‘এই বুথ, সেই বুথ ঘুরে ২০০ টাকা রিকশাভাড়া দিলাম, টাকা তুলতে পারলাম না’
Published: 12th, June 2025 GMT
কুমিল্লা নগরের অধিকাংশ ব্যাংকের এটিএম বুথে টাকা ফুরিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রয়োজনে নগদ অর্থ না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন গ্রাহকেরা। ব্যাংকগুলোয় চলমান ঈদের দীর্ঘ ছুটির কারণে নগদ অর্থ প্রাপ্তির একমাত্র মাধ্যম বুথে বুথে ঘুরেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কুমিল্লা নগরের একাধিক এলাকায় বিভিন্ন ব্যাংকের অন্তত ১৫টি এটিএম বুথ ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের বুথে টাকা থাকলেও নিজেদের গ্রাহক ছাড়া সেবা দিচ্ছে না।
এটিএম বুথগুলোয় দায়িত্বরত কর্মীরা বলছেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৫ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত চলছে টানা ১০ দিনের ছুটি। এই ছুটির সময় ব্যাংকগুলোও বন্ধ আছে। ফলে নগদ টাকা তোলার একমাত্র ভরসা এটিএম বুথ। এ সময় মানুষের নগদ টাকার বাড়তি চাহিদা জোগান দিতে গিয়ে নগরের বেশির ভাগ এটিএম বুথের টাকা ফুরিয়ে গেছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বলছেন, অনেক সময় দশটি ব্যাংকের এটিএম বুথে ঘুরেও টাকা পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু বেসরকারি ব্যাংকগুলোই নয়, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর এটিএম বুথেরও একই অবস্থা।
গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে নগরের মনোহরপুর এলাকার সোনালী ব্যাংকের এটিএম বুথে গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও টাকা নেই। নিরাপত্তাকর্মী ছগির আহমেদ গ্রাহকদের সেই কথা মনে করিয়ে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন। ছগির বলেন, সকাল ১০টার দিকে টাকা লোড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গ্রাহকদের চাপ বেশি হওয়ায় বিকেলের মধ্যেই সব টাকা শেষ।
টাকা না থাকায় কুমিল্লা নগরের একটি বেসরকারি ব্যাংকের বুথ শাটার নামিয়ে বন্ধ রাখা হয়। গতকাল রাতে নগরের রেসকোর্স এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল
সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।
আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’
মঞ্চে আর্টসেল