Samakal:
2025-09-18@02:36:53 GMT

আফসোসের হার হামজাদের

Published: 11th, June 2025 GMT

আফসোসের হার হামজাদের

শেষ মুহূর্তে হামজা চৌধুরীর ডান পায়ের বুলেট গতির শট যদি জাল কাঁপাত কিংবা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম যদি পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট না করতেন, তাহলে ম্যাচের গল্পটি অন্য রকম হতো। বাংলাদেশের ফুটবল উন্মাদনায় যোগ হতো নতুন মাত্রা। কিন্তু উপচে পড়া গ্যালারির সমর্থন পেয়েও জ্বলে উঠতে পারেনি আক্রমণভাগ। ভাগ্যটাও যেন সঙ্গে ছিল না এদিন। রেফারির কয়েকটি সিদ্ধান্ত পক্ষে যায়নি বাংলাদেশের। তাই দর্শকদের তুমুল উন্মাদনা শেষ হলো এসব আফসোস নিয়ে। 

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও যে লড়াকু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন হামজা চৌধুরী-শমিত সোমরা, তা হৃদয় কেড়েছে দর্শকের। কিন্তু পরাজয়ের কারণে সমর্থকরা মুখ গোমড়া করে ফিরেছেন বাসায়। মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলের পরাজয়ে মূল পর্বে খেলার পথে বড় ধাক্কা খেল হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। গ্রুপ ‘সি’তে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র ১। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে একই স্টেডিয়ামে।

এদিন ষষ্ঠ প্রবাসী হিসেবে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে শমিত সোমের। এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে শুরুর একাদশে জায়গা হয় আরও চার প্রবাসী তারিক কাজী, হামজা চৌধুরী, কাজেম শাহ ও ফাহমিদুল ইসলামের। ছয় প্রবাসীর মধ্যে বেস্ট ইলেভেনে ছিলেন না জামাল ভূঁইয়া। ভুটান ম্যাচের একাদশে থাকা তাজ উদ্দিন, সোহেল রানাকে রাখেননি কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শুরু থেকেই নিখুঁত পাসিং, চাপ সৃষ্টি করা, দুর্দান্ত বোঝাপড়া আর টানটান ছন্দে চলা এক ফুটবল শো এদিন দেখান বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। 

গোল বাদে প্রথমার্ধের পুরোটা সময় ছন্দময় খেলা উপহার দেন শমিত-ফাহমিদুলরা। মধ্যমাঠে হামজা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের আক্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর লং পাসগুলো ছিল বিপজ্জনক। শমিত সোম দেখিয়েছেন ফুটবলশৈলী। আর মুভমেন্ট, বল কন্ট্রোল, স্পিড– সব জায়গায় নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন ফাহমিদুল। রাইট উইংয়ে শাকিল আহাদ তপু কয়েকবারই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেন। কখনও রাকিব হোসেন, কখনও বা ফাহমিদুল তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। 

পরিকল্পিত ফুটবল খেলা বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে। সিঙ্গাপুরের স্টুয়ার্ট হ্যারিসের লম্বা থ্রোতে গোলের রাস্তা খোলে। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট লাফিয়ে উঠে ফিস্ট করেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বল চলে যায় হ্যারিসের পায়ে। ততক্ষণে গোলপোস্ট থেকে অনেক দূরে চলে যান মিতুল। তাঁর ক্রসে ডান পায়ের ভলিতে জাল কাঁপান নাম্বার সেভেন সং।

অথচ প্রথম ৪৫ মিনিট বাংলাদেশই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল বেশি। ১৫ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ শানায় তারা। ডান প্রান্ত দিয়ে শাকিল আহাদ তপুর নিখুঁত পাসে বক্সের মধ্যে বল পান রাকিব হোসেন। তাঁর নেওয়া দুর্বল শট সিঙ্গাপুরের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়। ৩৯ মিনিটে হৃদয়ের ডিফেন্স চেরা পাস খুঁজে নেয় ফাহমিদুলকে। ইতালিয়ান এ প্রবাসীর শট প্রতিহত করেন বাহারুদ্দিন। এর মধ্যে ম্যাচের ৩১ মিনিটে মিতুল মারমা অসাধারণ সেভ করেন। বাঁ প্রান্ত থেকে ফান্দির শট দূরের পোস্ট দিয়ে চলে যাচ্ছিল জালে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে বলটি ফেরান বাংলাদেশ গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ৪৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রসে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি কাজেম শাহর বদলি হিসেবে নামা শাহরিয়ার ইমন। এর ১০ মিনিট পরই সিঙ্গাপুর দ্বিতীয় গোল করলে বাংলাদেশ শিবিরে নেমে আসে হতাশা। ৫৮ মিনিটে হামি শাহিনের শট মিতুল মারমা ফেরালেও বল চলে যায় ইকশান ফান্দির পায়ে। ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং শটে জাল কাঁপান তিনি। 

এই গোলের পর উত্তাল গ্যালারিতে নেমে আসে নীরবতা। ৬৭ মিনিটে প্রবাসী আর বাংলাদেশি ফুটবলারের সমন্বয়ে গোলের আনন্দে মেতে ওঠে সবাই। মাঝমাঠ থেকে হামজার নিখুঁত পাস খুঁজে নেয় রাকিব হোসেনকে। তাঁর শট সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে চলে যায় জালে। এরপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকেন স্বাগতিকরা। বেশ কয়েকটি কর্নার আদায় করেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি মেলেনি। তাই উৎসবের মঞ্চটা রূপ নেয় বিষাদে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব স ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন। 

তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।

উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে। 

কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। 

জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।

জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”

জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।

জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”

ঢাকা/রুমন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর  করতে ডায়েটে যে পরিবর্তন আনতে পারেন
  • অনুষ্ঠান করে স্ত্রীকে বিয়ে দিলেন স্বামী
  • ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান