ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৩৪ কিলোমিটারজুড়ে যানজট, ভোগান্তি
Published: 28th, May 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। সরাইল উপজেলায় একটি কাভার্ড ভ্যান বিকল হওয়ায়, মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরের গর্ত ও সংস্কারকাজের জন্য আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে এ যানজট শুরু হয়। পরে দুপুর ১২টার পর মহাসড়কটিতে যানচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আজ বেলা দুইটার পর মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বেড়তলা থেকে বাবিউড়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়ে সরাইলের পাশাপাশি আশুগঞ্জ, বিজয়নগর ও সদর উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত মহাসড়কটির প্রায় পুরো অংশে (৩৪ কিলোমিটার এলাকা) থেমে থেমে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। বেলা সাড়ে তিনটার পর পুরো ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়কে চলমান উন্নীতকরণ কাজটি ২০১৭ সাল থেকে ধীরগতিতে চলছে। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’ এ কাজের তদারকি করছে। নানা কারণে মাঝে কয়েক দফায় কাজ বন্ধ ছিল। এ কারণে সরাইল বিশ্বরোড মোড়সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই সেখানে যানজট লেগে থাকে। গত ১৯ এবং ২০ মে টানা দুই দিন এ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সরাইল উপজেলা প্রশাসন, সরাইল থানার পুলিশ এবং হাইওয়ে থানার পুলিশ ইটবালি দিয়ে গর্ত ভরাট করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আবার সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সারিও দীর্ঘ হতে থাকে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৩৪ ক ল ম ট র দ র ঘ য নজট উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে বৃষ্টি-জোয়ারে সড়ক বিচ্ছিন্ন, মানুষের দুর্ভোগ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বলিরপোল-নাছিরগঞ্জ সড়কটি অতিবৃষ্টি ও মেঘনা নদীর জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে স্থানীয় ২০ হাজার বাসিন্দা চলাচলে দুর্ভোগে পড়েছে। পাশের ক্ষেতের কোমর পানি মাড়িয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।
একই কারণে উপজেলার চরমার্টিন ও চরকালকিনিসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁচা সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়ে চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। এ সময় স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললে তারা দুর্দশার চিত্র তুলে ধরে। বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে সাইকেল কাঁধে উঠিয়ে এক শিক্ষার্থীকে সাঁকো পারাপার হতে দেখা যায়।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অটোরিকশা চলকদের ধর্মঘট চলছে, ভোগান্তি
জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে চলাচল উপযোগী হলো সখিপুর-ভালুকা সড়ক
স্থানীয়রা জানায়, নাছিরগঞ্জ-বলিরপোল সড়কের আশপাশে অন্তত ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। সড়ক ঘেঁষে পূর্বপাশে সরু খাল রয়েছে। প্রবল জোয়ারের সময় সড়কটি ক্ষতির সম্মুখিন হয়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার মানুষের যাতায়াত রয়েছে। অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে সড়কটি ভেঙে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
মাছ ব্যবসায়ী মো. শাহজাহান জানান, তীব্র জোয়ারের চাপে রবিবার (২৭ জুলাই) ভোরে সড়কটি ভেঙে যায়। পরে ১ ঘন্টার মধ্যে ভাঙনস্থল খালে পরিণত হয়েছে।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাহাত উজ জামান বলেন, ‘‘সড়কটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। আমরা চেষ্টা কররি, এখানে কালভার্ট নির্মাণের। যেন পানি যাওয়ার ব্যবস্থা হয়।’’
সড়কটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে অবহিত করা হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/লিটন/বকুল