জমজমের পানি পান করা।

সাঈ
সাঈ মানে সাতটি দৌড়। সাঈ করার সময় সবুজ বাতির নিচে পুরুষেরা দৌড়াবেন। নারীরা স্বাভাবিকভাবে চলবেন (বাদায়েউস সানায়ে, ২/৪৮০)। 
সাঈর ওয়াজিব: ১. ওজর না থাকলে হেঁটে সাঈ করা। ২. সাত চক্কর পুরো করার পর মাথা মুণ্ডন করা।
ওমরাহর কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে হবে, যেমন তাওয়াফ করা, নামাজ আদায় করা, জমজমের পানি পান করা, সাঈ করা (সাফা-মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো), মাথা ন্যাড়া অথবা চুল ছোট করা।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ