প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি শেষে ভোগান্তি এড়াতে সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার আগে স্বস্তিতে মানুষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করছে। মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন গিয়ে দেখা যায়, দেশের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা ঢাকায় ফিরছে।

চট্টগ্রামে থেকে আসা মেহেবুবা আক্তার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘এবার আমাদের ঈদযাত্রা অন্যান্য বারের তুলনায় অনেক স্বস্তিদায়ক ছিল। আমি একজন বেসরকারি চাকরিজীবী, অফিস খোলা তাই তাড়াতাড়ি চলে আসতে হয়েছে। ঈদযাত্রায় রেলের এই সুন্দর ব্যবস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে।’’

শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়। এবার ৫ জুন থেকে সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ জুন ছুটি শেষ হবে। 

আরো পড়ুন:

ঢাকা দক্ষিণে বর্জ্য সরানোর কাজ শেষ, ৩১ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ

ডিএনসিসির প্রশাসক
ঈদের ৩ দিনে ডিএনসিসির ২০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণ

রাজশাহী থেকে আসা বনলতা এক্সপ্রেসের যাত্রী তানজিল আহমেদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘এবারের ঈদযাত্রায় আমাদের ভোগান্তি পেতে হয়নি। একেবারে ঠিক সময়ে ট্রেন চলে আসছে। আর কোনো অসুবিধাও হয়নি। ঈদের সময় সহ সব সময় যদি ট্রেনের সেবা এমন থাকে তাহলে সাধারণ যাত্রীরা স্বস্তিতে তাদের গন্তব্যে যেতে পারবে এবং ট্রেন তাদের যে দুর্নাম সেটা কাটিয়ে উঠতে পারবে।’’ 

বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকার স্টেশন মাস্টার মাজহারুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘ছুটি কাটিয়ে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যার খবর আমাদের কাছে নেই। যাত্রীদের কাছে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক ছিল শুনে আমাদের ভালো লাগছে। আমরা ঈদ করতে যেতে পারিনি তবে এর জন্য কোনো কষ্ট নেই। মনে হচ্ছে পরিবারের সঙ্গে আছি।’’

ঢাকা/রায়হান/বকুল 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঈদয ত র স বস ত আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিলেন স্বামী

সাভারে স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখে খলিলুর রহমান (৪৫) নামে এক ব্যক্তি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে সাভার পৌরসভার ব্যাংক কলোনি মহল্লায় ভাড়া বাসায় তিনি ফাঁস দেন। মঙ্গলবার সকালে ওই বাসা থেকে নিহতের ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ।

নিহত খলিলুর রহমান ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের চরসুঙ্গর এলাকার ডাক্তার জলিলের ছেলে। তিনি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার ২৭ নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক (মার্কেটিং) হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, পারিবারিক কলহের জেরে ঝগড়া করে খলিলুর রহমানের স্ত্রী জেবা আক্তার সোমবার তার বাবার বাসায় চলে যায়। পরে রাতে খলিলুর রহমান স্ত্রীকে ভিডিও কল দেয়। এসময় স্ত্রীকে ভিডিও কলে রেখেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। বিষয়টি তার স্ত্রী সবাইকে জানালে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় খলিলুর রহমানের মরদেহটি উদ্ধার করে।

নিহতের চাচতো ভাই শামীম হোসেন জানান, খলিল ভাই মাঝে মধ্যেই বাসা ছেড়ে বাইরে থাকেন। ঈদের দিনও তিনি বাইরে ছিলেন। এ নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের এক পর্যায়ে তার স্ত্রী ৮ বছরের ছেলেকে নিয়ে সোমবার সকালে বাসা ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যায়। এ সময় তার ছোট মেয়ে খুশনোকে বাসায় রেখে যায়।

তিনি আরও জানান, সোমবার খলিল বাসায় এসে স্ত্রীকে না পেয়ে ফোন করে বাসায় ফিরে আসতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী না আসায় ওইদিন রাত ৩টার দিকে স্ত্রীকে ভিডিও কল দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, পুলিশ দরজা ভেঙে নিহতের মরদেহটি ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ