লাইভ কনসার্টে পোশাক বিড়ম্বনায় জেনিফার লোপেজ (ভিডিও)
Published: 28th, July 2025 GMT
বাহারি আলোয় ঝলমল করছে মঞ্চে। সবার কাঙ্ক্ষিত মার্কিন পপ তারকা জেনিফার লোপেজ পারফর্ম করছেন। তার পরনে সোনালি রঙের সিকুইন বিকিন টপ আর স্কার্ট। তার সঙ্গে রয়েছে পুরো টিম। হাঁটতে হাঁটতে কথা বলছেন ৫৬ বছরের জেনিফার। আকস্মিকভাবে জেনিফার লোপেজের পরনের স্কার্ট খুলে মঞ্চে পড়ে যায়।
স্কার্ট খুলে পড়ায় কয়েক মুহূর্তের জন্য অপ্রস্তুত হলেও তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে সামলে নেন জেনিফার লোপেজ। মঞ্চে থাকা তার এক সঙ্গী স্কার্টটি পুনরায় তাকে পরিয়ে দেন। সাবলীলভাবে পুরো পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে ফেলেন এই গায়িকা। এরপর হাসতে হাসতে তিনি বলেন—“আমি আনন্দিত আজ অন্তর্বাস পরেছি, সাধারণত অন্তর্বাস পরি না।”
যে ব্যক্তি স্কার্টটি পুনরায় পরিয়ে দেন, তাকে উদ্দেশ্যে করে জেনিফার লোপেজ বলেন, “আপনি এটা রাখতে পারেন। আমি এটা ফেরত চাই না।”
আরো পড়ুন:
হাল্ক হোগান মারা গেছেন
প্রভাবশালী রক তারকা ওজি ওসবার্ন মারা গেছেন
এরপর জেনিফার লোপেজ বলেন, “আপনাদের সঙ্গে সত্যি কথা বলি, রাতে মাঝে মাঝে আমার মুড পরিবর্তন হয়। জানি না আপনার কেমন হয়। কখনো কখনো এটি আমার ভালো লাগে। অন্য দিনে আমি খানিকটা রোমান্টিক অনুভব করি। সম্ভবত গ্রীষ্মকালে বাইরে গরম থাকার কারণে আমি আজ একটু বেশি দুষ্টু বোধ করি।”
এ মুহূর্তের একাধিক ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তার একটি ভিডিও ক্লিপে এমন দৃশ্য দেখা যায়; যা এখন অন্তর্জালে ভাইরাল। ২৪ ঘণ্টায় ভিডিওটির ভিউ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১১ মিলিয়ন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পিপল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত ২৪ জুলাই ছিল জেনিফার লোপেজের জন্মদিন। ২৫ জুলাই রাতে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশে শহরে এ গায়িকার লাইভ কনসার্ট ছিল। সেখানে পোশাক বিড়ম্বনায় পড়েন এই শিল্পী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চাকরি ছেড়ে মুরগির খামারে বাজিমাত, আকরামের মাসে আয় অর্ধলাখ টাকা
একসময় অন্যের অধীনে চাকরি করতেন আকরাম। মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন মিলত ঠিকই, কিন্তু তাতে মনের খোরাক জুটত না। মনে হতো, জীবনটা কি শুধু এভাবেই যাবে? কিছু একটা নিজের মতো করে গড়ে তুলতে হবে। এই ভাবনাই তাঁকে টেনে এনেছিল নিজের মাটিতে, নিজের গ্রামে। শুরু করেছিলেন ছোট্ট এক খামার দিয়ে। সেই খামারই এখন তাঁর সফলতার সবচেয়ে বড় ঠিকানা। খামার থেকে এখন তাঁর মাসে আয় প্রায় অর্ধলাখ টাকা।
আকরাম মোল্যার বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের সিঙ্গিয়া গ্রামে। বাবা আবদুর সামাদ মোল্যার চার সন্তানের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁদের সংসারে অভাব ছিল নিত্যসঙ্গী। তাই ২০১৪ সালে এইচএসসিতে পড়ার সময়ই ভাগ্য বদলের আশায় চট্টগ্রামে পাড়ি দেন আকরাম। কাজ নেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। টানা তিন বছর চাকরি করে সিদ্ধান্ত নেন, আর নয় অন্যের হয়ে কাজ; এবার নিজের স্বপ্নের পথে হাঁটবেন।
২০১৭ সালে চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন আকরাম। এ সময় পরিবার তাঁর পাশে দাঁড়ায়। তিন লাখ টাকা জোগাড় করে আকরাম শুরু করেন ‘ভাই ভাই অ্যাগ্রো ফার্ম’। শুরুতেই তোলেন দুই হাজার সোনালি জাতের মুরগির বাচ্চা। কিন্তু ভাগ্য তখন সহায় ছিল না। একে একে মারা যায় ১ হাজার ৬০০ বাচ্চা। একেবারে শুরুতেই এমন ধাক্কা অনেককেই হয়তো থামিয়ে দিত। তবে আকরাম হাল ছাড়েননি।
আকরাম বলেন, শুরুতেই এত বড় লোকসানে মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েন। কিন্তু ঠিক করেন—এখানেই থামবেন না। এরপর নতুন করে শুরু করলেন মিসরীয় ফাউমি মুরগির খামার, যাকে বলা হয় ‘ডিমের রাজা’। এই জাতটি রোগ প্রতিরোধে শক্তিশালী, ডিমও দেয় বেশি। ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রি শুরু করেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।
খামারের একটি শেডে রাখা হয়েছে বড় মুরগিগুলো। এই মুরগির ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন করে বিক্রি করেন আকরাম। সম্প্রতি নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গিয়া গ্রামে