কোরবানি হাট ঘিরে কেউ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নগরের বাইরের চামড়া নগরে ঢুকিয়ে চামড়ার দাম কমানোর অপকৌশল অবলম্বন করে। এভাবে দাম পড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত দেখা যায় অনেক চামড়া অবিক্রীত রয়ে যায়। ওই চামড়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হয়ে মানুষ কষ্ট পায়। এই অপচর্চা ঠেকাতে রাজনৈতিক নেতা, জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশকে ভূমিকা রাখতে হবে।’
সিটি মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে আশপাশ এলাকার কোরবানি পশুর চামড়া ঢোকা রোধ করতে পারলে শহরের কোরবানিদাতারা ভালো দামে চামড়া বিক্রি করতে পারবেন; এতে সব চামড়া বিক্রি হয়ে যাবে। ফলে নগরে পরিত্যক্ত চামড়ার কারণে বর্জ্য তৈরি হয়ে মানুষ কষ্ট পাবে না। এ জন্য কোরবানির ঈদের দিন ও পরবর্তী দুই দিন যাতে নগরে বাইরের চামড়া যাতে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
সিটি মেয়র বলেন, ‘কোরবানির দিন নগর দ্রুততম সময়ে পরিচ্ছন্ন করতে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় যানবাহন ও সরঞ্জাম সংগ্রহের পাশাপাশি কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে, যাতে কোরবানির বর্জ্য বা চামড়া পরিবেশের ক্ষতি না করতে পারে।’  
মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রামকে ক্লিন সিটি করতে আমি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কোরবানির পশুর বর্জ্য যাতে শহরকে অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা না করে সেদিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। শুধু সিটি করপোরেশন নয়, নাগরিকরাও যদি নগরের পরিচ্ছন্নতার দিকটি খেয়াল রাখেন তাহলে কোরবানির বর্জ্য নগরের জন্য কোনো সমস্যা হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নগরীর মুরাদপুর-আতুরার ডিপো এলাকা হলো চামড়া বেচাকেনার বড় কেন্দ্র। সেখানে অনেক সময় সড়কের ওপর চামড়া রাখা হয়। আমরা সেদিকে খেয়াল রাখব। কেউ যেন শহরের রাস্তায় চামড়া রেখে পরিবেশ দূষণ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নগরবাসীকেও সচেতন থাকতে হবে।’

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক রব ন র র বর জ য নগর র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র কারাগারে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলমের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (৩০ জুলাই) লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক রত্না সাহা এই আদেশ দেন। নড়াইল আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা চালায় আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ), যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আরো পড়ুন:

সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির-হুমকি: যুবককে ২ মাসের কারাদণ্ড

চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শন: ছবি তোলা নিয়ে যা বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

এ সময় ছাত্র-জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে তারা গুলি ছুঁড়ে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। ১৩ শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।

এ ঘটনায় ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে ২৯৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো সাড়ে ৩০০ থেকে ৩৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ নম্বর আসামি করা হয় আশরাফুল আলমকে।

ঢাকা/শরিফুল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ