কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব ও বিটিআইয়ের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
Published: 28th, May 2025 GMT
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসারে বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের (বিটিআই) ভূমিকা শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কেরানীগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মেজর (অব.
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাকির হোসেন মোল্লা।
বিশেষ অতিথি মেজর (অব.) মো. মহসিনুল করিম বলেন, ‘‘বসুন্ধরা গ্রুপ সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে দীর্ঘদিন ধরে কারিগরি শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করছে। বিটিআই এর একটি সফল উদাহরণ, যা দেশব্যাপী দক্ষ জনবল তৈরি করছে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘কেরানীগঞ্জ এলাকায় কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে অত্র এলাকার জীবনমান উন্নয়নে বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট অংশিজন হতে চায়। এই বিষয়ে উপস্থিত সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’’
সেমিনারে বসুন্ধরা টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ কাজী মো. শওকত-উল ইসলাম বলেন, ‘‘বিটিআই নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলছে, যারা পরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন শিল্পখাতে কর্মসংস্থান পাচ্ছে।’’
এ কে এম নওশেরুল আলম বলেন, ‘‘বাংলাদেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি আমাদের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীকে যদি দক্ষতায় রূপান্তর করা না যায়, তবে তা আমাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে এই তরুণদের দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করে আমরা একটি উৎপাদনশীল ও টেকসই অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারি।’’
সভাপতির বক্তব্যে মো. জাকির হোসেন মোল্লা বলেন, ‘‘কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা সহজেই স্বাবলম্বী হতে পারে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতেও বড় ধরনের অবদান রাখা সম্ভব।’’
ঢাকা/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পের বিমা দাবি নিষ্পত্তির অনুরোধ বিটিএমএর
গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার বিমা দাবি নিষ্পত্তি করে ক্ষতিপূরণ দিতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছে বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। তাদের অভিযোগ, বিমা কোম্পানিগুলো নানা ধরনের পদ্ধতিগত জটিলতা ও পলিসির শর্তের অপব্যাখ্যা করে বিমা দাবি পরিশোধে বিলম্ব করছে। অনেক ক্ষেত্রে দাঙ্গা, হাঙ্গামা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা–সংক্রান্ত ক্ষতির অজুহাতে বিমা দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যানের ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে, যা বিমাশিল্পের মূলনীতির পরিপন্থী।
আজ বুধবার অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে দেওয়া এক চিঠিতে বিমা দাবি পরিশোধের অনুরোধ জানান বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশব্যাপী সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক সদস্যের কারখানা, গুদাম ও অন্যান্য স্থাপনা ব্যাপক ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয়েছে। আকস্মিক এই সহিংসতায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদনব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।’
বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সব ধরনের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি মোকাবিলায় প্রায় প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানই যথাযথ প্রিমিয়াম পরিশোধের মাধ্যমে বিমা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অগ্নিসহ বিভিন্ন ঝুঁকির বিপরীতে বিমা পলিসি নিয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, ঘটনার পর বছর পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ বিমা দাবি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।
চিঠিতে বিটিএমএ সভাপতি জানান, গত ৩ মার্চ সাধারণ বীমা করপোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার উত্থাপিত বিমা দাবি নিয়ে সভা হয়। এতে বিমা দাবি নিয়ে বিভিন্ন বিমাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বিভিন্নভাবে ক্ষতির বিবরণ ও ব্যাখ্যা দেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ঘটনাগুলো গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে হওয়ায় তা স্ট্যান্ডার্ড ফায়ার পলিসি (এসএফপি) বা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অল রিস্ক (আইএআর) পলিসির আওতায় কোনো বিমা দাবি পরিশোধযোগ্য হবে না। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পকারখানার মালিকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) থেকে সব নন-লাইফ বিমা কোম্পানিকে সুস্পষ্ট প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে গত বছরের জুলাই-আগস্টের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিমা দাবি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ। তিনি বলেন, বিমা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দাবি নিষ্পত্তির বিধানটির কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।