ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে। সরাইল উপজেলায় একটি কাভার্ড ভ্যান বিকল হওয়ায়, মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় গোলচত্বরের গর্ত ও সংস্কারকাজের জন্য আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে এ যানজট শুরু হয়। পরে দুপুর ১২টার পর মহাসড়কটিতে যানচলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আজ বেলা দুইটার পর মহাসড়কের সরাইল উপজেলার বেড়তলা থেকে বাবিউড়া পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত সময়ে সরাইলের পাশাপাশি আশুগঞ্জ, বিজয়নগর ও সদর উপজেলাজুড়ে বিস্তৃত মহাসড়কটির প্রায় পুরো অংশে (৩৪ কিলোমিটার এলাকা) থেমে থেমে যানজট ছড়িয়ে পড়ে। বেলা সাড়ে তিনটার পর পুরো ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট লেগে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সরাইল বিশ্বরোড মোড় হয়ে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার মহাসড়কে চলমান উন্নীতকরণ কাজটি ২০১৭ সাল থেকে ধীরগতিতে চলছে। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’ এ কাজের তদারকি করছে। নানা কারণে মাঝে কয়েক দফায় কাজ বন্ধ ছিল। এ কারণে সরাইল বিশ্বরোড মোড়সংলগ্ন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে। এতে প্রায় প্রতিদিনই সেখানে যানজট লেগে থাকে। গত ১৯ এবং ২০ মে টানা দুই দিন এ মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সরাইল উপজেলা প্রশাসন, সরাইল থানার পুলিশ এবং হাইওয়ে থানার পুলিশ ইটবালি দিয়ে গর্ত ভরাট করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতে আবার সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়।

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহনের সারিও দীর্ঘ হতে থাকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ৩৪ ক ল ম ট র দ র ঘ য নজট উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

ঝুঁকিপূর্ণ ৬ ফুট গভীর ড্রেন

নান্দাইল পৌরসভার চারিআনিপাড়া মহল্লায় আরসিসি সড়কের পাশের প্রশস্ত ও গভীর একটি ড্রেন পথচারীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ঢাকনাবিহীন ওই ড্রেনে পড়ে ইতোমধ্যে আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন শিশুসহ গৃহপালিত পশু। কখনও ছোটখাটো যানবাহন পড়ে আহত হচ্ছেন যাত্রীরা।
জানা গেছে, নান্দাইল পৌরসভার চারিআনিপাড়া মহল্লার পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পাশে হাকিম ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে থেকে দক্ষিণে নরসুন্ধার পার পর্যন্ত এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ। ওই এলাকার জলাবদ্ধতা দূর করার দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ওই এলাকায় এক কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করে নান্দাইল পৌরসভা। আব্দুল কদ্দুছ নামে একজন ঠিকাদার কাজটি পেলেও তিনি তা বিক্রি করে দেন স্থানীয় ঠিকাদার আ. লতিফ, রেজাউল করিম রিপন ও আ. গণির কাছে। কিন্তু ছয় ফুট গভীর ও প্রায় তিন ফুট প্রস্থ ড্রেনটি নির্মাণের শুরুতেই গাফিলতি দেখা যায়। মাটি খুঁড়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখার কারণে পাশের সরু সিসি সড়কটির অনেকাংশের মাটি সরে গিয়ে ঢালাই ধসে যায়। এতে এলাকাবাসীর চলাচলে সমস্যা দেখা দিলে সেসময় সমকালে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। এক বছরে নির্মাণকাজ শেষ হলেও ড্রেনের ওপর দেওয়া হয়নি কোনো ঢাকনা। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কটিও যথাযথভাবে মেরামত করা হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঢাকনাবিহীন ড্রেনে পানি চলাচল না থাকায় ময়লাযুক্ত কালো পানি জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, বংশ বিস্তার করছে মশা-মাছি। আশপাশের কয়েকজন বাসিন্দা নিজেদের টাকায় ড্রেনের কিছু অংশে পাকা ঢাকনা দিয়ে চলাচল করছেন। স্থানীয় কয়েকজন বয়স্ক নারী পাশে বসে থেকে ড্রেনে পড়ে যাওয়ার ভয়ে ছোট ছেলেমেয়েদের প্রতি নজর রাখছেন। সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ইয়াসমিন নামে একজন জানান, তাঁর আড়াই বছরের সন্তান নুসাইবাও একদিন ড্রেনে পড়ে গিয়েছিল। গত কোরবানি ঈদের আগে হাট থেকে নিয়ে যাওয়ার পথে একটি বড় ষাঁড় গরু ড্রেনে পড়ে আহত হয়। পাশের সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় অসাবধানতাবশত প্রায়ই ড্রেনে পড়ে যায় লোকজন। 
এ বিষয়ে নান্দাইল পৌরসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়জুর রহমান জানান, প্রকল্পটি বেশ বড় তাই আগামীতে এডিবির অর্থায়নে দুই ধাপে ড্রেনের ওপর ঢাকনা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উদ্বোধনের আগেই বিলীনের পথে মেরিন ড্রাইভ
  • লংগদু-নানিয়ারচর সড়কের দাবিতে রাজপথে উপজেলাবাসী
  • গতি কম, ভোগায় বেশি
  • ঝুঁকিপূর্ণ ৬ ফুট গভীর ড্রেন
  • ১০ মিনিটের রাস্তা শেষ হয় না দুই ঘণ্টায়ও
  • যানজট এড়াতে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ