রাশিয়ায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফয়সালকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’
Published: 28th, May 2025 GMT
রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত (চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স-সিডিএ) ফয়সাল আহমেদকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে। তাকে দ্রুত ঢাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মো. নিয়াজ মোর্শেদকে।
মঙ্গলবার মস্কো মিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) নিয়াজ মোর্শেদকে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক অফিস আদেশে মস্কোর বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ফয়সাল আহমেদকে ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’ করা হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মসজিদে কুবায় হেঁটে যাবেন যেভাবে
হাদিসে আছে, মসজিদে কুবায় দুই রাকাত নামাজ পড়লে একটি ওমরাহ হজের সমান সওয়াব পাওয়া যায় (তিরিমিজি, হাদিস: ৩২৪)। এই মসজিদে এক ধরনের সাদা পাথর ব্যবহার করা হয়, যা অন্য কোনো মসজিদে সাধারণত দেখা যায় না।
মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে অবস্থিত কুবা মসজিদের দূরত্ব মসজিদে নববি থেকে পাঁচ কিলোমিটার। কুবা একটি বিখ্যাত কূপের নাম। সময়ের পরিক্রমায় এ কূপকে কেন্দ্র করে যে জনবসতি গড়ে উঠেছে, তাকেও কুবা বলা হতো। এরই সূত্রে মসজিদের নাম হয়ে যায় মসজিদে কুবা।
মসজিদে নববির অদূরে বেলাল মসজিদের কাছে নতুন করে করা হয়েছে কুবা স্কয়ার। ৪৫ মিনিট হেঁটে সরাসরি কুবা মসজিদে যাওয়া যায়। যারা হেঁটে যাবেন না, তারা ব্যাটারিচালিত গাড়িতে করে পৌঁছাতে পারেন। খরচ হবে ১০ রিয়াল।
মসজিদে কুবা ইসলামের ইতিহাসের প্রথম নির্মিত মসজিদ। মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় মদিনার অদূরে কুবাপল্লিতে মসজিদটি নির্মাণ করেন (সুরা তওবা, আয়াত: ১০৮)। এই মসজিদের নির্মাণকাজে সাহাবাদের সঙ্গে স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সা.) অংশগ্রহণ করেন।
কুবা মসজিদের জায়গাটি ছিল হজরত কুলসুম ইবনুল হিদম (রা.)-এর খেজুর শুকানোর পতিত জমি। তিনি ছিলেন আমর ইবনে আওফের গোত্রপতি। এখানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ১৪ দিন (কেউ বলেন ১০ দিন) অবস্থান করেন এবং তাঁর আতিথ্য গ্রহণ করেন।
মসজিদে কুবা শুরু থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করা হয়। নবীর আমলের পর ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান (রা.) তাঁর খেলাফতকালে মসজিদে কুবা সংস্কার ও পুনর্নির্মাণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরও বেশ কয়েকবার এই মসজিদ পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়। উমর বিন আবদুল আজিজ (রহ.), উসমানি সুলতান দ্বিতীয় মাহমুদ ও তাঁর ছেলে প্রথম আবদুল মাজিদ প্রমুখ শাসক মসজিদে কুবার সংস্কারকাজ করেন।
মসজিদে কুবার বর্তমান আয়তন ১৩ হাজার ৫০০ বর্গমিটার। চারটি উঁচু মিনার, ছাদে একটি বড় গম্বুজ ও পাঁচটি অপেক্ষাকৃত ছোট গম্বুজ রয়েছে। এ ছাড়া ছাদের অন্য অংশে ৫৬টি ছোট গম্বুজের অবয়ব রয়েছে। ২০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন এই মসজিদে। মূল মসজিদ ছাড়া এখানে রয়েছে আবাসিক এলাকা, অফিস, অজুখানা, দোকান ও লাইব্রেরি। তবে মসজিদের মূল আকর্ষণ বিশাল গম্বুজ ও চার কোনায় চারটি উঁচু মিনার। মসজিদের চারদিকে সবুজ পাম গাছের বলয় এটিকে বাড়তি সৌন্দর্য দিয়েছে।
মসজিদটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ আসেন। মসজিদে নারী-পুরুষের নামাজের জায়গা ও প্রবেশপথ আলাদা। অজুর জায়গাও আলাদা। সম্পূর্ণ শীতাতপ-নিয়ন্ত্রিত মসজিদের ভেতরের কারুকাজও বেশ মনোমুগ্ধকর।