বাংলাদেশ থেকেই জয়যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ আফ্রিকার
Published: 7th, June 2025 GMT
সেই যে একবার ঢাকা থেকে মিনি বিশ্বকাপ খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর গত সাতাশ বছরে আইসিসির কোনো শিরোপাই জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা। গেলবার টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও হারতে হয়েছিল ভারতের কাছে। নিজেদের ‘চোকার্স’ অপবাদ মাথায় নিয়ে ২০২৩ বিশ্বকাপ আর এ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের।
এবার কী ভাগ্য ফিরবে প্রোটিয়াদের? ১১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা। দু বছর ধরে চলা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মোট ১২টি ম্যাচ খেলে তারা লর্ডসের টিকিট পেয়েছে। অথচ শুরুটা তাদের একেবারেই ভালো ছিল না, প্রথম পাঁচ টেস্টের মাত্র একটিতে জয়ের পর কীভাবে ফাইনালে মঞ্চে পৌঁছল বাভুমা–মার্করামরা?
রেকর্ড বলছে, সর্বশেষ টানা সাতটি টেস্ট জেতার পুরস্কার পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের এই জয়যাত্রা কিন্তু শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ থেকেই। ২০২৪ সালে অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসে দুই টেস্টই জিতেছিল প্রোটিয়ারা। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ঘরের মাঠে পরপর দুটি টেস্ট সিরিজেই শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা ভারত নিজেদের মাঠে নিউজিল্যান্ডে কাছে ৩–০ তে হোয়াইট ওয়াশ হয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও ৩–১ এ সিরিজ হেরেছে। ওই সময়টাতে ঠিক এখানেই এগিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
শুরুতে তারা ভারত ও নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হেরে যায়। উইন্ডিজ সফরে গিয়ে প্রথমে ড্র করলেও পরে একটি টেস্ট জয়ের সাধ পায়। আর তারপরই বাংলাদেশ সফর থেকে তাদের ঘুরে দাঁড়ানো।
মিরপুরে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট করে দেয় প্রোটিয়ারা। চট্টগ্রাম টেস্টেও স্বাগতিকদের ১৫৯ আর ১৪৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয় পায়। সেখান থেকেই ছন্দ শুরু। তাই প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী প্রোটিয়ারা।
‘সব সংস্করণেই আমরা কিছুটা উন্নতি করেছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে যেন হারিয়ে যায় আমরা, আইসিসির শিরোপা জিততে পারি না। তবে এবারে পাঁচ দিনে যদি নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে পারি, তাহলে অবশ্যই শিরোপা জিততে পারব।’ প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করামের কাছে এই ফাইনাল মঞ্চটি একেবারেই ভিন্ন সাধের।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: আবদুল আউয়াল মিন্টু
এ বছরের ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজ বুধবার ফেনীতে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু।
আজ দুপুরে ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন’ শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথাগুলো বলেন মিন্টু। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারি আগেই নির্বাচন হতে পারে। হয়তো জানুয়ারিতেও হয়ে যেতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটা ডেট পেন্ডিং আছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রবর্তন হলে তার অধীনে ৯০ দিনে নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, দেশে যদি এক যুগ, দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জানমালের উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনো ভালো কাজ করবে না।
আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেন, ‘২০০৬ সাল থেকে আমরা নির্বাচন চেয়ে আসছি। ১৯ বছর ধরে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন–সংগ্রাম করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যৌথ বিবৃতি দিয়েছিল। প্রধান উপদেষ্টা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমরা সেটিতে আস্থা রাখতে চাই। আমরা চাচ্ছি, দ্রুত নির্বাচনটি হোক।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচনে ফেনীর অতীত ইতিহাস সবাই জানে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এখানে বিএনপি জয়লাভ করবে। আমাদের দলের নেত্রীও (খালেদা জিয়া) নির্বাচন করবেন। তিনি এখন সুস্থ আছেন।’
পরে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ফেনীর মুহুরী-কহুয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন (১ম পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ওরফে ভিপি জয়নাল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ রেহানা আক্তার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান প্রমুখ।