অবশেষে বৃত্তটা পূরণ করেই ফেললেন আনহেল দি মারিয়া।

১৯৯২ সালে রোজারিও সেন্ট্রালে যখন দি মারিয়া প্রথম খেলতে গিয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র চার বছর। ২০০৫ সালে সেই একই ক্লাবের মূল দলের হয়ে পেশাদার ফুটবলের পথে যাত্রা শুরু করেন এই আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

এরপর ২০০৭ সালে রোজারিও সেন্ট্রালকে বিদায় জানিয়ে শুরু হয় দি মারিয়ার ইউরোপ মিশন। অবশেষে ১৮ বছর পর আবার সেই রোজারিও সেন্ট্রালে ফিরে বৃত্ত পূরণ করলেন বিশ্বকাপজয়ী এই উইঙ্গার।

এক বছরের চুক্তিতে দি মারিয়ার ফেরার খবর জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় রোজারিও সেন্ট্রাল জানিয়েছে, ‘একসঙ্গে আমাদের ইতিহাসটা আরও কয়েক পৃষ্ঠা লেখা হবে। ঘরে স্বাগতম।’

আরও পড়ুন‘বিদায় বেনফিকা’ বলে দিলেন দি মারিয়া, গন্তব্য কোথায়১৮ মে ২০২৫

ঘরে ফেরার প্রতিক্রিয়ায় দি মারিয়া লিখেছেন, ‘ঘরে ফিরতে পারাটা দারুণ আনন্দের। বাড়ি। আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারাটাও উচ্ছ্বাসের বিষয়! প্রিয় রোজারিওতে বাস করা এবং আমাদের প্রিয় রোজারিও সেন্ট্রালের জার্সি পরতে পারা—আজ আমাদের জীবনের সবচেয়ে সুখের দিনগুলোর একটি।’

৩৭ বছর বয়সী দি মারিয়া গত বছরের কোপা আমেরিকা শেষে আন্তজার্তিক ফুটবল থেকে অবসর নেন। তবে আন্তজার্তিক ফুটবল ছাড়লেও বেনফিকায় নিজের ক্লাব ক্যারিয়ার অব্যাহত রাখেন। সেই ধারাবাহিকতাতেই এবার বেনফিকাকে বিদায় জানিয়ে এলেন রোজারিও সেন্ট্রালে।

ইউরোপে দি মারিয়ার যাত্রা শুরু হয়েছিল বেনফিকা দিয়েই। এরপর একে একে খেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি এবং জুভেন্টাসের মতো বিশ্বসেরা ক্লাবে। ২০২৩ সালে বেনফিকায় ফিরে নিজের ইউরোপিয়ান বৃত্ত পূরণ করেন দি মারিয়া।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনাকে বিদায় বলা দি মারিয়া বেনফিকায় কত বেতন পান০৮ মে ২০২৫

আর এবার পাকাপাকিভাবে ইউরোপ ছেড়ে চলে এলেন নিজের ঘরে। তবে ইউরোপ ছাড়ার আগে দি মারিয়ার নামের পাশে লেখা হয়েছে ৩০ ট্রফি। এই সংখ্যা অবশ্য বাড়তে পারে। রোজারিওতে যাওয়ার আগে বেনফিকার হয়ে আগামী মাসের ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নেবেন দি মারিয়া। সেখানে আরেকটি ট্রফি জেতার সুযোগ আছে তাঁর।

এর আগে গত বছরের গ্রীষ্মেই দি মারিয়ার রোজারিও সেন্ট্রালে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তদের হত্যার হুমকির পর সেই সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত নাড়ির টান উপেক্ষা করতে পারলেন না দি মারিয়া।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম দ র ইউর প

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার দেখা পেতে বোমা ছুঁড়ে গ্রেপ্তার প্রেমিক

রাগ করে কথা বন্ধ করেছিল প্রেমিকা। রাগ ভাঙিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে, একটু কথা বলতে ইউটিউব থেকে বোমা তৈরিত কৌশল শিখেছিল প্রেমিক। বোম ফাটার শব্দে যদি প্রেমিকা বেরিয়ে আসে... এই আশায়। এক্সপার্টের মতো বানিয়েও ফেলে বোমা। কিন্তু বোমা ফাটার তীব্র সেই শব্দে আতঙ্কিত হয়ে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা পালিয়ে যায় নিজেরাই। 

গত ২৮ অক্টোবর, ছট পূজার রাতে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার বৈদ্যবাটি এক আবাসিক এলাকা গভীর রাতে বোমা বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজে কেঁপে উঠে। বোমা মারার সেই ঘটনা দুষ্কৃতী আক্রমণ ভেবে লেগেছিল রাজনৈতিক রং, তৈরি হয়েছিল আতঙ্ক। হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে খবরের শিরোনাম। স্বাভাবিকভাবেই দুষ্কৃতীদের ধরতে চাপে পড়ে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু তদন্তে প্রেমিক প্রেমিকার রাগ ভাঙানোর তথ্যে তদন্ত যেন মোড় নিয়েছে আশ্চর্যের এক প্রেমের গল্পে। 

আরো পড়ুন:

বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে ভারতীয় পাসপোর্টের অবনতি কেন?

জঙ্গি সন্দেহে ভারতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি ‘মুফতি মাসুদ’

পুলিশ জানায়, ১৮ নম্বর ওয়ার্ড মালিরবাগান খামারডাঙা এলাকায় একটি বাড়িতে বোমা ছোঁড়া হয়। বাড়িটির দেয়ালে লাগে বোমা, জানালার কাঁচ ভেঙে যায়।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বাড়িটির বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু কোনো সূত্র পাওয়া যায় না। এরপর এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি সিসিটিভির ফুটেজে একটি বাইকের ছবি দেখে তার সন্ধান শুরু করে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মালিরবাগান এলাকায় যেখানে বোমাবাজি হয়েছিল সেখানে এক তরুণীর সঙ্গে চাঁপদানীর স্থানীয় যুবক সাগর মালিকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কে অবনতি হওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে প্রেমিক প্রেমিকার দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছিল না। এর মধ্যেই প্রেমিক বন্ধুদের মারফত জানতে পারে প্রেমিকা অন্য এক যুবকের সঙ্গে মেলামেশা করছে। এদিকে সাগরের ফোন ধরা বন্ধ করে দেয় তরুণী।

কী করে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করা যায় সেটাই ভাবতে থাকে প্রেমিক। এরপরেই বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করে দেখা করার বুদ্ধি বের করে সাগর। ইউটিউব দেখে বেশ কয়েক ধরনের পটকার উপদান দিয়ে বোমা বানায়। সেটি ফাটানোর পরিকল্পনা করা হয় প্রেমিকার বাড়ির পাশে। 

বোমা ফাটার আওয়াজে তরুণী প্রেমিকা যদি বেরিয়ে আসে তাহলে তার সঙ্গে কথা বলবে- এই উদ্দেশ্য নিয়ে ছট পূজার রাতে চার বন্ধু পৌঁছে যায় মালিরবাগান এলাকায়। বোমা ছোঁড়ে একটি বাড়ির দেওয়ালে। এতটাই জোরে শব্দ হয় যে তারা নিজেরাই ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে পুলিশ ওই তরুণীর সঙ্গে সাগরের সম্পর্কের কথা জানতে পেরে তার খোঁজ শুরু করে। পাশাপাশি বাইকের নম্বর দেখে খোঁজ শুরু করে। সাগর এবং তার বন্ধুদের বাড়ি গিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে, তারা ঘটনার পর থেকে আর বাড়িতে থাকছিল না। ঘটনার পর চার বন্ধুই কল্যাণীতে পালিয়ে গিয়েছিল বলে জানতে পারে পুলিশ। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে গতকাল শুক্রবার পুলিশ তাদেরকে ব্যারাকপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক সাগর মালিক, প্রিন্স যাদব, প্রণীত পাল, আয়ুস যাদব, চারজনেরই বয়স ১৮-২০ বছর।ইতিমধ্যেই তাদের শ্রীরামপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। আরো জিজ্ঞাসাবাদ জন্য পুলিশ তাদের রিমান্ডে নিয়েছে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রোহিতের পর কোহলির রেকর্ডও কাড়লেন বাবর, পাকিস্তানের সিরিজ জয়
  • নাজমুলই থাকছেন টেস্ট অধিনায়ক
  • বন্দীদের ফুল দিয়ে বরণ, চালু হলো ফেনীর দ্বিতীয় কারাগার
  • সিলেটে বাসদ কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান, আটক ২২
  • প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার কিশোরের মৃত্যু
  • প্রেমিকার দেখা পেতে বোমা ছুঁড়ে গ্রেপ্তার প্রেমিক
  • যাত্রাবাড়ীতে বিদ্যুৎমিস্ত্রিকে পিটিয়ে হত্যা
  • বোনকে খুন করে লাশ বস্তায় ভরেন, পুলিশ জিজ্ঞেস করলে জানান বস্তায় গম
  • বায়ার্নের টানা ১৪ ম্যাচ জয়ের অবিশ্বাস্য রেকর্ড
  • মাহিমা চৌধুরী-সঞ্জয় মিশ্রা বিয়ে করেছেন?