দেশজুড়ে এখন ঈদের ছুটির আমেজ, ক্রিকেটাঙ্গনও আপাতত ব্যস্ততাহীন। এমন নিস্তরঙ্গ সময়ে ভক্ত–সমর্থক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারীদের উদ্দেশে কিছু কথা বলেছেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আজ এক ফেসবুক পোস্টে একটি ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন’কে কেন্দ্র করে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন।

তবে আলোচিত প্রতিবেদনটি কোন বিষয়ে গঠিত কমিটির, অথবা কোনো ব্যক্তির নাম তিনি উল্লেখ করেননি। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কর্তৃক ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা পর্যালোচনায় গঠিত কমিটির প্রতিবেদনকে ইঙ্গিত করেছেন তামিম।

সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে তামিমের বিরুদ্ধে দলের ভেতরের খবর বাইরে ফাঁস করার অভিযোগ করেছিলেন তাঁরই সতীর্থ ও সেই বিশ্বকাপের বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ম্যাচে নাসুম আহমেদকে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের থাপ্পড়ের ঘটনা তামিম ও তৎকালীন ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসই মিডিয়ায় দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ সাকিবের। প্রতিবেদনে সেটি উল্লেখ করা হয়েছে এভাবে, ‘তাঁকে ‘‘থাপ্পড়’’ মারার অভিযোগের বিষয়ে নাসুমকে ফোন করেছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান এবং তামিম ইকবাল। মিডিয়াতে খবরটি তাঁরাই ফাঁস করেছেন। তাঁরা এমন একটি প্রেক্ষাপট তৈরি করতে চেয়েছেন, যাতে হেড কোচের চাকরি যায়।’

পাঠকদের জন্য তামিমের স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো:

আমি আপনাদের সঙ্গে কখনো হাত মেলাব না!

যাঁরা আমার পিছু নিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন আমাকে হাত করার জন্য, সেই মানুষগুলোকে বলছি, আমি কখনো আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

আমি যদি কখনো ক্রিকেট প্রশাসনে আসি, সঠিক পথ ধরেই আসব এবং শুধু ক্রিকেটের ভালোর জন্য আসব। প্রয়োজন হলে কখনো ক্রিকেট বোর্ডে আসব না, তবু আপনাদের সঙ্গে হাত মেলাব না।

যাঁরা আমার ভক্ত-সমর্থক ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী, তাঁদের জন্য বলছি, কোনো একজন ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্ত রিপোর্টে অভিযুক্ত হওয়া, দুটির মধ্যে ব্যবধান আকাশ-পাতাল। একজন ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত ধারণার কথা বলেছেন তদন্ত কমিটিতে। সেটা তাঁর ব্যাপার। সেই ব্যক্তি আগেও একটি টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন, নানা সময়ে নানা কিছু বলেছেন। আমি কখনো প্রকাশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করিনি। শুধু এটুকু বলছি, তদন্ত কমিটির রিপোর্টে কোনো অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়নি এবং তথ্য ফাঁস করা সংক্রান্ত কোনো কিছু তাঁরা আমাকে জিজ্ঞাসাও করেননি। আমি তো তখন দলেই ছিলাম না! তদন্ত কমিটির কাছেও একই রকম মনে হলে নিশ্চয়ই তাঁরা একবার হলেও সেই প্রসঙ্গ তুলতেন বা আমাকে জিজ্ঞাসা করতেন!

কোনো এক ব্যক্তির নিজস্ব ধারণা আর তদন্ত কমিটির অভিযোগের মধ্যে যে বিশাল ব্যবধান আছে, আশা করি সবাই বুঝতে পারবেন।

এ ব্যাপারটিকে যাঁরা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করছেন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে, তাঁদেরকে আবারও বলছি, আমাকে কোনোভাবেই আপনাদের কাতারে পাবেন না। আমি হাত মেলাব না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন দ র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ