রান্নাঘরে হাতের কাছে যে মসলাগুলো থাকে, সাধারণত সেগুলোই ব্যবহার করেন রাবা। মূল রেসিপি হয়তো একই থাকে, তবে ব্যবহৃত মসলাগুলো হয় সহজলভ্য।

শুধু রাঁধতেই নয়, খেতেও খুব ভালোবাসেন রাবা। আর পছন্দ করেন বাজার করতে। খুব দামি বা বিশেষ খাবার নয়, রাবার পছন্দ দেশি খাবার। নানা ধরনের শাকসবজি খান রাবা। ঢ্যাঁড়স ও ফুলকপির যেকোনো রান্নাই তাঁর পছন্দ। আর সব খাবারের মধ্যে বিশেষ পছন্দ পাঙাশ মাছ। মজা করে রাবা বলছিলেন, ‘পাঙাশ মাছ শুনলে বেশির ভাগ মানুষই নাক সিঁটকান। কিন্তু এই মাছই আমার অনেক পছন্দ।’ কথায়–কথায় বললেন, তাঁর স্বামী আরাফাত মহসীনও মাছটি পছন্দ করেন। ‘মসলা দিয়ে কষিয়ে ভুনা ভুনা পাঙাশ মাছ রান্না করি, যেটা একদম মাংসের মতো স্বাদ হয়। এর কাছে অন্য খাবারের স্বাদ একেবারেই নগণ্য,’ বলছিলেন রাবা খান। মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতেও ভালোবাসেন রাবা। কুমিল্লা–ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের ছানামুখী তাঁর বিশেষ পছন্দ। ভালোবাসেন চিনি দেওয়া খাবার।

রাবা জানালেন, সাত–আট বছর বয়স থেকেই রান্নার প্রতি তাঁর আগ্রহ। তবে বাবার শর্ত ছিল, ১০ বছর বয়সের আগে রান্নাঘরে যাওয়া যাবে না। সেই কথা মেনে দশম জন্মদিনের পর রান্নাঘরে ঢোকেন রাবা। তখন বেকিং আইটেমের প্রতিই আগ্রহ ছিল বেশি। এরপর নানা রকম পানীয় বানাতেন। জানালেন, মা রান্নায় পারদর্শী হলেও কখনো তাঁর কাছে রান্না শেখেননি। মা চাইতেন, নিজের মতো করে রান্না শিখুক রাবা। স্বাদের বিষয়েও মা নাকি বেশ খুঁতখুঁতে। যখন কোনো রেসিপি তৈরি করেন, মাকে পরখ করতে দিলে খুব কম সময়ই তিনি সন্তুষ্ট হন। মা চান, রান্নায় যেন আরও নিখুঁত হয় মেয়ে। ‘তবে বাবা একেবারেই অন্য রকম। যা–ই রান্না করি, খুব মজা করে খান বাবা,’ বলেছিলেন রাবা।

আরও পড়ুনকবির বাড়ির রান্নাঘর ১৯ জুন ২০২৪এমা দাৎসি রান্না করে ভিডিও আপলোডের পর সেটা ভাইরাল হয়েছিল.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ন ন ঘর পছন দ

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু

এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।

আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।

আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’

পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।

ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ