এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না: মোদি
Published: 12th, June 2025 GMT
এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, ‘আহমেদাবাদের ট্র্যাজেডি আমাদের স্তব্ধ ও শোকাহত করেছে। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’
নরেন্দ্র মোদি আরও লিখেছেন, ‘বেদনাময় এই সময়ে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবার প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় কাজ করা সব মন্ত্রী ও কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে আমি যোগাযোগ রাখছি।’
ভয়াবহ দৃশ্য: কিয়ার স্টারমার
বিধ্বস্ত হওয়া উড়োজাহাজটি যাত্রা করেছিল যুক্তরাজ্যের গ্যাটউইক বিমানবন্দরের উদ্দেশে। উড়োজাহাজের যাত্রীদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক।
বিধ্বস্ত হওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার এই ফ্লাইটের যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেন, ব্রিটিশ নাগরিকদের বহন করা লন্ডন অভিমুখী উড়োজাহাজ ভারতের আহমেদাবাদ শহরে বিধ্বস্ত হওয়ার পর যেসব দৃশ্য সামনে আসছে, সেগুলো ভয়াবহ। পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত হালনাগাদ তথ্য পাচ্ছি। গভীর বেদনাদায়ক এই সময়ে যাত্রী ও তাঁদের পরিবারের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
ভারতের গুজরাটে দুর্ঘটনাস্থলে আগুন নেভাতে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ১২ জুন, আহমেদাবাদ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহম দ ব দ ব ধ বস ত র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫