যখন ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর হিন্দু ও মুসলিম দুই নারী অফিসার ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘোষণা করার জন্য মঞ্চে হাজির হন, তখন সরকার এটি নারী-পুরুষ অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত বলে উদযাপন করে। সামনের সারিতে থেকে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্যকালে ইউনিফর্ম পরা নারীর ছবি, ২৬ জন বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়া এবং প্রতীকীভাবে বৈধব্যের সিঁদুর পুনরুদ্ধার জাতির সেবায় নারীবাদী প্রতীক হিসেবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল।

এই মুহূর্ত ঐতিহাসিক ঘটনার সাদৃশ্যপূর্ণ প্রতিধ্বনি। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধকালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে তার নির্ণায়ক ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে হিন্দু যোদ্ধাদেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছিল, যিনি নারীশক্তি ও জাতীয়তাবাদী সংকল্পের প্রতীক। দুর্গার এই তুলনা কীভাবে ভারতীয় রাজনৈতিক শক্তি রাষ্ট্রযন্ত্রকে ধর্মীয় প্রতীকবাদের সঙ্গে মিশ্রিত করে প্রায়ই নারী-পুরুষ চিহ্নজ্ঞাপক ও পৌরাণিক দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি করা হয়, তা আমাদের সামনে আনে।  

কিন্তু যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী নারীরা কি মজ্জাগতভাবে নারীবাদী হয়ে উঠতে পারে? নারীবাদী পণ্ডিতরা দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করে আসছেন, জাতি গঠন কোনো লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রকল্প নয়। এটি নারীদের এমন ভূমিকায় পুনর্গঠিত করে, যা তাদের লক্ষ্য হাসিল করে। যেমন ত্যাগী মা, শোকার্ত বিধবা অথবা জাতির সশস্ত্র কন্যাসন্তান। নীরা যুবাল-ডেভিসের মতো পণ্ডিতদের মতে, নারীদের জাতির সম্মান ও সাংস্কৃতিক খাঁটিত্বের প্রতীকী বাহক হিসেবে স্থান দেওয়া হয়, কিন্তু খুব কমই তাদের রাজনৈতিক এজেন্ট হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

ভারতীয় প্রেক্ষাপটে সুমিতা সেন ও মৈত্রেয়ী চৌধুরীর মতো পণ্ডিতরা আমাদের মনে করিয়ে দেন, ঐতিহাসিকভাবে নারীর ভূমিকা জনপরিসরে স্বাধীন বা স্বায়ত্তশাসনের প্রেক্ষিতে নয়, বরং পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোর প্রতি কর্তব্যের ভিত্তিতে গঠিত হয়েছে। অতএব, জনপরিসর কিংবা রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নারীর উপস্থিতি স্বাভাবিকভাবেই নারী-পুরুষের মধ্যে ন্যায্যতার তুলনা হয় না। উভয়ের প্রতিনিধিত্বের নিরপেক্ষতা কতটা কার্যকর, তা নিয়েও প্রশ্ন করা উচিত। 
আজকের সামরিক ক্ষেত্রে নারীদের অবস্থান, যেখানে যুদ্ধক্ষেত্রে নারীরা দৃশ্যমান থাকে, তবুও পথ বদলায়নি। সামরিকতন্ত্রের পুরুষপ্রধান ও পুরুষতান্ত্রিক ভিত্তি অক্ষত রাখার মানে নারীদের ‘পুরুষদের মতো হওয়া’র ক্ষমতা উদযাপন করার মতো। এটি অপারেশন সিঁদুরে লক্ষ্য করা যায়, যেখানে ইউনিফর্ম পরিহিত দুই নারীকে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে তুলে ধরা হয়েছে; যেখানে তারা যে চিত্রনাট্য পরিবেশন করেছেন, তা গভীরভাবে পুরুষতান্ত্রিক; যেখানে পুরুষতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদের মাধ্যমে নারীদের যোগ্যতা প্রমাণের দাবি করা হয়।

নারীবাদী সংস্থা দাবি করে, নারীরা তাদের কর্মজীবনের শর্তাবলি নির্ধারণ করুক। এখানে এই পরিভাষাগুলো আরএসএস মতাদর্শের পিতৃতান্ত্রিক জাতীয়তাবাদ দ্বারা নির্ধারিত। দুই অফিসার লিঙ্গগত মানদণ্ড চ্যালেঞ্জ করেননি; তারা একটি পূর্বলিখিত স্ক্রিপ্টে পা রেখেছিলেন, যা নারীত্বকে জাতির প্রতি স্ত্রীত্বের কর্তব্যের সঙ্গে সমান করে দেখে। শীর্ষ পর্যায়ে তাদের সামরিক ভূমিকা সামরিকবাদকে স্বাভাবিক করে তোলে, যদিও এগুলো লিঙ্গ অগ্রগতি হিসেবে তুলে ধরা হয়। একজন মুসলিম অফিসারের অন্তর্ভুক্তি আকস্মিক নয়। দুর্গা বাহিনীর আদর্শিক জগতে অ-হিন্দু নারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে, যতক্ষণ না তারা হিন্দু ‘পরিবার’-কে রক্ষা করে। এই প্রতীকী অন্তর্ভুক্তি বহুত্ববাদের একটি বিভ্রমকে সমর্থন করে, অন্যদিকে মুসলিম নাগরিকদের পদ্ধতিগত প্রান্তিকীকরণ অবিরামভাবে অব্যাহত।
নারীবাদী আন্দোলনগুলো ঐতিহাসিকভাবে যুদ্ধের যুক্তিকেই চ্যালেঞ্জ করেছে; কেবল কে যুদ্ধ পরিচালনা করে, তা নয়। যদি আমরা স্বীকার করি– জাতি গঠন স্বভাবতই পুরুষতান্ত্রিক, তাহলে সমাধান কেবল পুরুষতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে আরও বেশি নারীকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্যেই নিহিত থাকতে পারে না। পরিবর্তে আমাদের জাতীয় সম্মানের সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তুলতে হবে, যা নারীর মূল্যকে স্ত্রীর প্রতীক এবং যুদ্ধে ত্যাগের সঙ্গে সমান করে দেখে।

যুদ্ধক্ষেত্রে নারীবাদী রাজনীতি কেন্দ্র থেকে সামরিকতন্ত্রকে সরিয়ে দিতে হবে, বেসামরিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা, পুনর্বাসন ও নীতিনির্ধারণে নারী নেতৃত্বকে স্বীকৃতি দিতে হবে– এটি এমন এক ক্ষেত্র, যেখানে বোমা বা সাহসিকতার মাধ্যমে সিঁদুরের অনুপস্থিতি দূর করা যায় না। জাতীয় নিরাপত্তায় প্রকৃত নারী-পুরুষ ক্ষেত্রে ন্যায্যতা ভিন্নমতাবলম্বী নারী নেত্রীদের এগিয়ে নিয়ে যাবে, যারা পিতৃতান্ত্রিক রূপকগুলো মেনে নিতে অস্বীকার; বিধবাদের বৈষয়িক সাহায্য এবং রাষ্ট্রীয় গুণাবলির প্রতীক হিসেবে বৈবাহিক প্রতীকবাদ প্রত্যাখ্যান করে।
অপারেশন সিঁদুর শক্তিশালী শিরোনাম হতে পারে। কিন্তু এতে নারীবাদী বিজয়ের মায়ার আড়ালে একটি পুরোনো পুরুষতান্ত্রিক লিপি লুকিয়ে আছে। যেমন নারীরা মাতৃভূমির রূপক হিসেবে শুধু তখনই মূল্যবান যখন তারা যুদ্ধকালীন চাহিদা পূরণ করে। মুক্তি সামরিকীকরণের মধ্যে নয়, বরং নারীদের জাতীয়তাবাদী রীতিনীতির সঙ্গে আবদ্ধ করে এমন লিঙ্গভিত্তিক রূপকগুলো ভেঙে ফেলার মধ্যে এবং যুদ্ধের মঞ্চের বাইরেও কর্তৃত্বের অর্থ প্রসারিত করার মধ্যে নিহিত।

nঅমৃতা দত্ত ও অরণী বসু যথাক্রমে বিলেফেল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও সমাজবিজ্ঞানের বিলেফেল্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুলের প্রভাষক এবং হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের হাইডেলবার্গ সেন্টার ফর ট্রান্সকালচারাল স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক; আলজাজিরা থেকে ঈষৎ সংক্ষেপিত ভাষান্তর ইফতেখারুল ইসলাম

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

শাহরুখের ব্যাপারে সাবধান করলেন জুহি চাওলা

বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। অভিনয় গুণে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়ে দোলা দিয়েছেন তিনি। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে যশ-খ্যাতি যেমন পেয়েছেন, তেমনি আয় করেছেন মোটা অঙ্কের অর্থও। রবিবার (২ নভেম্বর) ৬০ বছর পূর্ণ করে একষট্টিতে পা দেবেন এই তারকা।  

অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক নায়িকার সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। তাদের মধ্যে অন্যতম জুহি চাওলা। ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’, ‘রামজানে’, ‘ডর’, ‘ইয়েস বস’, ‘ডুপ্লিকেট’সহ আরো কিছু জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই জুটি। একসঙ্গে অভিনয় ছাড়াও, এই দুই তারকা বাস্তব জীবনে খুবই ভালো বন্ধু। কেবল তাই নয়, ব্যবসায়ীক অংশীদারও তারা। 

আরো পড়ুন:

শাহরুখের অজানা এই সাত তথ্য জানেন?

পাকিস্তানের সন্ত্রাসী তালিকায় সালমান খান কেন?

বন্ধু শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে কথা বলেছেন জুহি। এ আলাপচারিতায় স্মৃতিচারণ তো করেছেনই, পাশাপাশি শাহরুখের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।  

শাহরুখের সঙ্গে প্রথম পরিচয়ের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “আমি যখন প্রথম ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হই, তখন সহপ্রযোজক বিবেক ভাসওয়ানি আমাকে বলেছিলেন, ‘আমার নায়ক দেখতে আমির খানের মতো।’ আমি শাহরুখকে দেখে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। দেখি, শাহরুখের চুল চোখের ওপরে নেমে এসেছে। আর সে একেবারেই আমার কল্পনার সেই ‘চকলেট বয়’ নয়! যখন কাজ শুরু করি, তখন বুঝতে পারি, সে একদম নতুন অভিনেতাদের মতো নয়, সে পরিশ্রমী, দিনে তিন শিফটে কাজ করছে।” 

একটি ঘটনা বর্ণনা করে জুহি চাওলা বলেন, “আমার মনে আছে, ‘ইয়েস বস’ সিনেমার শুটিংয়ের সময়, কোনো দৃশ্য ঠিকমতো লেখা না থাকলে পরিচালক আজিজজি (আজিজ মির্জা) বলতেন, ‘শাহরুখ আসুক, সব ঠিক হয়ে যাবে।’ রোমান্স আর মজার মিশেলে থাকা দৃশ্যগুলো আমাদের সবচেয়ে ভালো ছিল। সেই সূত্রেই আমরা অনেকগুলো সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেছি।” 

শাহরুখের পাশে অবস্থান করলে সাবধান থাকার কথার কথা বলেছেন জুহি। হাসতে হাসতে এ অভিনেত্রী বলেন, “শাহরুখের আশেপাশে থাকলে সাবধানে থাকবেন। কারণ সে কথা দিয়ে আপনাকে যেকোনো কিছু করাতে রাজি করিয়ে ফেলতে পারে। ওর কথাবলার ভঙ্গি এমন যে, আপনি ‘না’ বলতেই পারবে না। আমি ‘ডুপ্লিকেট’ সিনেমা করতে চাইছিলাম না, কারণ সেখানে আমার তেমন কিছু করার ছিল না। আমরা তখন আরেকটি সিনেমার শুটিং করছিলাম, আর শাহরুখ আমাকে সিঁড়িতে বসিয়ে দুই ঘণ্টা বোঝায় এবং আমি সিনেমাটিতে চুক্তিবদ্ধ হই। সে আপনাকে যেকোনো কিছু করতে রাজি করাতে পারে, তাই সাবধানে থাকবেন।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়ে জুহি চাওলা বলেন, “অফস্ক্রিনে আমাদের সম্পর্কেও উত্থান-পতন রয়েছে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা কোনো না কোনোভাবে আমাদের যুক্ত রেখেছেন, এমনকি আইপিএলের মাধ্যমেও। আমাদের বন্ধন কোনো পরিকল্পনার ফল নয়, এটা একেবারেই ভাগ্যের ব্যাপার।” 

শাহরুখ খানের সঙ্গে আইপিএল দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) সহ-মালিক জুহি ও তার স্বামী জয় মেহতা। এই দলের পেছনে জুহি বিনিয়োগ করেছেন ৬২৯ কোটি রুপি। বর্তমানে এই দলটির মূল্য আছে ৯ হাজার ১৩৯ কোটি রুপি। শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘রেড চিলিস গ্রুপ’ প্রতিষ্ঠা করেন জুহি। 

১৯৬৫ সালে ২ নভেম্বর ভারতের নয়াদিল্লিতে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শাহরুখ খান। তার শৈশবের প্রথম পাঁচ বছর কেটেছে ম্যাঙ্গালুরুতে। শাহরুখের দাদা ইফতিখার আহমেদ স্থানীয় পোর্টের প্রধান ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যার কারণে সেখানে বসবাস করেন তারা। শাহরুখের বাবার নাম তাজ মোহাম্মদ খান, মা লতিফ ফাতিমা। 

দিল্লির হংসরাজ কলেজ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন শাহরুখ খান। তারপর জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে গণযোগাযোগ বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয় জীবন শুরু করার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। তবে বলিউডে ক্যারিয়ার শুরুর দিকে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা-তে ভর্তি হন এই শিল্পী। 

১৯৯২ সালে ‘দিওয়ানা’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন শাহরুখ খান। রোমান্টিক ঘরানার এ সিনেমায় অভিনয় করে নজর কাড়েন তিনি। সিনেমাটিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ। 

একই বছর ‘চমৎকার’, ‘দিল আসনা হে’ ও ‘রাজু বান গায়া জেন্টলম্যান’ সিনেমায় অভিনয় করেন শাহরুখ। তার পরের বছর ‘ডর’ ও ‘বাজিগর’ সিনেমায় অভিনয় করে নিজের জাত চেনান শাহরুখ। তার অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হন কোটি ভক্ত; পৌঁছে যান সাফল্যের চূড়ায়। তার অভিনয়ের খ্যাতি আরো বাড়তে থাকে যশরাজ ফিল্মসের সিনেমায় ধারাবাহিকভাবে অভিনয় করে। একের পর এক হিট সিনেমা দিয়ে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে অবস্থান করেন শাহরুখ। যদিও তার এই সফলতার জার্নির গল্প মোটেও সহজ ছিল। আর সে গল্প সবারই জানা। 

অভিনয় ক্যারিয়ারে অসংখ্য সম্মাননা পেয়েছেন শাহরুখ খান। তার মধ্যে মোট পনেরোবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এর মধ্যে আটবার সেরা অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। হিন্দি সিনেমায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০০২ সালে তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে ভারত সরকার। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করেছেন মোট পাঁচবার। তবে শাহরুখ খানের ৩৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে অধরা ছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলতি বছর ‘জওয়ান’ সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন শাহরুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ