রুনা খান। জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক সময়ে অভিনয়ের বাইরেও নিজের স্টাইলিশ ইমেজ নিয়ে দারুণভাবে আলোচিত তিনি।   ঈদ উপলক্ষে ভিন্ন তিনটি কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। ঈদের কাজসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। 

ঈদ কোথায় কাটালেন?
বেশির ভাগ সময় তো ঈদ ঢাকাতে করা হয়। এবার পুরো পরিবারসহ ঢাকার বাইরে ঈদ করছি। কারণ, আমার মেয়ের স্কুলের ছুটি এবার লম্বা।

ঈদে ওটিটিতে আপনার তিনটি কাজ এসেছে। সেগুলো সম্পর্কে জানতে চাই
এবার ঈদুল আজহায় ওটিটিতে তিনটি ভিন্ন কনটেন্ট মুক্তি পেয়েছে। ৫ জুন হইচইয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’। অন্যদিকে আইস্ক্রিনে ৯ জুন মুক্তি পেয়েছে শাহরিয়ার নাজিম জয় পরিচালিত ‘পাপ কাহিনী’। এই দুইটা সিরিজ থেকে দারুন সাড়া পাচ্ছি। এছাড়া তৌফিক এলাহী পরিচালিত ‘নীলপদ্ম’ সিনেমাও আইস্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে। 

‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’তে চরিত্রটা কেমন?
এখানে আমার চরিত্রের নাম আম্বিয়া। সে একটা ভাতের হোটেলের মালিক। ভীষণ দাপুটে, রগচটা একটা নারী। তবে তিনি ভীষণ আত্মবিশ্বাসী। সে তার স্বামী আব্বাসের প্রতি দূর্বল। এর থেকে বেশি কিছু বলা ঠিক হবে না। তবে নির্মাতা অমিতাভ রেজা প্রথম স্ক্রিপ্ট দেখেই বলেছেন আম্বিয়া চরিত্রটা রুনাকে ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে হবে না।

‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ করতে গিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ?
না। এই চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়নি। কারণ, নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও তার টিম চরিত্রটা এমনভাবে লিখেছেন; মনে হয়েছে এটা আমার জন্যই। পুরোপুরি গুছিয়ে আমার কাছে দিয়েছেন। আর আমার কাজ অভিনয়, সেটা আমি করে গেছি। এখন ওয়েব সিরিজে কাজ করতে গেলে আমরা গুছিয়ে কাজ করার সময় পাই। বিশেষ করে স্ক্রিপ্ট, রিহার্সেল, লুকটেস্টসহ সময় নিয়ে কাজ করতে পারি। ফলে অমিতাভ ভাই আম্বিয়াকে যেভাবে চেয়েছেন সেভাবে আমি দেওয়ার চেষ্টা করেছি। টিজার দেখে সবাই ভালো বলেছে। প্রাপ্তির জায়গা এটাই।

‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’ সিরিজের চরিত্র ও মোশাররফ করিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা.

..
মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সম সময়ই ভালো। তিনি আমার বহু বছরের সহকর্মী। একসঙ্গে আমরা অনেক একক-ধারাবাহিক নাটক-সিনেমায় কাজ করেছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তিনি সহযোগিতা পরায়ণ অভিনেতা।

‘পাপ কাহিনী’ নিয়ে আলোচনা চলছে। এটা দর্শক কেন দেখবেন?
হ্যাঁ, কয়েকদিন হল আমিও দেখছি মানুষ এই সিরিজ নিয়ে ভালোই আলোচনা করছেন। বড় কথা হলো, দর্শক এখন নানা মেজাজের জিনিস দেখতে পছন্দ করেন। ‘পাপ কাহিনী’ হল ভিন্ন মেজাজের একটি সিরিজ। এখানে দর্শক ভালো একটি গল্প পাবে।

অভিনেতা শাহরিয়ার নাজিম জয়  ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন আপনাকে নিয়ে। সেখানে তিনি বলেছেন আপনার নাকি অনেক গাড়ি, বাড়ি ও অনেক টাকা দরকার?
জয় ভাই এটা মজার ছলে পোস্ট করেছেন। মাঝে মধ্যেই তো নানার কিছু করেন। আমাকে নিয়ে কেন পোস্ট করেছেন সেটা জয় ভাই ভালো বলতে পারবেন। এরসঙ্গে সিনেমার ও আমার ব্যক্তি সম্পর্ক নেই। আমি বরাবরই সাধারণ একজন মানুষ। সাধারণভাবেই বাঁচতে চাই।

ছোটবেলার কোরবানির ঈদ ও এখনকার ঈদের মধ্যে পার্থক্য?
ছোট বেলার ঈদে নতুন জামা-জুতা পড়ে আমরা দুদুর-বাড়ি ও নানুর বাড়ি যেতাম। কাজিন-পাড়াপ্রতিবেশি সবাই একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতাম। তখন তো কোনো দায়িত্ব ছিলো না। এখন কাঁধে অনেক দায়িত্ব। সংসার হয়েছে। সমস্ত দায়িত্ব পার করে হয়তো বিকেলে একটু বের হই। বন্ধুরা আসে বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়। এখন ঈদ বা বিশেষ দিন মানে পারিবার এবং একেবারেই কাছে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো।

কোরবানি ঈদ কথাটা কানে আসলই প্রথমেই কোন স্মৃতিটা মনে পড়ে?
গত রোজার গেল ঈদের আগে অর্থাৎ ১০ মার্চ আমার বাবা প্রয়াত হয়েছেন। গেল রোজার ঈদ ও কোরবানির ঈদ আমরা দুই ভাই বোন বাবাকে ছাড়া ঈদ করছি। এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই। বাবার কথা মনে হলেই বকিটা ভারি হয়ে আসে। ভবিষ্যতে যত ঈদ আসবে আমাদের মনে নাড়া দেবে যে, আব্বু নেই। কারণ, আমি খুবই পরিবার কেন্দ্রেীক মানুষ। ছোটবেলা থেকেই আমি বাবা-মা-ভাই ও বোন আমার পরিবার। এখনো স্বামী-সন্তান নিয়ে আমার পরিবার। তো আমার কাছে পরিবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি যখন হারিয়ে যায়, তখন কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই থাকে না। এই কষ্ট মেনে নিতে হয়, মেনে নিতে হবে।

বর্তমানে কী কী কাজ হাতে আছে...
তিনিটি সিনেমার শুটিং শেষ করে রেখেছি। মাসুদ পথিকের ‘বক’, কৌশিক সংকর দাশের ‘দাফন’, ও জাহিদ হোসেনের ‘নীলবন্ধন’। এর মধ্যে সোহেল রানা বয়াতির স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় ‘নিদ্রাসুর’-এর অভিনয় করেছি। এছাড়া আরও একটি সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছে; সেটার নাম বলা নিষেধ আছে। একমাস নির্মাতা ও প্রযোজকের টিম থেকে ঘোষণা আসবে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র পর ব র ক জ কর চর ত র

এছাড়াও পড়ুন:

‘কাম্বলিকে বলেছিলাম মেয়েদের কাছে যেয়ো না, সে বলেছিল আমি কিং’

ভারতের ক্রিকেটে বড় আক্ষেপের নাম বিনোদ কাম্বলি। কেউ কেউ তাঁকে শচীন টেন্ডুলকারের চেয়েও প্রতিভাবান মনে করতেন, শুরুটাও ছিল বেশ আশাজাগানিয়া। কিন্তু টেন্ডুলকার ক্রিকেট–বিশ্বে সর্বকালের সেরাদের একজন হয়ে উঠলেও কাম্বলিকে এখনকার ভারতীয় সমর্থকদের অনেকেই হয়তো চেনেন না।

প্রথম চার টেস্টে দুটি ডাবল সেঞ্চুরি এবং টেস্টে দ্রুততম ১০০০ রানে পৌঁছানো ব্যাটসম্যানদের একজন হয়ে ওঠা কাম্বলি কীভাবে ক্রিকেট-দুনিয়া থেকে ধীরে ধীরে মুছে গেলেন, এবার সেটির কিছুটা উঠে এসেছে যোগরাজ সিংয়ের কথায়। ভারতের এই সাবেক ক্রিকেটার বলেছেন, কাম্বলিকে অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন থেকে সরে আসতে পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরামর্শ পাত্তা না দিয়ে ঔদ্ধত্য দেখিয়ে কাম্বলি বলতেন, ‘আমি কিং।’

কাম্বলি ও টেন্ডুলকার দুজনের বেড়ে ওঠা মুম্বাইয়ের একই স্কুল থেকে। ১৯৮৮ সালে মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে হ্যারিস শিল্ড টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে সেন্ট জেভিয়ার্সের বিরুদ্ধে সারদাশ্রম বিদ্যামন্দিরের হয়ে তাঁরা দুজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৬৪ রানের অপরাজিত জুটি গড়েছিলেন, যা সে সময় যেকোনো ধরনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি ছিল।

বিনোদ কাম্বলি যখন মাঠ মাতাচ্ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নির্বাসিত, তবুও অপরাজিত
  • বেঁচে গেছেন এক যাত্রী, হাসপাতালে ভর্তি
  • বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ইউনূস-তারেক বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ
  • আহমেদাবাদের সেই মেডিকেল হোস্টেলের ৫ শিক্ষার্থী নিহত
  • মাতামুহুরী নদীর তীরে মিলল পর্যটকের লাশ, এখনো নিখোঁজ ২
  • মে মাসে ৫৯৭ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬১৪
  • এই ঈদে যে নাটকগুলো আলোচনায় এলো
  • রিয়াল-বার্সার ১২ রত্ন: যাঁদের কেড়ে নিতে লাগবে ১৩ হাজার কোটি টাকা
  • লন্ডনের রাস্তায় নামছে উবারের চালকবিহীন ট্যাক্সি
  • ‘কাম্বলিকে বলেছিলাম মেয়েদের কাছে যেয়ো না, সে বলেছিল আমি কিং’