কয়েক শ মানুষ গণপিটুনি দিয়ে দুজনকে মেরে ফেলেন: পুলিশ
Published: 31st, May 2025 GMT
মাদকবিরোধী অভিযানের পরদিন রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় গণপিটুনিতে দুজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় কয়েক শ মানুষ গণপিটুনি দিয়ে দুজনকে মেরে ফেলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। আজ শনিবার বেলা একটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম তানভীর (২৫) বলে জানা গেছে। অন্যজনের নাম-পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দারুস সালাম জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সালেহ মুহম্মদ জাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা অবস্থান করছেন—এমন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত একটার দিকে দারুস সালাম থানা-পুলিশ আহম্মদ নগরের হাড্ডিপট্টি এলাকায় অভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে পাঁচ কেজি গাঁজাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এডিসি জাকারিয়া বলেন, রাতে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরে নিয়ে আসার পর ওই এলাকায় স্থানীয় মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দুই যুবক হাড্ডিপট্টি এলাকায় গিয়ে স্থানীদের শাসাতে থাকেন। তখন স্থানীয় কয়েক শ মানুষ ওই দুজনকে ধাওয়া দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিব-উল-হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা গতকাল দারুস সালামের আহম্মদ নগরে তানভীরের (গণপিটুনিতে নিহত) বাসায় অভিযান চালিয়েছিলাম। তখন তানভীর বাসা থেকে পালিয়ে যান। পরে বাসা থেকে পাঁচ কেজি গাঁজা উদ্ধার করি। আজ তানভীরসহ তিনজন আবার ওই এলাকায় চাপাতি নিয়ে হাজির হয়ে মানুষকে শাসাতে থাকেন। পরে স্থানীয়রা গণপিটুনি দিয়ে (দুজনকে) মেরে ফেলেছে।’
গণপিটুনির খবর পুলিশ কখন জানতে পেরেছে জানতে চাইলে দারুস সালাম থানার ওসি বলেন, গণপিটুনি দিয়ে হত্যার পর তাঁরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান।
ময়নাতদন্তের জন্য গণপিটুনিতে নিহত দুজনের মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনদারুস সালাম এলাকায় গণপিটুনিতে দুজনের মৃত্যু২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণপ ট ন ত এল ক য় দ জনক
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলা সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে নতুন করে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। নতুন সময়সূচি আগামী ১০ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস (৮২১ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি এখন সকাল সোয়া ৬টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যায়। নতুন সূচি অনুযায়ী, পরীক্ষামূলকভাবে এ ট্রেন চলাচল করবে ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে।
আর কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী প্রবাল এক্সপ্রেস (৮২২ নম্বর ট্রেন) ট্রেনটি কক্সবাজার স্টেশন ছাড়বে সকাল ১০টায়। এখন এ ট্রেন ছাড়ে ১০টা ২০ মিনিটে। গত মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে চলাচলরত সৈকত এক্সপ্রেস ও প্রবাল এক্সপ্রেসের সময়সূচি পরীক্ষামূলকভাবে পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা তারেক মুহাম্মদ ইমরান।
রেলওয়ের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু বক্কর সিদ্দিকীকের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের চাহিদা ও সময়ানুবর্তিতা রক্ষায় সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার জন্য কক্সবাজারগামী সৈকত এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রামমুখী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রুটে এখন দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত চলাচল করে আরও দুই জোড়া আন্তনগর ট্রেন।
কক্সবাজার রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল ২০২৩ সালের ১ ডিসেম্বর। প্রথমে ঢাকা থেকে কক্সবাজার এক্সপ্রেস নামে আন্তনগর বিরতিহীন ট্রেন দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের জানুয়ারিতে চলাচল শুরু করে পর্যটক এক্সপ্রেস। এটাও দেওয়া হয় ঢাকা থেকে। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন না দেওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
গত বছরের ৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এক জোড়া বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়। দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এই ট্রেন। এরপর ইঞ্জিন ও কোচের সংকটের কথা বলে গত বছরের ৩০ মে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে সেই অবস্থান থেকে সরে আসে রেলওয়ে। গত বছরের ১২ জুন থেকে আবার চালু হয় ট্রেন। আর নিয়মিত ট্রেন চলাচল শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে।
সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রী ওঠানামার জন্য ষোলশহর, জানালী হাট, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, চকরিয়া, ডুলাহাজরা ও রামু স্টেশনে থামবে।
আর প্রবাল এক্সপ্রেস যাত্রাপথে থামবে ষোলশহর, গোমদণ্ডী, পটিয়া, দোহাজারী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, ডুলহাজারা, ইসলামাবাদ ও রামু স্টেশনে।