Samakal:
2025-06-12@13:26:14 GMT

আফসোসের হার হামজাদের

Published: 11th, June 2025 GMT

আফসোসের হার হামজাদের

শেষ মুহূর্তে হামজা চৌধুরীর ডান পায়ের বুলেট গতির শট যদি জাল কাঁপাত কিংবা ফয়সাল আহমেদ ফাহিম যদি পোস্টের ওপর দিয়ে মেরে সুযোগ নষ্ট না করতেন, তাহলে ম্যাচের গল্পটি অন্য রকম হতো। বাংলাদেশের ফুটবল উন্মাদনায় যোগ হতো নতুন মাত্রা। কিন্তু উপচে পড়া গ্যালারির সমর্থন পেয়েও জ্বলে উঠতে পারেনি আক্রমণভাগ। ভাগ্যটাও যেন সঙ্গে ছিল না এদিন। রেফারির কয়েকটি সিদ্ধান্ত পক্ষে যায়নি বাংলাদেশের। তাই দর্শকদের তুমুল উন্মাদনা শেষ হলো এসব আফসোস নিয়ে। 

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও যে লড়াকু পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন হামজা চৌধুরী-শমিত সোমরা, তা হৃদয় কেড়েছে দর্শকের। কিন্তু পরাজয়ের কারণে সমর্থকরা মুখ গোমড়া করে ফিরেছেন বাসায়। মঙ্গলবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের কাছে ২-১ গোলের পরাজয়ে মূল পর্বে খেলার পথে বড় ধাক্কা খেল হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার দল। গ্রুপ ‘সি’তে দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র ১। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের। বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ৯ অক্টোবর হংকংয়ের বিপক্ষে একই স্টেডিয়ামে।

এদিন ষষ্ঠ প্রবাসী হিসেবে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে শমিত সোমের। এই মিডফিল্ডারের সঙ্গে শুরুর একাদশে জায়গা হয় আরও চার প্রবাসী তারিক কাজী, হামজা চৌধুরী, কাজেম শাহ ও ফাহমিদুল ইসলামের। ছয় প্রবাসীর মধ্যে বেস্ট ইলেভেনে ছিলেন না জামাল ভূঁইয়া। ভুটান ম্যাচের একাদশে থাকা তাজ উদ্দিন, সোহেল রানাকে রাখেননি কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে শুরু থেকেই নিখুঁত পাসিং, চাপ সৃষ্টি করা, দুর্দান্ত বোঝাপড়া আর টানটান ছন্দে চলা এক ফুটবল শো এদিন দেখান বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। 

গোল বাদে প্রথমার্ধের পুরোটা সময় ছন্দময় খেলা উপহার দেন শমিত-ফাহমিদুলরা। মধ্যমাঠে হামজা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের আক্রমণের মূল কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর লং পাসগুলো ছিল বিপজ্জনক। শমিত সোম দেখিয়েছেন ফুটবলশৈলী। আর মুভমেন্ট, বল কন্ট্রোল, স্পিড– সব জায়গায় নিজের উপস্থিতি জানান দিয়েছেন ফাহমিদুল। রাইট উইংয়ে শাকিল আহাদ তপু কয়েকবারই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেন। কখনও রাকিব হোসেন, কখনও বা ফাহমিদুল তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। 

পরিকল্পিত ফুটবল খেলা বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে। সিঙ্গাপুরের স্টুয়ার্ট হ্যারিসের লম্বা থ্রোতে গোলের রাস্তা খোলে। প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের শট লাফিয়ে উঠে ফিস্ট করেন গোলরক্ষক মিতুল মারমা। বল চলে যায় হ্যারিসের পায়ে। ততক্ষণে গোলপোস্ট থেকে অনেক দূরে চলে যান মিতুল। তাঁর ক্রসে ডান পায়ের ভলিতে জাল কাঁপান নাম্বার সেভেন সং।

অথচ প্রথম ৪৫ মিনিট বাংলাদেশই গোলের সুযোগ সৃষ্টি করেছিল বেশি। ১৫ মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণ শানায় তারা। ডান প্রান্ত দিয়ে শাকিল আহাদ তপুর নিখুঁত পাসে বক্সের মধ্যে বল পান রাকিব হোসেন। তাঁর নেওয়া দুর্বল শট সিঙ্গাপুরের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে গোলরক্ষকের হাতে চলে যায়। ৩৯ মিনিটে হৃদয়ের ডিফেন্স চেরা পাস খুঁজে নেয় ফাহমিদুলকে। ইতালিয়ান এ প্রবাসীর শট প্রতিহত করেন বাহারুদ্দিন। এর মধ্যে ম্যাচের ৩১ মিনিটে মিতুল মারমা অসাধারণ সেভ করেন। বাঁ প্রান্ত থেকে ফান্দির শট দূরের পোস্ট দিয়ে চলে যাচ্ছিল জালে। বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণভাবে বলটি ফেরান বাংলাদেশ গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। ৪৮ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে রাকিবের ক্রসে বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি কাজেম শাহর বদলি হিসেবে নামা শাহরিয়ার ইমন। এর ১০ মিনিট পরই সিঙ্গাপুর দ্বিতীয় গোল করলে বাংলাদেশ শিবিরে নেমে আসে হতাশা। ৫৮ মিনিটে হামি শাহিনের শট মিতুল মারমা ফেরালেও বল চলে যায় ইকশান ফান্দির পায়ে। ঠান্ডা মাথায় প্লেসিং শটে জাল কাঁপান তিনি। 

এই গোলের পর উত্তাল গ্যালারিতে নেমে আসে নীরবতা। ৬৭ মিনিটে প্রবাসী আর বাংলাদেশি ফুটবলারের সমন্বয়ে গোলের আনন্দে মেতে ওঠে সবাই। মাঝমাঠ থেকে হামজার নিখুঁত পাস খুঁজে নেয় রাকিব হোসেনকে। তাঁর শট সিঙ্গাপুর গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে চলে যায় জালে। এরপর প্রচুর চাপ প্রয়োগ করে খেলতে থাকেন স্বাগতিকরা। বেশ কয়েকটি কর্নার আদায় করেন হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যরা। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি মেলেনি। তাই উৎসবের মঞ্চটা রূপ নেয় বিষাদে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রব স ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা গেল শাকিবকে, নতুন গুঞ্জনের শুরু

এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে শাকিব খান অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত ছবি তাণ্ডব, যা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রেক্ষাগৃহে উপচে পড়া ভিড় আর টিকিটের সংকট দেখা গেছে। তবে হলে সিনেমা চললেও  বরাবরের মতো এবারও শাকিব খান ছিলেন পরিবারমুখী।চলচ্চিত্রের আলো-ঝলমলের বাইরে একান্ত সময় কাটাচ্ছিলেন প্রিয়জনদের সঙ্গে।

এই নিরবতার মধ্যেই ঈদের ছুটিতে ছেলেকে নিয়ে শহরের একটি বিপণিবিতানে কেনাকাটায় বের হয়েছিলেন শাকিব খান। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছেলে আব্রাহাম খান জয় এবং জয়ের মা, চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। হঠাৎ করেই তাদের তিনজনকে একসঙ্গে দেখা যায় ঢাকার একটি সড়কে, গাড়িতে ওঠার মুহূর্তে। কারও নজর এড়িয়ে যায়নি সেই দৃশ্য। মুহূর্তেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, তৈরি হয় নতুন করে আলোচনার ঝড়।

ভিডিওতে দেখা যায়, শাকিব, অপু ও জয় একই ধরনের মাস্ক পরে গাড়িতে উঠছেন। সামনের আসনে বসেন শাকিব ও তাঁর ছেলে, পেছনে জায়গা নেন অপু বিশ্বাস। আব্রাহামের হাতে ধরা একটি ছোট ব্যাগ যেন এই পারিবারিক মুহূর্তকে আরও নিখুঁতভাবে তুলে ধরে। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু ভক্ত এই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করলেও তারা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে সরে যান। এ যেন বাস্তব জীবনের হঠাৎ ধরা পড়া এক টুকরো সিনেমা!

যদিও এ দৃশ্যের পেছনে রয়েছে নিছক পারিবারিক প্রয়োজন। জয়কে নিয়ে কেনাকাটা। তবুও তাদের একসঙ্গে দেখা যাওয়া নতুন করে গুঞ্জন তুলেছে ভক্তমহলে। অনেকেই প্রশ্ন করছেন-শাকিব ও অপু কি আবার কাছাকাছি আসছেন?

ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, শাকিবের পরিবারের সঙ্গে অপু বিশ্বাসের সম্পর্ক বর্তমানে বেশ সৌহার্দ্যপূর্ণ। বিশেষ করে শাকিবের মা, বাবা ও বোনদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। শাকিব নিজে অপুর বাসায় না গেলেও অপু বিশ্বাস মাঝেমধ্যে যান শাকিবের বাড়িতে, ছেলের প্রয়োজনে। তাদের সম্পর্কের এই স্থিতি সামাজিকভাবে ইতিবাচক বলেই মনে করছেন অনেকে।

তবে এইসব গুঞ্জনের মাঝে শাকিব খান নিজেই এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট করেছিলেন তাঁর অবস্থান। “আমি যেমন আব্রাহাম ও শেহজাদের বাবা, তেমনি অপু-বুবলীও তাঁদের মা। সন্তানের প্রয়োজনেই আমাদের দেখা হয়, কথা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গায় অপু ও বুবলী দুজনেই এখন আমার অতীত। তাদের সঙ্গে কোনো পুনর্মিলনের সম্ভাবনা নেই।” বলেছিলেন শাকিব খান।

তবে অতীতের সম্পর্ক ‘অতীত’ হয়ে গেলেও সন্তানের ভালোর জন্য যে বন্ধন বজায় রাখা জরুরি, সেটিই যেন এই দৃশ্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। শাকিব-অপুর পুরোনো গল্পের ভেতর থেকেও উঠে এলো এক নতুন বাস্তবতা।সন্তানই এখন তাঁদের সবচেয়ে বড় সংযোগ।

আর ঠিক এই মানবিকতার জায়গাটিই হয়তো আজ ভক্তদের আবার ভাবিয়ে তুলছে। পর্দার নায়ক বাস্তব জীবনেও কখনও কখনও এক অন্যরকম গল্পের চরিত্র হয়ে ওঠেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অপু বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা গেল শাকিবকে, নতুন গুঞ্জনের শুরু