সেই যে একবার ঢাকা থেকে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর গত সাতাশ বছরে আইসিসির কোনো শিরোপাই জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা। গেলবার টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল ভারতের কাছে। নিজেদের ‘চোকার্স’ অপবাদ মাথায় নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ আর এ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের। 

এবার কী ভাগ্য ফিরবে প্রোটিয়াদের? ১১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু বছর ধরে চলা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মোট ১২টি ম্যাচ খেলে তারা লর্ডসের টিকিট পেয়েছে। অথচ শুরুটা তাদের একেবারেই ভালো ছিল না, প্রথম পাঁচ টেস্টের মাত্র একটিতে জয়ের পর কীভাবে ফাইনালে মঞ্চে পৌঁছল বাভুমা–মার্করামরা? 

রেকর্ড বলছে, সর্বশেষ টানা সাতটি টেস্ট জেতার পুরস্কার পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের এই জয়যাত্রা কিন্তু শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ থেকেই। ২০২৪ সালে অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসে দুই টেস্টই জিতেছিল প্রোটিয়ারা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ঘরের মাঠে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজেই শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ভারত নিজেদের মাঠে নিউজিল্যান্ডে কাছে ৩–০ তে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও ৩–১ এ সিরিজ হেরেছে। ওই সময়টাতে ঠিক এখানেই এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

শুরুতে তারা ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হেরে যায়। উইন্ডিজ সফরে গিয়ে প্রথমে ড্র করলেও পরে একটি টেস্ট জয়ের সাধ পায়। আর তারপরই বাংলাদেশ সফর থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো। 
মিরপুরে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট করে দেয় প্রোটিয়ারা। চট্টগ্রাম  টেস্টেও স্বাগতিকদের ১৫৯ আর ১৪৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। সেখান থেকেই ছন্দ শুরু। তাই প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়ারা। 

‘সব সংস্করণেই আমরা কিছুটা উন্নতি করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে যেন হারিয়ে যায় আমরা, আইসিসির শিরোপা জিততে পারি না। তবে এবারে পাঁচ দিনে যদি নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই শিরোপা জিততে পারব।’ প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করামের কাছে এই ফাইনাল মঞ্চটি একেবারেই ভিন্ন সাধের।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ইন ল প রথম আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

আফগানিস্তানে মধ্যরাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্র ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য জানিয়েছে। দুই মাস আগেই দেশটিতে এক ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

ইউএসজিএস জানায়, রোববার দিবাগত রাতে আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে খোলম এলাকায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৫৯ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের গভীরতা প্রথমে ১০ কিলোমিটার বলা হয়। পরে তা সংশোধন করে গভীরতা ২৮ কিলোমিটার বলে জানায় সংস্থাটি।

আফগানিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ আগস্ট আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছিল। দেশটির পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

আরও পড়ুনআফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ২২০৫, খোলা আকাশের নিচে মানুষ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আফগানিস্তানে প্রায়শই ভূমিকম্প আঘাত হানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পর্বতমালা বরাবর, যেখানে ইউরেশীয় এবং ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটগুলো মিলিত হয়েছে।

ব্রিটিশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্পবিদ ব্রায়ান ব্যাপটির দেওয়া তথ্য মতে, ১৯০০ সাল থেকে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ১২টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

আরও পড়ুন৩৫ বছরে আফগানিস্তানে ভয়াবহ যত ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ