১৬ জন অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিককে উচ্চমান সহকারী করা হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে এ পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হয়েছে। পদোন্নতি স্থগিতে মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেও কার্যকর হয়নি।
এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্থাপন ও সমন্বয় শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো.
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় ও গণপূর্ত জোনগুলোর অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরতদের পদোন্নতি দেওয়ার কথা। ২০২৫, ২০২৪ ও ২০০৮ সালের জ্যেষ্ঠতার তালিকা অনুসারে ধারাবাহিকভাবে ১ থেকে ৬০ নম্বর পর্যন্ত পদোন্নতি দিতে হবে। তবে গত ১৬ মার্চ যে ১৬ জনকে উচ্চমান সহকারীর পদ দেওয়া হয়েছে, তাতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়। গণপূর্তের বিভিন্ন কার্যালয় ও জোন অফিসে কর্মরতদের বাদ দেওয়া হয়। শুধু প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরতদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। তালিকার ৬১ থেকে ক্রমিক নম্বর ৭৬ পর্যন্ত পদোন্নতি হওয়ার কথা। সেখানে ক্রমিক নম্বর ৭৩, ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮৩, ৮৪-কে বাদ দেওয়া হয়। পরের জ্যেষ্ঠতার তালিকা থেকে নাম অন্তর্ভুক্ত করে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এতে করে যোগ দেওয়ার ২১ বছর পরও পদবঞ্চিত হয়েছেন প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের বাইরের জোনের সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকরা। তাদের মধ্যে অনেকে ২০০৪, ২০০৬, ২০১১ ও ২০১৩ সালে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদোন্নতি পাননি।
বঞ্চিতদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ মে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অধিপ্তরের পদোন্নতির আদেশ স্থগিত করে। জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী পদোন্নতি দিতে নির্দেশনা দেয়। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেয়। এত দিনেও এ নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদবঞ্চিত কয়েকজন জানান, তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম পছন্দের লোকজনের পদোন্নতি দিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা তখন সংশ্লিষ্ট সংস্থাপন শাখা-৪ এ যোগাযোগ করেন। তাদের বলা হয়, গণপূর্ত জোনগুলোতে বেতন মঞ্জুরি না থাকায় পদোন্নতি তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে বঞ্চিতদের দাবি– সংস্থাপন শাখার দাবিটি অবাস্তব।
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি পাওয়া প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরের সংস্থাপন শাখা-৪ এর অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর লাইলী আক্তার বলেন, ‘পদোন্নতির এখতিয়ার যাচাই-বাছাই কমিটির। সংস্থাপনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বলতে পারবেন। এতে আমাদের হাত নেই।’
এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্থাপন শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা সমকালকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার পদোন্নতি কমিটির সভা আছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’
তবে এ বিষয়ে তৎকালীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্থাপন ও সমন্বয় শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম ও বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহার মুঠোফোনে কল করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে হয়েছে পদোন্নতি
১৬ জন অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিককে উচ্চমান সহকারী করা হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরে এ পদোন্নতিতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘিত হয়েছে। পদোন্নতি স্থগিতে মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেও কার্যকর হয়নি।
এ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্থাপন ও সমন্বয় শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে পদোন্নতিবঞ্চিত কর্মচারীরা অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং মন্ত্রণালয়ে কয়েক দফা লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মন্ত্রণালয়।
অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয় ও গণপূর্ত জোনগুলোর অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরতদের পদোন্নতি দেওয়ার কথা। ২০২৫, ২০২৪ ও ২০০৮ সালের জ্যেষ্ঠতার তালিকা অনুসারে ধারাবাহিকভাবে ১ থেকে ৬০ নম্বর পর্যন্ত পদোন্নতি দিতে হবে। তবে গত ১৬ মার্চ যে ১৬ জনকে উচ্চমান সহকারীর পদ দেওয়া হয়েছে, তাতে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়। গণপূর্তের বিভিন্ন কার্যালয় ও জোন অফিসে কর্মরতদের বাদ দেওয়া হয়। শুধু প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরতদের পদোন্নতি দেওয়া হয়। তালিকার ৬১ থেকে ক্রমিক নম্বর ৭৬ পর্যন্ত পদোন্নতি হওয়ার কথা। সেখানে ক্রমিক নম্বর ৭৩, ৭৪, ৭৫, ৭৬, ৭৯, ৮০, ৮১, ৮৩, ৮৪-কে বাদ দেওয়া হয়। পরের জ্যেষ্ঠতার তালিকা থেকে নাম অন্তর্ভুক্ত করে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এতে করে যোগ দেওয়ার ২১ বছর পরও পদবঞ্চিত হয়েছেন প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের বাইরের জোনের সহকারী-কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিকরা। তাদের মধ্যে অনেকে ২০০৪, ২০০৬, ২০১১ ও ২০১৩ সালে যোগ দেওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোনো পদোন্নতি পাননি।
বঞ্চিতদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৭ মে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় অধিপ্তরের পদোন্নতির আদেশ স্থগিত করে। জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী পদোন্নতি দিতে নির্দেশনা দেয়। একই সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশনা দেয়। এত দিনেও এ নির্দেশনা অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পদবঞ্চিত কয়েকজন জানান, তৎকালীন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম পছন্দের লোকজনের পদোন্নতি দিয়েছেন। ভুক্তভোগীরা তখন সংশ্লিষ্ট সংস্থাপন শাখা-৪ এ যোগাযোগ করেন। তাদের বলা হয়, গণপূর্ত জোনগুলোতে বেতন মঞ্জুরি না থাকায় পদোন্নতি তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে বঞ্চিতদের দাবি– সংস্থাপন শাখার দাবিটি অবাস্তব।
জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি পাওয়া প্রধান প্রকৌশলী দপ্তরের সংস্থাপন শাখা-৪ এর অফিস সহকারী-কাম কম্পিউটার অপারেটর লাইলী আক্তার বলেন, ‘পদোন্নতির এখতিয়ার যাচাই-বাছাই কমিটির। সংস্থাপনের কর্মকর্তারা এ বিষয়ে বলতে পারবেন। এতে আমাদের হাত নেই।’
এ বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্থাপন শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী স্বপন চাকমা সমকালকে বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার পদোন্নতি কমিটির সভা আছে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।’
তবে এ বিষয়ে তৎকালীন গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংস্থাপন ও সমন্বয় শাখার দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম ও বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহার মুঠোফোনে কল করে এবং হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।