কী দিন এল, রশিদ এখন বেধড়ক পিটুনি খেয়ে ছক্কা হজমের রেকর্ড গড়েন
Published: 1st, June 2025 GMT
টি-টোয়েন্টিতে রশিদ খানের কাজটা কী? উত্তরটা খুব সহজ। আফগানিস্তানের এই লেগ স্পিনার উইকেট নেবেন, সঙ্গে রানেরও চাকাও থামাবেন। বছরের পর বছর ধরে রশিদ দুটোই করে আসছেন। সে কারণেই তো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর এত চাহিদা। সম্প্রতি তাঁকে টি-টোয়েন্টির সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবেও ঘোষণা করেছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো।
তবে হঠাৎ করেই এই রশিদকে দেখা যাচ্ছে না। এবার আইপিএলে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে মনে হয়, এ অন্য রশিদ খান!
রশিদের মতো বোলারেরও খারাপ সময় যেতে পারে। আইপিএলের মতো লম্বা টুর্নামেন্টে কয়েকটি ম্যাচ খারাপ করতেই পারেন। তবে দুই মাসের এই টুর্নামেন্টে ফিরে আসার সুযোগও তো ছিল, রশিদ সেটা পারেননি।
৩৩এবারের আইপিএলে রশিদ যতটি ছক্কা খেয়েছেনরশিদের জন্য কতটা খারাপ গেছে এবারের আইপিএল, তা একটি পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। এবারের আইপিএলে রশিদ ছক্কা হজম করেছেন ৩৩টি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক মৌসুমে এত ছক্কা আর কেউ হজম করেনি। এর আগে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হজমের রেকর্ড ছিল মোহাম্মদ সিরাজের। ২০২২ সালে সিরাজ হজম করেছিলেন ৩১টি ছক্কা। ৩০টি করে ছক্কার মার খেয়েছেন যুজবেন্দ্র চাহাল ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।
আরও পড়ুনশরীফুলের পাকিস্তান সিরিজ শেষ১৬ ঘণ্টা আগেএবার ১৫ ম্যাচে রশিদের উইকেট মাত্র ৯টি। গড়ে ৫৭ রান খরচায় নিয়েছেন একটি করে উইকেট। যেখানে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া পেসার প্রসিধ কৃষ্ণার উইকেট ২৫টি। সর্বশেষ ৬ ম্যাচে রশিদ উইকেট নিয়েছেন মাত্র দুটি। ওভারপ্রতি রান খরচ করেছেন ৯.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উইক ট ন
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু
এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’
পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।