সালমানের টুইট, প্রীতির চোখ টিপ আর আইয়ারে ঘুরে দাঁড়ানো—এ যেন বলিউডেরই চিত্রনাট্য
Published: 2nd, June 2025 GMT
সালমান খানের সেই টুইট আজ আবার আলোচনায়! কোন টুইট, মনে করতে পারছেন কি?
২০১৪ সালের ২৮ মে আইপিএলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে যায় প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস (তখনকার নাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব)। সেই রাতেই বলিউডের আরেক ‘খান’ সালমান টুইটারে (বর্তমানে এক্স) লেখেন, ‘জিনতার দল কি জিতেছে?’
নাহ্, সে সময় তো নয়–ই, প্রীতি জিনতার দল পাঞ্জাব এখনো আইপিএল জেতেনি। তবে এবারের মৌসুমে পাঞ্জাবের দাপট দেখেই কি না, এক ভক্ত কদিন আগে সালমানের সেই পোস্টে লিখেছেন, ‘সাল্লু ভাই, এই টুইট মুছে ফেলার সময় এসেছে। এই বছর ওরা (আইপিএল) জিতবে।’
পাঞ্জাব কিংস এখন সত্যি সত্যিই আইপিএল জেতার খুব কাছাকাছি। আহমেদাবাদে কাল রাতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের দর্প চূর্ণ করে ফাইনালে উঠেছে পাঞ্জাব।
সর্বশেষ ২০১৪ সালেই প্রথম কোয়ালিফায়ার হারের পর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার জিতে ফাইনালে উঠেছিল প্রীতির দল। সেবার শিরোপা লড়াইয়ে শাহরুখের কলকাতার কাছে হেরেই প্রীতির হৃদয় বিদীর্ণ হয়েছিল, যা হয়তো গত ১১ বছরেও সারেনি।
কিন্তু সদা হাস্যোজ্জ্বল প্রীতি এবার আরও চওড়া হাসি হাসতে পারেন। তাঁর এত বছরের বিনিয়োগ সার্থক হতে পারে। মিলতে পারে সব হিসাব। তাঁর আক্ষেপ ঘোচাতে পারেন অকুতোভয়, নির্ভীক এক অধিনায়ক—শ্রেয়াস আইয়ার।
শ্রেয়াস আইয়ারের নেতৃত্ব সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দণ্ডাদেশের রায় বাতিল, খালাস পেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোবারক
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খালাস পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মো. মোবারক হোসেন।
দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগে আপিল করেছিলেন মোবারক। তাঁর করা আপিল মঞ্জুর করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ বুধবার এ রায় দেন। একই সঙ্গে মোবারককে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের রায় বাতিল করা হয়েছে।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের কোনো মামলায় এই প্রথম আপিল করে কেউ খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন মোবারকের আইনজীবীরা।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আপিল করেন মোবারক, যার ওপর ৮ জুলাই শুনানি শুরু হয়।
২২ জুলাই শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। সে অনুযায়ী আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে রায় ঘোষণা করেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে মোবারকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম উপস্থিত ছিলেন।
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তাঁর বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর তিনটি অভিযোগ (২,৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগ) প্রমাণিত না হওয়ায় এগুলো থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে রুকন হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন।
আপিল বিভাগের রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘১ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। দুই অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল করা হয়েছে। অন্য কোনো মামলা না থাকলে তাঁর কারামুক্তিতে বাধা নেই।’