চামড়া সংগ্রহ ও মূল্য নিশ্চিত করতে এবার বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, “আমাদের চেষ্টা ছিল চামড়া ভালোভাবে সংগ্রহ করা এবং বিক্রেতারা যেন সরকার নির্ধারিত মূল্য পান তা নিশ্চিত করা।” 

কিছু জায়গায় লবণ দিতে দেরি ও ত্রুটির কারণে চামড়া নষ্ট হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগর পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে সভা করেন তিনি। বিসিক কার্যালয়ের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় বিসিক, উপজেলা প্রশাসন, ডিটিআইইডব্লিউটিপিসিএল, ও ট্যানারি মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তারেক রহমান

লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধান উপদেষ্টা

আদিলুর রহমান খান বলেন, সোমবার দুপুর পর্যন্ত সাভারের বিসিক চামড়া শিল্পনগরে ৩ লাখ ৭৮ হাজার পিস চামড়া প্রবেশ করেছে। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আরো সাড়ে ৭ লাখ পিস চামড়া।”

ত্রুটিপূর্ণ সিইটিপি নিয়ে শিল্প উপদেষ্টা বলেন, “এটির জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। দুদকের কার্যক্রমও চলছে।”

শিল্প সচিব মো.

ওবায়দুর রহমান বলেন, “সিইটিপি’র ডিজাইন ত্রুটিপূর্ণ। যারা এটি করেছে তারা ভুল করেছে। এখন নতুন প্ল্যান্ট তৈরির সময় হয়েছে। সরকারও এটি চাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই বিষয়ে একটি স্ট্যাডি করছে। বিশেষ করে ইতালির মতো অভিজ্ঞ দেশ দিয়ে একটি মানসম্মত সিইটিপি নির্মাণের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।”

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ জানান, ট্যানারি মালিকরা ইতোমধ্যে ৪ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ করেছেন। ঢাকায় এবার ৮-১০ লাখ পিস পশু কোরবানি হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোরবানি কম হওয়ায় চামড়া সরবরাহ শতকরা ১০ ভাগ কম হবে।

তিনি বলেন, “লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপ (এলডব্লিউজি) সনদের অভাবে চামড়ার দরপতন ঘটছে। ট্যানারিগুলো এলডব্লিউজি সনদ না পাওয়ায় কাঙ্ক্ষিত দাম ও ক্রেতা পাচ্ছি না। সিইটিপি যদি এলডব্লিউজি স্ট্যান্ডার্ডে হয়, বা পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমোদিত হয়, তাহলে চামড়ার দাম দ্বিগুণ করা সম্ভব।”

ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট স ইট প স গ রহ রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দেশে পাঙাশের বৃহত্তম আড়ত দ্বীপনগর, পাওয়া যায় দেশি-বিদেশি অনেক মাছ
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক