বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে কোটালীপাড়ায় উৎসবের আমেজ
Published: 31st, May 2025 GMT
দীর্ঘ ২ যুগ পর আগামীকাল রবিবার (১ জুন) অনুষ্ঠিত হবে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া। সে কোটালীপাড়া এখন বিএনপির স্লোগানে মুখর। সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে। ইতোমধ্যে সম্মেলন স্থলে নির্মাণ করা হয়েছে প্যান্ডেল। উপজেলা জুড়ে সড়কে সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। টাঙানো হয়েছে নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন।
সম্মেলনকে সফল করতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীরা সভা সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।
দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড.
কোটালীপাড়া পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ওলিউর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘‘দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এতো বড় পরিসরে সম্মেলন হচ্ছে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত।’’
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বশার হাওলাদার বলেন, ‘‘সম্মেলনকে সফল করতে আমরা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ইতিহাসে এটিই হবে সেরা সম্মেলন। এ সম্মেলনে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নিবেন।’’
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘‘সম্মেলন সফল করতে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের সব সাংগঠনিক কাজ শেষ করেছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই সম্মেলনে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে।’’
গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রাফিকউজ্জামান বলেন, ‘‘এ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জিলানী প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।’’
বিএনপি গণতান্ত্রিক দল বিধায় গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচন করা হবে বলে জানান জেলা বিএনপির আহবায়ক।
ঢাকা/বাদল/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ ব এনপ র স উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।