বন্দরে  ইটভাটায় বিক্রির জন্য ভেক্যু দিয়ে অবৈধভাবে কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়ার সময় ২ জনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

গত মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেল ৫টায়  বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মনারবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এক অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করেন বন্দর সহকারী কমিশনার(ভুমি) রহিমা আক্তার ইতি।

বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভুমি) রহিমা আক্তার ইতি জানান, ব্যক্তিমালিকানাধিন জমির মাটি অবৈধভাবে কেটে নেওয়ার ব্যাপারে তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ পেয়ে বুধবার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হিসেবে তিনি বন্দরের মনারবাড়ি এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করেন। 

এ সময় তিনি সুজন নামের এক ব্যক্তিকে ভেক্যু দিয়ে মাটি কাটতে দেখেন এবং  ভ্রাম্যমান আদালতের তাৎক্ষণিকভাবে মাধ্যমে তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এরপর মাটি পরিবহনের সময় আলআমিন নামের অপরজনের কাছ থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন। 

জরিমানা প্রদানকারী সুজন(২৩) নোয়াখালী সদর থানার দক্ষিণ নাজিরপুর এলাকার জসিমউদ্দিনের ছেলে  ও আল আমিন(৪০) কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার পাইদার চর এলাকার মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে  ।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সাঙ্কু পাঞ্জাকে শুটিংয়ে এনে মান্না বলেছিলেন, ‘ও একদিন মেইন ভিলেন হবে’

খল অভিনেতা সাঙ্কু পাঞ্জা মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঢালিউডের অসংখ্য সিনেমায় খল চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে। এর মধ্যে খল চরিত্রে নির্মাতা মালেক আফসারীর প্রথম পছন্দ ছিলেন। এই নির্মাতার সিনেমা মানেই খল চরিত্রে সাঙ্কু পাঞ্জা। অভিনেতার মৃত্যুর খবর এই প্রতিবেদকের কাছ থেকে শুনে বাক্‌রুদ্ধ হয়ে যান আফসারী। জানান দুই যুগের সম্পর্কের জানা-অজানা নানা কথা।

আরও পড়ুনখল অভিনেতা সাঙ্কু পাঞ্জা মারা গেছেন১৩ ঘণ্টা আগে

মালেক আফসারীর পরিচালনায় ‘লাল বাদশাহ’ সিনেমায় প্রথম অভিনয় করেন সাঙ্কু পাঞ্জা। এরপর এই পরিচালকের ‘জেল থেকে বলছি’, ‘মরণ কামড়’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘মনের জ্বালা’, ‘অন্তর জ্বালা’, ‘পাসওয়ার্ড’–সহ ব্যবসাসফল আরও বেশ কিছু সিনেমায় দেখা গেছে এই অভিনেতাকে। মালেক আফসারী জানান, সাঙ্কু পাঞ্জাকে তাঁর কাছে নিয়ে আসেন নায়ক মান্না।
মালেক আফসারী বলেন, ‘তখন মান্নার কৃতাঞ্জলি প্রোডাকশনের “লাল বাদশাহ” সিনেমার শুটিং করছিলাম। মান্না একটা ছেলেকে নিয়ে এসে বলল, “ভাই, এই ছেলেটা কেমন? ওরে এই সিনেমায় নিতে চাই। সময় দিলে ওরে মেইন ভিলেন বানানো যাবে ভাই, ও একদিন মেইন ভিলেন হবে ভাই।” মান্না তো নাছোড়বান্দা, কিছু বলেছে মানে তা করতেই হবে। এভাবেই আমার সঙ্গে ও যুক্ত হয়। এরপর “জেল থেকে বলছি”–সহ আমার বেশির ভাগ সিনেমায় সাঙ্কু অভিনয় করেছে।’

সাঙ্কু ও মালেক আফসারীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল হৃদ্যতার। এই নির্মাতা জানান, কখনো মজুরি ও সময় নিয়ে আলাপ করতেন না সাঙ্কু। নির্মাতার কথায়, ‘তিন দিনের শিডিউল চাইলে ছয় দিন দিতো, কখনো রেমুনারেশন চেয়ে নেয়নি আমার কাছে। অনেক সম্মান করত আমায়। উৎসব-পার্বণে নিয়মিত ফোন দিত, স্বাস্থ্যের খোঁজ নিত। ওর মৃত্যুটা অনেক কষ্ট দিয়েছে আমায়।’
১৯৯৭ সালে ‘মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে অভিষেক হয় সাঙ্কু পাঞ্জার। তাঁর উল্লখেযোগ্য সিনেমার মধ্যে আরও রয়েছে ‘জাদরেল সন্তান’, ‘ধর মাস্তান’, ‘ক্ষমতার গরম’।

সম্পর্কিত নিবন্ধ