শাকিব-অপুর ভিডিও ভাইরাল, বুবলী বললেন ‘নোংরা ভিডিও ছড়াবেন না’
Published: 11th, June 2025 GMT
মেগাস্টার শাকিব খান অভিনীত সিনেমা ‘তাণ্ডব’ দেশে শতাধিক সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে। ঈদের দিন থেকেই সিনেমাটি দেখতে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। বরাবরের মতো সিনেমা মুক্তির পর শাকিব খানের বাড়তি প্রচারণা নেই। সিনেমা মুক্তির পর বরাবরই তিনি নিরবতা পালন করেন। সবাই যখন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত তখন শাকিব খানের দেখা মিলেছে অপু বিশ্বাস এবং আব্রাম খান জয়ের সঙ্গে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, তাহলে কি আবার এক হচ্ছেন শাকিব-অপু? এদিকে শাকিব খানের দ্বিতীয় সন্তানের মা চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেহজাদ খান বীরের জন্মদিনের কিছু স্টিল ছবি শেয়ার করেছেন। যেখানে শাকিব, বুবলী আর বীরকে একসঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গেছে। বুবলি ওই পোস্টে আহ্বান জানিয়েছেন, কেউ যেন নোংরা ভিডিও না ছড়ায়।
এদিকে শাকিব, অপু আর জয়ের যে ভিডিও চিত্র ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা গেছে, শাকিব খান, তার সন্তান আব্রাহাম খান এবং অপু বিশ্বাস একই রকমের মাস্ক পরে গাড়িতে উঠছেন। গাড়ির সামনের আসনে শাকিব ও আব্রাহাম বসেন। এরপর গাড়ির পেছনে ওঠেন অপু বিশ্বাস। ছেলে আব্রাহামের হাতে ছিল একটি ব্যাগ। বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, শাকিব অপু আবার এক হচ্ছেন। আবার সেই প্রশ্নই করছেন ভক্তরা।
শবনম বুবলী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘‘কিছু কিছু ভাইয়া আপুরা অনুগ্রহ করে কিছু না জেনে কারো চালাকি প্ররোচনায় পড়ে আজেবাজে, ভুয়া, নোংরা ভিডিও বানানো, কমেন্ট করা এবং ট্যাগ করা বন্ধ করুন। বিশেষ করে বাচ্চাদের নিয়ে। বাবা শাকিব খান তার সব সন্তানদের ভীষণ ভালোবাসেন, সময় দেন, শুধু শুধু সন্তানদের মধ্যে বিভাজন করবেন না এবং হিংসাত্মক মনোভাব ছড়াবেন না।’’
আরো পড়ুন:
শাকিবের দ্বিতীয় অধ্যায় নিয়ে বিপদে অপু!
প্রেক্ষাগৃহে শাকিব খানের ‘তাণ্ডব’ ঝড়, মুক্তির তিন দিনে রেকর্ড আয়!
বুবলী আরও লিখেছেন, ‘‘সব বাবা মায়ের মতো আমরাও আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে আমাদের সন্তানকে ভালো রাখতে চাই কারণ পরিবারের বন্ধন সবচেয়ে সুন্দর এবং শক্তিশালী।বাচ্চারা বড় হচ্ছে, তাদেরকে নেগেটিভিটি থেকে দূরে রাখুন প্লিজ।’’
যদিও বুবলী কোনো ভিডিওকে নোংরা বলছেন-তা ওই পোস্টে উল্লেখ করেননি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে এক সাক্ষাৎকারে শাকিব খান বলেছিলেন, ‘‘একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে চাই, অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনেই এখন আমার কাছে অতীত। তাদের সঙ্গে কোনো অবস্থায় আমার সম্পর্ক জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। অতীত মানে তারা অতীতই। তারা দুইজন আমার দুই সন্তানের মা, সন্তানের মা হিসেবে তাদের প্রতি আমার যে সম্মান ও সম্পর্কটা থাকা দরকার, স্রেফ সেটুকুই থাকবে।’’
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপ ব শ ব স
এছাড়াও পড়ুন:
নভেম্বর মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন: সাখাওয়াত
শিশু শ্রমের শাস্তি বাড়িয়ে আগামী নভেম্বর মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (১৮ জুন) বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান কতটা বিশ্বাসযোগ্য আমি জানি না। তবে, বর্তমান সংজ্ঞা অনুযায়ী শিশু শ্রমিকের সংখ্যা ৩৫ লাখ। ঝুঁকিপূর্ণ শ্রমে রয়েছে ১০ লাখ শিশু। এখান থেকে কীভাবে কমানো যায়, সেটা দেখছি। আর সংজ্ঞাটার কি হবে?”
আরো পড়ুন:
পুনরায় ভিসা কার্যক্রম চালু করায় অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে কারো দ্বিমত নেই: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, “অনেকে বাপের সঙ্গে মাছ ধরতে যায়। আবার সে স্কুলেও যায়। এগুলোর কি হবে? অনেক পরিবার কাজের জন্য শিশুকে পাঠায় ওস্তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য, পরে সে নিজেই মেকানিক হয়ে যায়। আমি অনুরোধ করব, জোর করে কাউকে পাঠাবেন না। বাচ্চারা স্কুল টাইম শেষ করে যদি ভলান্টিয়ারি কোনো কাজ করে সেটা হয়তো আমরা অন্যরকমভাবে দেখব। জোর করে কাউকে (শিশু) কাজে পাঠানো যাবে না, এটা দণ্ডনীয় অপরাধ।”
সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ১১তম সম্মেলনে যোগ দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “শ্রমিকদের আইনগুলো শ্রমিকবান্ধব করার চেষ্টা করছি- সেখানে এটা শ্রমিক ও মালিকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরাও বলেছি। আমরা সবাই এক সুরে কথা বলেছি। এটা ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পাওনা।”
“আমি আইএলও ডিজিসহ অনেকে সঙ্গে কথা বলেছি। সবাই বাংলাদেশের এখন যে অগ্রগতি হচ্ছে এটা নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট। আমাদের যাওয়ার আগে এগুলো শেষ করতে হব”, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইএলও-তে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপভুক্ত (এএসপিএজি) দেশগুলোর সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে বলেও জানান সাখাওয়াত হোসেন।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে প্রতিবছর ১২ জুন বিশ্ব শিশুশ্রম প্রতিরোধ দিবস পালন করা হয়। এ বছর ১২ জুন সরকারি ছুটি থাকায় ১৯ জুন দিবসটি উদযাপন করা হবে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো- ‘স্বপ্নের ডানায় ভর করি, শিশু শ্রমের শৃঙ্খল ছিড়ি- এগিয়ে চলি দীপ্ত পায়ে, আশার আগুন বুকে জ্বালি’।
আইএলও শ্রম আইনের বিভিন্ন স্থানে সংশোধনের কথা বলেছিল- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “আলোচনা হয়নি, তবে তারা জানে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। আমরা চেষ্টা করছি যাতে আগামী দুই-তিন মাস বা নভেম্বরের মধ্যেই শ্রম আইনের সংশোধনটা কমপ্লিট করতে পারি।”
তিনি বলেন, “শিশু শ্রমের বিষয়ে আমাদের আইনের যে বিধান আছে, এরই মধ্যে সেটার খসড়া করা হয়েছে। সেখানে জরিমানার পরিমাণ কয়েকগুণ বাড়ানো হচ্ছে।”
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ