ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুর ইউনিয়ন শাখার উদ্যোগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ জুন) সকালে ইউনিয়ন কার্যালয়ে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন কাশীপুর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আলহাজ্ব শাহাদাত হোসেন রানা এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি এম. শফিকুল ইসলাম।

সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ভবিষ্যৎ স্বৈরতন্ত্রের কবল থেকে রক্ষায় রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার অত্যাবশ্যক।

পতিত ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে (প্রতিনিধিত্বমূলক) আয়োজন করতে হবে। এই দাবিগুলো এখন দেশের গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী ২৮ জুন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই দাবিগুলো নিয়ে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো রাজনৈতিক দলগুলো যৌথভাবে জাতির উদ্দেশ্যে ঘোষণা দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

সভাপতি শাহাদাত হোসেন রানা তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশকে ভারতের আধিপত্য থেকে মুক্ত রাখতে এবং ভবিষ্যতে সেই আধিপত্য প্রতিরোধে এখনই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশের স্বার্থে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এক কাতারে এসে কাজ করতে হবে। ২৮ জুনের সমাবেশ সেই ঐক্যেরই একটি বড় প্রতিফলন হবে। তিনি সবাইকে ২৮ জুন ঢাকায় এসে মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাশীপুর ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব মুক্তার হোসেন, সেক্রেটারি এম শফিকুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ মামুন ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল জলিল, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ রবিউল আলম, দফতর সম্পাদক মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ আক্তার হোসেন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আহমাদ কবীর, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ মাসুম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল আজিজ, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ পারভেজ প্রধান, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ বজলু সিকদার, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মদ আল-আমিন, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, শিল্প, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মদ রাজিবুল ইসলাম এবং সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন ও জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ-আইম্মা পরিষদ, ইউনিয়ন ও বিভিন্ন ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ অন ষ ঠ ত আলহ জ ব ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন: গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

আওয়ামী লীগ ও ভারতের জন্য বাংলাদেশে একটা দাঙ্গা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, তাহলে রাজনৈতিক মোড়টা ঘুরতে পারে, নির্বাচন বানচাল হতে পারে। সে জন্যই জাতীয় স্বার্থে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর চন্দ্র এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের সনাতনীদের নিয়ে বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘শেখ মুজিব বিহারি-বাঙালি দাঙ্গা লাগিয়ে, বিহারি-বাঙালি আলাদা করে ১৯৭০–এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিলেন এই অঞ্চলের লোকদের বাঙালি বানিয়ে। এ ধরনের ঘটনা ঘটানোরও পেছনে আওয়ামী লীগ অত্যন্ত পটু। দরকার হলে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে দেবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতার মাঝে একটা রাজনীতি আছে। এ ভারতবর্ষে, এ উপমহাদেশে অনেক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কিছু গুজবের কারণে। ভারতে এসব দাঙ্গা এখনো চলমান। রাজনৈতিক কুটিলতার মধ্যে এ সাম্প্রদায়িকতা এখন না, হাজার বছর আগে থেকে আছে।

কোনো মানুষ কিংবা ধর্ম সাম্প্রদায়িক নয় উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কখনো কোনো কিছু মোকাবিলা করার জন্য দাঙ্গা-ফ্যাসাদ করাতে হয়। যাতে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি আরেক দিকে চলে যায়। এইচ এম এরশাদও ’৮৮ সালে এ কাজটা করেছিলেন। বাংলাদেশে মুসলমান নয়, হিন্দুরাই হিন্দুদের শত্রু, হিন্দুরাই হিন্দুদের ক্ষতি করে।

গয়েশ্বর আরও বলেন, ‘আমি হিন্দু–মুসলমানের ব্যবধান বুঝি না। আমি খারাপ আর ভালো লোকের ব্যবধান বুঝি। সৎ লোক–প্রতারকের ব্যবধান বুঝি। আমি সাম্প্রদায়িকতা পছন্দ করি না, অসাম্প্রদায়িক জীবন যাপন করতে পছন্দ করি।’

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘হিন্দু-মুসলমান আমরা একটা বৃহত্তর সংস্কৃতির অংশ। এখানে কোনো প্রভেদ ছিল না, কোনো বিভেদ ছিল না। এটাকে শেখ হাসিনা ভাঙতে চেয়েছেন।

দেখাতে চেয়েছেন এই দেশ বিভেদ–বিভাজনে ভরপুর। সুতরাং আমাকে সমর্থন করো। অন্য বিরোধী দল কাউকে সমর্থন করবে না। এ কারণে তিনি জোর করে জনসমর্থন ব্যতিরেকে দিনের ভোট রাতে করে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের যেতে না দিয়ে নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট করেছেন, বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে বিনষ্ট করেছেন।’

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পূজা উদ্‌যাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, যুগ্ম মহাসচিব মীর সরাফত আলী, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ