দিনাজপুরের বিরলে ১৩ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার এনায়েতপুর সীমান্ত দিয়ে তাদের পুশইন করা হয়। 

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১টার দিকে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় তাদেরকে আটক করে টহলরত বিজিবির সদস্যরা। পরে তাদেরকে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। নাম ও পরিচয় যাচাই শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ জন নারী ও দুইজন পুরুষ। নারীদের মধ্যে একজন গর্ভবতী রয়েছেন।  

দিনাজপুর ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে.

কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মঈন হুসেন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আমাদের প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী কর্তৃক পুশইনের ঘটনা বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের সীমান্তেও পুশইনের প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। স্থানীয় জনগণও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে।
 
তিনি বলেন, তাদের পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনানুগ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে তারা স্বীকার করেছে যে, গত এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশ কর্তৃক তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদেরকে কোনো নির্যাতনের বিষয়ে আমাদের কাছে তারা স্বীকার করেনি।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প শইন ত দ রক প শইন

এছাড়াও পড়ুন:

একটি দল ছাড়া কোনো দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না, তা সঠিক নয়: গণফোরাম

গণফোরাম বলেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাপান সফরে গিয়ে একটি দল ছাড়া আর কোনো দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা সঠিক নয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে বলেও উল্লেখ করেছে দলটি।

আজ শুক্রবার বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণফোরামের সভাপতি পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণফোরামের সভাপতি পরিষদের অন্যতম সদস্য এস এম আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান, সভাপতি পরিষদের সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মেজবাহউদ্দীন, মোশতাক আহমেদ, সুরাইয়া বেগম, সেলিম আকবর, শাহ নুরুজ্জামান প্রমুখ।

সভায় আলোচনার বিষয়বস্তু তুলে ধরে গণফোরামের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টার বক্তব্য অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর বলে প্রতীয়মান হচ্ছে এবং এর ফলে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরির প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

গণফোরামের নেতারা বলেন, গণ–অভ্যুত্থানের সুফল পাওয়ার জন্য দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা জরুরি। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের রূপরেখা ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ দায় রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে দুঃখজনক।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের আলোচনা এবং কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সরকারের বৈঠক জাতিকে আরও হতাশ করেছে বলে উল্লেখ করেছে গণফোরাম। দলটি বলেছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার এবারের বৈঠকে গণফোরামকে আমন্ত্রণ না জানানোর ফলে সরকার ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।

গণফোরামের নেতারা আরও বলেন, গত ৯ মাসে সরকার আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার ও জনপ্রশাসনের অস্থিরতা নিরসনে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি। এ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার বা দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা এখনো লক্ষ করা যায়নি। ফলে সরকারের প্রতি জনসমর্থন যেমন হ্রাস পাচ্ছে, তেমনি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ও জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে।

গণফোরাম সভাপতি পরিষদের সভায় অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণার দাবি জানানো হয়। সেই সঙ্গে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যে জাতীয় ঐক্য গড়ে উঠেছে, সে ঐক্য যেন কোনো অশুভ শক্তি বিনষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ