কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের (বিটিআই) ভূমিকা শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মেজর (অব.

) মো. মহসিনুল করিম, বসুন্ধরা ফাউন্ডেশনের সিনিয়র জিএম এ কে এম নওশেরুল আলম এবং বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কাজী মো. শওকত-উল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন মোল্লা।

বিশেষ অতিথি মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিম বলেন, ‘‘বসুন্ধরা গ্রুপ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দীর্ঘদিন ধরে কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে। বিটিআই এর একটি সফল উদাহরণ, যা দেশব্যাপী দক্ষ জনবল তৈরি করছে।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘কেরানীগঞ্জ এলাকায় কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে অত্র এলাকার জীবনমান উন্নয়নে বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট অংশিজন হতে চায়। এই বিষয়ে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’’

সেমিনারে বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ কাজী মো. শওকত-উল ইসলাম বলেন, ‘‘বিটিআই নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলছে, যারা পরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পখাতে কর্মসংস্থান পাচ্ছে।’’

এ কে এম নওশেরুল আলম বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি আমাদের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীকে যদি দক্ষতায় রূপান্তর করা না যায়, তবে তা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে এই তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করে আমরা একটি উৎপাদনশীল ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি।’’

সভাপতির বক্তব্যে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘‘কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতেও বড় ধরনের অবদান রাখা সম্ভব।’’

ঢাকা/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় আজিজুল হক কলেজে সুহৃদের কবিতা উৎসব

বগুড়ায় সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা সুহৃদ সমাবেশের উদ্যেগে অনুষ্ঠিত হয়েছে কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা। মঙ্গলবার কলেজের নতুন ভবনের ১১৩ নম্বর রুমে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শওকত আলম মীর। 

সুহৃদ কলেজ শাখার সভাপতি আবু সাইদ মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আজিজুল হক কলেজ শিক্ষক পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও কলেজ সুহৃদ উপদেষ্টা টিপু সুলতান, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সমকাল সুহৃদের উপদেষ্টা মোস্তফা কামাল সরকার, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সমকাল সুহৃদের উপদেষ্টা মোঃ মতিউর রহমান, সমকাল বগুড়ার ভারপ্রাপ্ত ব্যুরো প্রধান এস এম কাওসার, জেলা সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি আবু মোত্তালেব মানিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজিয়া আফরিন সোমা, সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান, সিরাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আসলাম হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক সঞ্জু রায়, সানজিদা জুই, আব্দুর রউফ প্রমুখ।
 
অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শওকত আলম মীর বলেন, ‘সমকাল সুহৃদ সমাবেশ কলেজ শাখার এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এ রকম সাহিত্যভিত্তিক আয়োজন শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি ও কণ্ঠনৈপুণ্য বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আমি বিশ্বাস করি, সাহিত্যচর্চা আমাদের মানসিক উৎকর্ষ ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলে, যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনে সহায়ক হবে।’

সমকাল সুহৃদ সমাবেশ বগুড়া জেলা শাখা সহযোগিতায় সমকাল সুহৃদ আজিজুল হক কলেজ শাখা শিক্ষার্থীদের সাহিত্যচর্চা ও সৃজনশীলতার বিকাশে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে গত ২৯ এপ্রিল কলেজ ক্যাম্পাসে ঘোষণা দেওয়া হয় উন্মুক্ত কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার। এতে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ৩২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে বাছাই করা হয় সেরা ১০ জন এবং তাদের মধ্য থেকে প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে নির্বাচিত হয় তিনজন। 

সেরা তিন বিজয়ী হলেন- মোছাঃ আল-জ্বাছিয়াহ্ আলম, মহসিনা ইসলাম এবং রবিউল ইসলাম শাকিল। এই তিনসহ সেরা ১০ জন হলেন-ফাবিহা ফেরদৌসী, আইনুল হক, রুফাইদা আফরিন, মহিমা বিনতে ইমরান, আজমাইন জিতু, হুমায়ন কবির হিমু, উম্মে হানি হিয়া।

তাদেরকে পুরস্কার হিসেবে সনদ, ক্রেস্ট ও সাহিত্যবিষয়ক বই দেওয়া হয়।

আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বাংলা বিভাগের প্রভাষক তামান্না ইয়াসমিন, ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আরিফুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক তাসলিমা ইসলাম এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক আব্দুল হামিদ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় আজিজুল হক কলেজে সুহৃদের কবিতা উৎসব