দীর্ঘ ২ যুগ পর আগামীকাল রবিবার (১ জুন) অনুষ্ঠিত হবে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন। এ সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। 

আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া। সে কোটালীপাড়া এখন বিএনপির স্লোগানে মুখর। সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে কোটালীপাড়া সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে। ইতোমধ্যে সম্মেলন স্থলে নির্মাণ করা হয়েছে প্যান্ডেল। উপজেলা জুড়ে সড়কে সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে তোরণ। টাঙানো হয়েছে নানা ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন। 

সম্মেলনকে সফল করতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দলীয় নেতাকর্মীরা সভা সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড.

আসাদুজ্জামান রিপন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জিলানী প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। 

কোটালীপাড়া পৌর বিএনপির সদস্য সচিব ওলিউর রহমান হাওলাদার বলেন,  ‘‘দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ পর প্রকাশ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে এতো বড় পরিসরে সম্মেলন হচ্ছে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত।’’ 

উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবুল বশার হাওলাদার বলেন, ‘‘সম্মেলনকে সফল করতে আমরা রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি কোটালীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপির ইতিহাসে এটিই হবে সেরা সম্মেলন। এ সম্মেলনে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নিবেন।’’ 

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘‘সম্মেলন সফল করতে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের সব সাংগঠনিক কাজ শেষ করেছি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এই সম্মেলনে মাঠ পর্যায়ের নেতাদের মতামতের ভিত্তিতেই নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে।’’ 

গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক শরীফ রাফিকউজ্জামান বলেন, ‘‘এ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এস এম জিলানী প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।’’  

বিএনপি গণতান্ত্রিক দল বিধায় গণতন্ত্রের প্রক্রিয়ায় নেতা নির্বাচন করা হবে বলে জানান জেলা বিএনপির আহবায়ক।

ঢাকা/বাদল/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ প লগঞ জ ব এনপ র স উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দীর্ঘ ১৬০ দিন পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এসেছেন। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসে বইছে উৎসবের আমেজ।

সকালে কুয়েট ক্যাম্পাসে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস। ছাতা মাথায় দল বেঁধে ছুটছেন ক্লাসরুমের দিকে। কখনো এক ছাতার নিচে দু-তিনজন। কারও সঙ্গে অভিভাবকও এসেছেন। সকাল নয়টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি শিক্ষাবর্ষের প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থী ক্লাসে যোগ দেন। নতুন উপাচার্য অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে শ্রেণি কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করেন।

ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী দীপ্ত বলেন, ‘আমাদের প্রায় এক সেমিস্টার নষ্ট হয়ে গেছে। এই সময়টা খুব অস্বস্তিতে কেটেছে। ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে, তবে এখন আবার ক্লাস শুরু হওয়াটা ইতিবাচক দিক। আমরা আশাবাদী।’ একই ব্যাচের শিক্ষার্থী আম্মান বলেন, ‘অনেক দিন জীবনটা থেমে ছিল। আজকের দিনটা বিশেষ মনে হচ্ছে। ঠিক যেন স্কুলজীবনের প্রথম দিনের মতো। সব হতাশা কাটিয়ে আমরা অনেকটা নতুন করে শুরু করছি।’

হুমায়ুন কবির নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘আমার ছেলে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ে। পাঁচ মাস ধরে ক্লাস বন্ধ থাকায় ও মানসিকভাবে খুব চাপের মধ্যে ছিল। একসময় অসুস্থও হয়ে পড়ে। কুয়েটে এমন পরিস্থিতি আগে দেখিনি। কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করলে হয়তো আগেই খুলে যেত। তারপরও এখন অন্তত খুলেছে, এটা বড় স্বস্তি।’

কুয়েটের ছাত্র পরিচালক আবদুল্লাহ ইলিয়াস আক্তার বলেন, আজ থেকে কুয়েটে ক্লাস শুরু হয়েছে। তবে এখনো সব শিক্ষার্থী আসেননি। যাঁদের কেবল ক্লাস রয়েছে, তাঁরা অংশ নিচ্ছেন। যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁরা প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় চেয়েছে। প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন হবে ১৪ আগস্ট, ক্লাস শুরু ১৭ আগস্ট।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। ওই রাতেই তৎকালীন উপাচার্য ও কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ ওঠে। এরপর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ২৬ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ-উপাচার্য অধ্যাপক শরিফুল আলমকে অব্যাহতি দেয়। ১ মে চুয়েটের অধ্যাপক হজরত আলীকে অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার বিচার দাবিতে ৪ মে থেকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। এরপর কোনো শিক্ষকই ক্লাসে ফেরেননি। শিক্ষক সমিতির বিরোধিতার মুখে হজরত আলী দায়িত্ব পালন করতে না পেরে ২২ মে পদত্যাগ করেন।

এরপর ১০ জুন নতুন উপাচার্য নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার। সেই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার কুয়েটের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মাকসুদ হেলালী। পরদিন শুক্রবার তিনি খুলনায় এসে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় আন্দোলন কর্মসূচি তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে গতকাল সোমবার ক্লাস শুরুর নোটিশ জারি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাইয়ের ১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় উৎসব
  • ১৬ কোটি টাকায় সারা দেশে ফুটবলের তিন টুর্নামেন্ট
  • দুদিনের সফরে কলকাতায় ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
  • ভৌতিক গল্প নিয়ে কানাডায় নুহাশ
  • তাহলে তো স্পন্সর নিয়ে প্রোগ্রাম করলেই চাঁদাবাজি: সালাউদ্দিন
  • সিডনিতে ড্র অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের কেউ না থাকায় হতাশ প্রবাসীরা
  • ‘মুক্তির উৎসব’ করতে সহযোগিতা চেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক সমন্বয়কের আবেদন
  • এবার পরিবার নিয়ে ঘরে বসেই ‘উৎসব’
  • খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬০ দিন পর শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীরা, উৎসবের আমেজ